মধুপুর লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মধুপুর লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫

টাঙ্গাইলে ৯ ডাকাত গ্রেপ্তার, ১৫ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার

টাঙ্গাইলে ৯ ডাকাত গ্রেপ্তার, ১৫ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার

টাঙ্গাইলের মধুপুরে একটি ফ্যাক্টরিতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় আন্তজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মধুপুর থানা পুলিশ। এ সময় ডাকাতিকৃত ১৫ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। 

বুধবার (১৪ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মামুন মেকার, মাসুদ, সুরুজ আলী, নাঈম, রাসেল, কাজল ড্রাইভার, রাশেদুল ইসলাম, নান্নু মিয়া ও বেল্লাল হোসেন

সংবাদ সম্মেলনে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, গত ৩ মে রাত আড়াইটার দিকে মধুপুর উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নে অবস্থিত আনাম গ্রীন ফুয়েল এনার্জি রিসোর্স ফ্যাক্টরিতে অজ্ঞাতনামা ১৫/১৬ জনের একদল ডাকাত ফ্যাক্টরির মেইন গেটের তালা কেটে ফ্যাক্টরির ভিতরে প্রবেশ করে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দারোয়ানকে বেঁধে ফেলে রেখে ভয়ভীতি দেখায়। এ সময় ডাকাতদল ২৫০ কেভিয়ে সাব- স্টেশনের ট্রান্সফরমার, জেনারেটর ও তারসহ প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ টাকার মালামাল ডাকাতি করে পিকআপ যোগে পালিয়ে যায়। পরে আনাম গ্রীণ ফুয়েল এনার্জি রিসোর্স ফ্যাক্টরির ইনচার্জ মো. তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় এজাহার দাখিল করেন। এ ঘটনায় সাভার, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে আন্তজেলা ডাকাতদলের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

তিনি আরও জানান, ডাকাতদের দেয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক আশুলিয়া থানার বলিভদ্র এলাকায় মামুনের ভাঙ্গারী দোকান থেকে মালামাল এবং ডাকাতিকাজে ব্যবহৃত মিনি পিকআপ উদ্ধার ও ডাকাতিকৃত মালামাল খরিদ করার দায়ে নান্নু মিয়া ও বেলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫

টাঙ্গাইলে স্কুলে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে ‌‘জুতাপেটা’

টাঙ্গাইলে স্কুলে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে ‌‘জুতাপেটা’

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে টাঙ্গাইলের মধুপুরে একদল নারী অভিভাবক আব্দুল জব্বার নামে এক শিক্ষককে ‘জুতাপেটা’ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে মধুপুরের আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ঢুকে তারা ওই শিক্ষকের ওপর হামলা করেন। ভুক্তভোগী আব্দুল জব্বার ওই বিদ্যালয়েল প্রধান শিক্ষকঅভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার স্কুলে ক্লাস করানোর সময় তাদের মেয়েদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেছেন।

অ‌ভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার বলেন, “আমার মেয়েকে স্থানীয় এক যুবক উত্ত্যক্ত করতো। তাকে বিভিন্ন সময়ে বুঝানো হয়েছে। কথা না শুনায় তাকে শাসন করা হয়েছিল। সেই ছেলে ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তদন্ত করলে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবেতিনি আরো বলেন, “আমি শিক্ষার্থীদেরকে সন্তানের মতো দেখি। সেভাবেই আদর-শাসন করি। তদন্ত করে সঠিক বিষয়টি বের করার জন্য ঊর্ধ্বতনদের আহ্বন জানাচ্ছি।প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলায় অংশ নেওয়া ঝুমা বেগম নামে এক অভিভাবক বলেন, “বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার ক্লাস নেওয়ার সময় আমাদের মেয়ের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়েছেন।” একই দাবি করেছেন সুমি বেগম নামে অপর এক নারী।

আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজেদা বেগম বলেন, “আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা অফিসে প্রবেশ করে হামলা করেন। একপর্যায়ে তারা জুতা দিয়ে পেটাতে থাকেন। আমরা অনেক কষ্টে প্রধান শিক্ষককে হামলাকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করি।”

মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়া ঘটনাস্থলে যান। তিনি ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে অভিভাবকদের আশ্বস্ত করেন।

মধুপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জেনে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও নাজমুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।”

বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

টাঙ্গাইলে ৪ মাসের সন্তান বিক্রি করে পায়ের নূপুর মোবাইল কিনলেন মা!  উদ্ধার করল পুলিশ

টাঙ্গাইলে ৪ মাসের সন্তান বিক্রি করে পায়ের নূপুর মোবাইল কিনলেন মা! উদ্ধার করল পুলিশ

স্বামীর সঙ্গে কলহের জেরে ৪ মাসের শিশু সন্তানকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে নাকের নথ, পায়ের নুপুর, মোবাইল ফোন ও জুতা কিনেন লাবনী আক্তার লিজা নামে এক মা। তবে এখন তিনি অনুতপ্ত।

সম্প্রতি এমন ঘটনা ঘটে টাঙ্গাইলের মধুপু্র পৌর শহরের পুন্ডুরা সেওড়াতলা এলাকায়। ঘটনাটি এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় লাবনীর স্বামী রবিউল ইসলাম মধুপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে শিশুটি উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ।


এরপর শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য রাতভর অভিযান চালিয়ে শিশুটি উদ্ধাররর পর শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।শিশুটির পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মধুপুর উপজেলা পৌর শহরের পুন্ডুরা শেওড়াতলা এলাকার আজম আলীর ছেলে রবিউল ইসলামের সঙ্গে গোপালপুর উপজেলার বলাটা গ্রামের লিটন মিয়ার মেয়ে লাবনী আক্তার লিজার ২ বছর আগে বিয়ে হয়। এরআগে তাদের ফেসবুকে পরিচয় হয়।
বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই রবিউলের অসচ্ছলতার কারণে তাদের মধ্যে কলহ দেখা দেয়। এরমধ্যেই গত ৪ মাস আগে তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়।

লাবনীর স্বামী রবিউল ইসলাম বলেন, তামিমের জন্মের পর থেকে সংসারে শান্তি নেমে আসে। অল্প কয়েক দিন আগে লাবনী আমার ছেলে তামিমকে নিয়ে লাবনীর বোনের বাড়ি ভূঞাপুরে যায়। কয়েক দিন পর বাড়ি আসতে বললে লাবনী দুর্ব্যবহার করে। আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। তার কয়েক দিন পর আবার ফোন করে বলি তামিমের দাদা অসুস্থ। ছেলেকে নিয়ে আসো। সে তামিমকে দেখতে চাচ্ছে। লাবনী তাতেও ফিরে আসেনি।

তিনি আরও বলেন, অনেক যোগাযোগের পর গত বৃহস্পতিবার লাবনী সন্তান বিক্রি করে ফেলার খবর দেয়। পরে কৌশলে লাবনীকে ভূঞাপুর থেকে পাকুটিয়ায় ডেকে এনে ধরে বাড়ি নিয়ে আসি। এ সময় সে শিশু তামিমকে বিক্রি করার কথা স্বীকার করে। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানালে শিশুটি উদ্ধার করে আমাদের কাছে ফেরত এনে দেয়।

শিশু তামিমের মা লাবনী আক্তার লিজা বলেন, আমার মাথা ঠিক ছিল না। আমি মনির নামের একজনের সহযোগিতায় গত ১০ এপ্রিল সিরাজগঞ্জের এক লোকের কাছে ৪০ হাজার টাকায় তামিমকে বিক্রি করি। ওই টাকা দিয়ে মোবাইল, পায়ের নূপুর ও নাকের নথ কিনছি। এইডা আমার ভুল হয়েছে। নিজ সন্তানকে বিক্রি করায় আমি অনুতপ্ত।

মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল কবীর বলেন, গত বৃহস্পতিবার লাবনী নামের এক মা তার ৪ মাসের সন্তানকে বিক্রি করেছে বলে আমাদের জানায় তার স্বামী। পরে ওসি তদন্ত রাসেল আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে শুক্রবার সকালে রবিউল ও তার স্ত্রী লাবনী কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৪

টাঙ্গাইলে প্রাইভেট কার-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুই বন্ধুর মৃ্ত্যু

টাঙ্গাইলে প্রাইভেট কার-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুই বন্ধুর মৃ্ত্যু

টাঙ্গাইলের মধুপুরে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারের সংঘর্ষে দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার কাকরাইদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে তিন বন্ধু মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়। 

