সুখীপুর লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সুখীপুর লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ৫ মে, ২০২৪

টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু

টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বজ্রপাতে ওয়াজেদ আলী খান (৫০) নামে হোটেলের এক বাবুর্চির মৃত্যু হয়েছে। 

শনিবার (৪ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার ফতেরপাড়া-খিলপাড়া সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওয়া‌জেদ আলী উপজেলার ২নং ঘাটাইল ইউনিয়নের খিলপাড়া এলাকার মৃত সোনা খার ছেলে।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রায়হান খান জানান, ওয়াজেদ আলী শনিবার রাতে হোটেলে কাজ শেষ করে ঘাটাইল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। 

এ সময় ঘন ঘন বজ্রপাত হচ্ছিল। এক পর্যায়ে ফতেরপাড়া-খিলপাড়া সড়‌কে তার মৃত্যু হয়। প‌রে রোববার (৫ মে) সকা‌লে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। 

ঘাটাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, শনিবার রাতে বজ্রপাতে এক হোটেল শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। 

তার শরী‌রের বিভিন্ন অংশ বজ্রপাতে পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শে‌ষে পরিবারের কা‌ছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪

সখীপুরে টিভির বুম দিয়ে সাংবাদিকের মাথায় আঘাত, আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

সখীপুরে টিভির বুম দিয়ে সাংবাদিকের মাথায় আঘাত, আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলের সখীপুরে এশিয়ান টেলিভিশনের স্থানীয় প্রতিনিধি এম. সাইফুল ইসলাম শাফলুর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। 

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ সড়কের মনির উদ্দিন প্লাজায় এ ঘটনা ঘটে।এদিকে এ ঘটনায় আহত সাংবাদিকের স্ত্রী শারমিন আক্তার রিতা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি মামলা হিসেবে আমলে নেওয়া হয়েছে। 

এ মামলায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মনির উদ্দিন মন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। মামলার এজাহার, প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাংবাদিক শাফলু দীর্ঘদিন ধরে মনির উদ্দিন প্লাজার নিচতলার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে নিজের সম্পাদিত নিউজ পোর্টাল ‘নিউজ টাঙ্গাইল’ পরিচালনা করে আসছেন।

সোমবার ওই কক্ষটির ভাড়ার চুক্তিপত্র নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ভবন মালিক মনির উদ্দিন মন্টু অফিস কক্ষে ঢুকে টেলিভিশনের বুম (মাইক্রোফোন) দিয়ে সজোরে সাংবাদিক শাফলুর মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই সাংবাদিক শাফলু জ্ঞান হারান। 

পরে স্থানীয়রা তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সখীপুর উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকেরা আহত সাংবাদিক শাফলুকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান। দুপুরে সখীপুর প্রেসক্লাবে এক জরুরি সভায় হামলাকারীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মনির উদ্দিন প্লাজার এক ভাড়াটিয়া জানান, এ ভবনের মালিক একজন বদ মেজাজি মানুষ। আগে তিনি আদম ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর আচরণ অত্যন্ত বাজে। তাঁর বিচার হওয়া প্রয়োজন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মনির উদ্দিন মন্টু বলেন, ‘আমি তাঁর ওপর হামলা করিনি, বরং ওই সাংবাদিক টিভির বুম দিয়ে আমাকে আঘাত করেছেন। একপর্যায়ে কীভাবে তাঁর মাথা কেটে গেল আমি তা জানি না। মূলত আমি তাঁকে ভাড়ার চুক্তিপত্র নিজের নামে করে নিতে তাগাদা দিচ্ছিলাম। কিন্তু সে আমার কথার কোনো গুরুত্বই দিচ্ছিল না।’

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, ‘ভবন মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির উদ্দিন মন্টুকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। পরে অভিযোগটি মামলা হিসেবে নিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

’উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ হোসেন পাটওয়ারী বলেন, ‘বিষয়টি ডিসি-এসপি পর্যন্ত অবগত হয়েছেন। আহত সাংবাদিকের চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে, তাঁকে আইনগতভাবে সব রকমের সহযোগিতা দেওয়া হবে।’