শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩

সখীপুরে স্বামী- স্ত্রীর দীর্ঘদিনের কলহের অবসান ঘটালেন ওসি রেজাউল করিম

আহমেদ সাজু( সখীপুর)টাঙ্গাইলঃ টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের মুচারিয়া পাথার এলাকার মাইন উদ্দিনের ছেলে মো.রফিকুল ইসলাম দীর্ঘ ৫ বছরের পারিবারিক কলহ-বিবাদ সখীপুর থানা-পুলিশের হস্তক্ষেপে অবসান।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শনিবার( ২৮জানুয়ারি) কালমেঘা মইষাকুড়ি পাড়ার বাচ্চু মিয়ার মেয়ে কাঞ্চনের সাথে পাশের গ্রামের রফিকুল ইসলামের পারিবারিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়।কিন্ত কিছু দিন যেতে না যেতেই দুজনের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত।

তারপর রফিকুল ইসলামের মানসিক সমস্যা দেখা দিলে সংসারের আয়-রোজগার একবারে বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে কাঞ্চনার উপর অনুমানসিক নির্যাতন করতে থাকে তার স্বামী রফিকুল ইসলাম। সবকিছু সহ্য করে সংসার টেকানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় কাঞ্চনা,ফিরে আসে বাবার বাড়ি। 

ইতিমধ্যে কাঞ্চনা গর্ভে সন্তান ধারণ করলে,তার চিন্তার ভাঁড় দিন দিন প্রসারিত হতে থাকে।বাবার বাড়ির লোকজনের সহযোগিতায় কাঞ্চনার কোল জুড়ে আসে এক ছেলে সন্তান।সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কাঞ্চনা সখীপুর থানায় স্বামী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করে। এদিকে রফিকুল ইসলাম নিয়মিত ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়ে মানসিক সমস্যার বেশ উন্নতি হয়।

সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) নজরুল ইসলাম দূজনের পরিবারের সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধানের জন্য থানায় আসতে বলে।গ্রামের মাতব্বর ফজলুল হকের সহযোগিতায় শনিবার বিকেলে থানায় ওসি রেজাউল করিমের কার্যালয়ে দীর্ঘ সময় দুই পরিবারের সাথে আলোচনা করে ৫ বছরের পারিবারিক দূরত্বের সমাধান করে দেওয়া হয়। 

এসময় দুই পরিবারের মধ্যে এক আবেগ- গন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।ইতিমধ্যে সখীপুর থানার ওসি এরকম অনেক সমস্যার সমাধান করে শৃংখলা ফিরিয়ে এনেছেন। 
গজারিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউ/পি (৫ নং) সদস্য গোলাম মওলা ওই পরিবারটির অবুঝ শিশুর কথা চিন্তা দুজনের একত্রে থাকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করে। 

এবিষয়ে সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম বলেন,স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পেরে আনন্দিত। আমরা পরিবারটির সুখ শান্তি কামনা করি। তিনি আরও বলেন, থানায় সেবা নিতে আসা আগত সকলকে আমি এবং আমার অফিসারগণ সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেওয়ার চেষ্টা করি।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.