এসময় ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ময়মনসিংহগামী একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। 

এতে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলের একজন নিহত হন। আহত আহত হন দুইজন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়। 


সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০২৩

মধুপুরে এক বস্তা কঙ্কালসহ এক যুবক আটক

মধুপুরে এক বস্তা কঙ্কালসহ এক যুবক আটক

সাইদুর রহমান সমীর, টাংগাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মধুপুরে মানুষের কঙ্কালসহ ওমর আলী (৪০) নামের একজনকে আটক করেছে স্থানীয় পাহারাদাররা।

সোমবার (২ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার মোটেরবাজার এলাকা থেকে স্থানীয় পাহারাদাররা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

আটক ওমর আলী উপজেলার বেরীবাইদ ইউনিয়নের গুবুদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

পাহারাদার বয়েস উদ্দিন ও শাহজাহান আলী জানান, আটক লোকটির বস্তায় কবর থেকে তুলে আনা মানুষের মাথার খুলি, হাত-পাসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গের হাড় পাওয়া যায়। পরে তাকে আটক করে পুলিশ খবর দেওয়া হয়। পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়।

আউশনারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, ভোরে মোটেরবাজার এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ওই যুবককে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করা হয়। এসময় তার হাতে থাকা বস্তায় তল্লাশি চালিয়ে মৃত মানুষের কঙ্কাল পাওয়া যায়। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, বস্তা থেকে মাথা, ডান হাত, দুই পাসহ কোমরের নিচের অংশবিহীন মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মেডিকেল কলেজে কঙ্কাল বিক্রি করার যে চক্র আছে, ওমর আলী সেই চক্রেরই সদস্য। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

টাঙ্গাইলে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করল স্বামী!

টাঙ্গাইলে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করল স্বামী!

টাঙ্গাইলের মধুপুরে শালিসি বৈঠকে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করেছেন রুবেল ফকির (৩৫) নামের এক যুবক। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার কুড়াগাছা ইউনিয়নের চাপাইদ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ২০২১ সালের ২৭ মে পারিবারিকভাবে উপজেলার কুড়াগাছা ইউনিয়নের চাপাইদ গ্রামের হাসমত আলী ফকিরের ছেলে রুবেল ফকিরের সঙ্গে একই উপজেলার কুড়াগাছা উত্তরপাড়া গ্রামের সুরুজ আলীর মেয়ে রুমি আক্তারের (৩০) বিয়ে হয়। তাদের সংসার জীবন শুরুর আগে উভয়েরই বিয়ে হয়ে ছিল এবং দুজনেরই আগের সংসারে একটি করে ছেলে রয়েছেরুবেল মিয়া বিয়ের পর থেকেই উভয়ের ঘরের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে সংসার জীবন অতিবাহিত করছিলেন। কিছুদিন যাওয়ার পর থেকেই রুবেল ফকিরের সন্তানের প্রতি অবহেলা শুরু করেন রুমি আক্তার। বিষয়টি রুবেলের নজরে এলে সংসারে মনোমালিন্য শুরু হয়। এ নিয়ে কলহ দিন দিন বাড়তে থাকে। একাধিকবার শালিসি বৈঠক হলেও পরে সমাধান হয়নি।


সাম্প্রতিককালে একে অপরের প্রতি নানা অভিযোগ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে রুবেল ফকির রুমি আক্তারের সন্তানকে বাড়িতে রাখতে অসম্মতি জানায়। বিষয়টি ঘিরে তাদের দ্বন্দ্ব প্রকট হয়। প্রতিদিনের কলহে সংসারে অশান্তি নেমে আসে। অবশেষে গত রোববার কুড়াগাছা ইউনিয়নের চাপাইদ গ্রামে স্থানীয় মাতব্বরদের উপস্থিতিতে শালিসি বৈঠক হয়।ওই বৈঠকে রুবেল ফকির রুমি আক্তারকে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা দেওয়ার শর্তে তাদের দাম্পত্য জীবনের পরিসমাপ্তি হয়। শালিসি বৈঠকে রুবেল ফকির নগদ এক লাখ টাকা পরিশোধ করেন। বাকি ৩৫ হাজার টাকা দ্রুতম সময়ে পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দেন।


এই বৈঠক শেষে রুবেল মিয়া বাড়িতে গিয়ে পানির সঙ্গে দুধ মিশিয়ে গোসল করে গোসল করেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

রুবেল মিয়া বলেন, শান্তির আশায় গড়া সংসারে অশান্তি নেমে এসেছিল। শালিস, শালিস, শালিস আর ভালো লাগে না। অবশেষে উভয়ের সম্মতির ভিত্তিতে সংসারে ইতি টেনে দুধ দিয়ে গোসল করে প্রশান্তি পাচ্ছি।

গ্রাম্য মাতব্বর আব্দুল মান্নান ও ওসমান আলী জানান, অটোরিকশা চালক রুবেল মিয়া ও গৃহবধূ রুমি আক্তারের সম্মতির ভিত্তিতেই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০২৩

টাঙ্গাইলে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

টাঙ্গাইলে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

টাঙ্গাইলে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় লিটন মিয়া (২০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

৯ আগস্ট, বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মাহবুবুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লিটন মিয়া টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার পরীগাছা গরম বাজার গ্রামের ছোয়াদ আলীর ছেলে।

টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আলী আহমদ জানান, দণ্ডিত আসামি লিটন মিয়ার সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক হয়। এই সুবাদে তার সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর বিকেলে ভিকটিমের মা বাড়ির বাইরে থাকায় দণ্ডিত আসামি ভিকটিমের বাড়িতে এসে তার ঘরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে ভিকটিম ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে। পরে বিয়ের কথা বললে, ভিকটিমকে বিয়ে না করে হুমকি দেয়। এতে ভিকটিমের মা বাদি হয়ে মধুপুর থানায় ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত শেষে মধুপুর থানার এস আই ছানোয়ার হোসেন ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন।

ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুটির ভরণ পোষণের দায়িত্ব রাষ্ট্র বহন করবে।

বাদি পক্ষের মামলা দায়ের থেকে শেষ পর্যন্ত এই মামলায় আইনগত সহায়তা প্রদান করেন মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ ও বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে অ্যাডভোকেট জিনিয়া বখ্শ।

সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩

টাঙ্গাইলে বাস চাপায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর

টাঙ্গাইলে বাস চাপায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাস চাপায় রাহাত (২২) নামে মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক নিহত হয়েছে।

সোমবার(৭ আগষ্ট )বিকেলে উপেজলার গোলাবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রাহাত উপজেলার টেকিপাড়া এলাকার জালালের ছেলেমধুপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম জানান, বিকেলে বিনিময় পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস কেন্দুয়া থেকে মধুপুরে দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে বাসটি গোলাবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলকে সামনে থেকে চাপা দেয়। 

এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী রাহাত নিহত হয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান,এ ঘটনায় ঘাতক বাসটিকে আটক করা গেলেও এর চালক পালিয়ে যায়। আইনী প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ফ্রিল্যান্সিংয়ের আড়ালে পর্নোগ্রাফি; ৪ যুবকের দণ্ড

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ফ্রিল্যান্সিংয়ের আড়ালে পর্নোগ্রাফি; ৪ যুবকের দণ্ড

সাইদুর রহমান সমীর,টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের মধুপুরে পর্নোগ্রাফি ও মাদক সংক্রান্ত অপরাধের দায়ে পৃথক দুইটি অভিযান চালিয়ে চার যুবককে অর্থদণ্ডসহ ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।এ সময় পর্নোগ্রাফির কাজে ব্যবহ্যত ৬টি ল্যাপটপ, একটি ডেস্কটপ ও ১০ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীমা ইয়াসমীন এবং সহকারী কমিশনার( ভূমি) জাকির হোসাইন পৃথক দুটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- মধুপুর পৌর এলাকার কাইতকাই গ্রামের মো.শাহজাহান আলীর ছেলে সালমান খান(২২), মধুপুর সদরের ঝন্টু পালের ছেলে অনন্ত পাল(২১), একই এলাকার মেহেদী হাসান ফাহিম(২৩) ও ধনবাড়ী উপজেলার নরিল্যা গ্রামের মো.রফিকুল ইসলামের ছেলে আশিকুর রহমান(২১)।

উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার পৌর এলাকার টাঙ্গাইল- জামালপুর আলিক মহাসড়কের নয়াপাড়া মসজিদের পাশে সাইফুল ইসলামের বাসা ভাড়া নিয়ে ওই যুবকরা ফ্রিল্যাসিংয়ের ব্যবসার আড়ালে পর্নোগ্রাফির মতো অপরাধমুলক কাজ করতো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমীন, সহকারি কমিশন (ভূমি) জাকির হোসাইনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ওই চার যুবকে আটক ও তাদের ব্যবহ্যত ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল জব্দ করা হয়। এ সময় তাদের অফিস থেকে মাদকও উদ্ধার করা হয়। তাদের ব্যবহৃত অফিসটি সিলগালা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পর্নোগ্রাফি ও মাদক রাখার অপরাধে তাদের প্রত্যককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।

উল্লেখ্য, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ফ্রিল্যাসিংয়ের নামে উঠতি বয়সের যুবকরা রাত জেগে নেটের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। ফ্রিল্যাসিংয়ের আড়ালে পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে লাখ-লাখ টাকা উপার্জনে মেতে উঠে তারা। রাতভর তাদের ছুটাছুটি ও মাদক খেয়ে চিল্লাচিল্লিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে স্থানীয়ারা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং, মাদক গ্রহন ও পর্নোগ্রাফির। স্থানীয় প্রশাসন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৌর এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালালে বেড়িয়ে আসে ফ্রিল্যাসিংয়ের নামে পর্নোগ্রাফির ব্যবসা ও মাদক খাওয়ার চিত্র।

মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০২৩

টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল যুবকের

টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল যুবকের

টাঙ্গাইলের মধুপুরে মোটরসাইকেল ও পিকআপভ‍্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বপন মিয়া (২৪) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে উপজেলার আউশনারা ইউনিয়নের কাকরাইদ-গারোবাজার আঞ্চলিক সড়কের ইদিলপুর গোরস্থান ঈদগাহ সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় অপর দুই মোটরসাইকেল আরোহী অপু কুমার দাস (২৫) ও মনির হোসেন (১৭) আহত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম।

নিহত স্বপন মিয়া উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের রামকৃষ্ণবাড়ি গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে। সে কাকরাইদ বাজারে তার মামা মফিজের হার্ডওয়ারের দোকানে কাজ করতেন।

ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দুপুরে স্বপন ব‍্যবসায়ীক কাজ শেষে গারোবাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে তার কর্মস্থলে ফিরছিলেন । অপর দিকে একটি পিকআপভ্যান প্রচণ্ড গতিতে গারোবাজারের দিকে যাচ্ছিল। কাকরাইদ-গারোবাজার আঞ্চলিক সড়কের ইদিলপুর গোরস্থান ঈদগাহ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে পিকআপভ্যান ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। 

এতে ঘটনাস্থলেই স্বপন মিয়া নিহত হয়। দুর্ঘটনায় আহত হয় অপর দুই মোটরসাইকেল আরোহী। তারা বর্তমানে মধুপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল আমিন জানান, দূর্ঘটনার কথা জেনেছি। তবে এই ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের জিম্মায় মরদেহটি দাফনের জন‍্য হস্তান্তর করা হয়েছে।

বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩

টাঙ্গাইলে শ্বশুর বাড়ির অপমান সইতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা

টাঙ্গাইলে শ্বশুর বাড়ির অপমান সইতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা

টাঙ্গাইলের মধুপুরে আলমগীর হোসেন (২২) নামে এক যুবক গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। আলমগীর মধুপুর পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের আকাশী ফুলবাড়ী গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে। বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে নিজ বাড়ির দাদীর রুমে প্রবেশ করে আত্মহত্যা করেন তিনি।

জানা যায়, আলমগীর সকালে তার শশুর বাড়ী এসে তার দাদীর রুমে যায়। দাদী অসুস্থ থাকায় মধুপুর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তার দাদী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে বিকালে বাড়ীতে এসে দেখেন দরজা বন্ধ।

এরপর দরজা ভেঙে দেখতে পায় তার নাতী আলমগীর ফাঁসিতে ঝুলে রয়েছেন। ঝুলন্ত অবস্থায় ডাক-চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে আসেন এবং পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।মধুপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কমিশনার বেশর আলী ফকির আলমগীরের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, সকালে তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন তাকে মারধর করেছে বলে জানতে পেরেছি। হয়তো এই লজ্জায় সে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা।

এ ব্যাপারে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল আমিন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় আলমগীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩

টাঙ্গাইল চুরির ৫ মাস পর বাছুরসহ গাভী ফিরিয়ে দিলো চোর

টাঙ্গাইল চুরির ৫ মাস পর বাছুরসহ গাভী ফিরিয়ে দিলো চোর

টাঙ্গাই‌লের মধুপু‌রে প্রায় ৫ মাস আ‌গে দি‌নে দুপু‌রে চু‌রি করা গরু ও বাছুর ফেরত দি‌য়ে‌ছে চোর। এ‌তে চো‌রের সুম‌তি হ‌য়ে‌ছে ব‌লে মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা। 

এমনই ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কুড়ালিয়া ইউনিয়নের মহন গ্রামে। রোববার (১২ মার্চ) ভোরে মধুপুর উপজেলার কুড়ালিয়া ইউনিয়নের মহন গ্রামের শাহজাহান আলীর বা‌ড়ির পা‌শে এক‌টি গা‌ছে বাছুরসহ গরু‌টি বেঁধে রে‌খে যায় ওই চোর। শাহজাহান আলী নরসিংদী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে চাকরি করেন।

জানা যায়, প্রায় ৫ মাস আগে শুক্রবার দি‌নের বেলায় জুমার নামাজের সময় বাড়ির পাশে বেঁধে রাখা ক্রস জাতের গাভি গরুটি চুরি হয়ে যায়। চুরি হওয়ার সময় গাভিটি ৫ মাসের গর্ভবতী ছিল। প্রায় দেড় লাখ টাকা মূল্যের ওই গরু হারিয়ে পরিবারটি বেশ বেকায়দায় পড়ে যান। স্বজনরা মিলে বাজার ও গ্রামে গ্রামে খোঁজাখুঁজি ক‌রেও হ‌দিস পান‌নি। 

ত‌বে চু‌রি হওয়ার ৫ মাস পর গরু ফিরে পাওয়ার এমন বিরল ঘটনায় ওই পরিবার ও স্থানীয় লোকজন অবাক। ফিরে পাওয়া গাভি ও বাছুরটি দেখতে আসছেন অনেকেই।  গরুর মালিক শাহজাহান জানান, গাভিটি না পেয়ে প্রতি ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে গরু ও বাছুরটির নিরাপত্তার জন্য দোয়া করি। 

সকালে ছেলে মোবাইলে ঘটনাটি জানায়। বাড়ি আসবো আসবো করে এমন খবর পেয়ে এখন বাড়ি ফিরছি। যে গরুটি চুরি করেছিল তার সুমতি হয়েছে দেখে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। আর দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের হেদায়েত দান করেন।

বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৩

টাঙ্গাইলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কলেজছাত্রী

টাঙ্গাইলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কলেজছাত্রী

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বিয়ের দাবিতে দুদিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক কলেজছাত্রী (১৮)। 

উপজেলার কুড়াগাছা ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামে প্রেমিক রাকীব হোসেনের (২১) বাড়িতে অনশন করছেন ওই কলেজছাত্রী। প্রেমিক রাকীব ওই গ্রামের ব্যবসায়ী আবদুর রহিমের ছেলে।

অন্যদিকে প্রেমিকা কলেজছাত্রী ঘাটাইল উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নের চানতারা মালিরবাগ গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকাল থেকেই অনশন করছেন তিনি।ওই কলেজছাত্রী জানান, ঘাটাইল জিবিজি কলেজে পড়ার সময়ে দুজনের পরিচয় হয়। 

একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাঝেমধ্যেই তারা দেখা করতেন। বিয়ের কথা বলে রাকীব তাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন। কিন্তু বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখন যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে রাকীব। এত দিনের সম্পর্ক ভুলতে পারছি না, আমি নিরুপায়। ওই কলেজছাত্রী আরও জানান, কোনো উপায় না পেয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে অনশনে বসেছেন তিনি। বাড়ির ভেতরে গেলে রাকীব ও তার পরিবারের লোকজন মারধর করে বাড়ির বাইরে বের করে দিচ্ছে। 

মোবাইল ফোন কেড়ে নিচ্ছে। এ জন্য গেটের বাইরে অবস্থান করছেন তিনি। ব্যাপারে প্রেমিক রাকীবের বাবা আবদুর রহিম বলেন, মেয়েটি এসেছে এবং আমার বাড়ির গেটের সামনে অবস্থান করছে বলে জানতে পারি।

কুড়াগাছা ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক সরকার বলেন, মেয়েটি ওই বাড়িতেই ছিল। নিরাপত্তার জন্য আমার বাড়িতে নিয়ে এসেছি।

মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২

মধুপুরে স্ত্রীর গর্ভের সন্তান নষ্ট করায় স্বামীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মধুপুরে স্ত্রীর গর্ভের সন্তান নষ্ট করায় স্বামীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাইদুর রহমান সমীর, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মধুপুরে স্ত্রীকে নির্যাতন করে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার অভিযোগে স্বামীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগি মোছা. আমিনা খাতুনের অভিযোগ, মধুপুর থানায় মামলা না নেওয়ায় তিনি টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মধুপুর থানা আমলী আদালতে মামলাটি করেন। 

গত রোববার(০৬ নভেম্বর)  আদালতের বিচারক মো. মাহবুবুর রহমান মামলাটি গ্রহণ করে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন, মধুপুর উপজেলার কুড়ালিয়া ইউনিয়নের বানিয়াবাড়ী গ্রামের মো. আব্দুছ ছাত্তারের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম সোহাগ, তার আগের স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার, ভাই জাকির হোসেন, পিতা আব্দুছ সাত্তার ও মা জায়দা বেগম।

মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে একই উপজেলার শালিকা গ্রামের মেয়ে আমিনা খাতুনের সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম সোহাগের বিয়ে হয়। সোহাগ আগের বিয়ে বিষয়টি গোপন করে কাবিন নামায় অবিবাহিত লিখে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর আমিনা খাতুন জানতে পারেন সোহাগের আগেরও স্ত্রী আছে। পরে সোহাগের প্রথম স্ত্রী বৃষ্টি আক্তারের সাথে পরিচয় হয় আমিনার। পরবর্তীতে সোহাগ আমিনা খাতুনকে নিয়ে উপজেলার মালাউড়ি গ্রামে বাসা বাড়া করে একত্রে বসবাস শুরু করে। এক পর্যায়ে আমিনা আক্তার সাত সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা হয়। জানতে পেরে হঠাৎ করে আমিনা খাতুনকে ফেলে রেখে স্বামী সোহাগ আগের স্ত্রীর কাছে নিজ বাড়িতে চলে যায়। ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোন খোঁজ খবর না পেয়ে আমিনা বেগম মামলার স্বাক্ষীদেররকে সাথে নিয়ে সোহাগের বাড়িতে যায়। আমিনাকে দেখে সোহাগ রাগান্বিত হয়ে লাঠি দিয়ে মারপিট করে জখম করে। প্রথম স্ত্রী বৃষ্টি আক্তারের হুকুমে পেটের বাচ্চাসহ খুন করার উদ্দেশ্যে তলপেটে স্বামী সোহাগ এলোপাথাড়ি লাথি মারে। একপর্যায়ে আমিনার খাতুনের রক্তপাত শুরু হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় আমিনা খাতুনকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরিক্ষা করে জানান ভ্রুণ নষ্ট হয়ে গর্ভপাত হয়ে গেছে।

আমিনা খাতুন বলেন,  বিয়ের পর আমি আমার স্বামীর বাড়িতে যেতে চাইলে না নিয়ে টালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে জানতে পারি তার আগেরও বৃষ্টি আক্তার নামের আরেকটা স্ত্রী আছে। তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হওয়ার পর বুঝতে পারি কেন আমার স্বামী আমাকে বাড়িতে নিতে চায়নি। পরে  মধুপুর একটি বাড়া বাসা নেয় এবং আমরা একসাথে বসবাস শুরু করি। পরবর্তীতে আমি অন্তঃসত্ত্বা হলে আমার স্বামী জানতে পেরে আমাকে একা ফেলে রেখে চলে যায়। আমি কোন উপায় না দেখে সোহাগের বাড়িতে যাই। এসময় আমার স্বামী সোহাগ আমাকে মারপিট শুরু করে। তার প্রথম স্ত্রী বৃষ্টি আক্তারসহ দুজন মিলে আমার পেটে এলোপাথাড়ি লাথি মারে এবং রক্তপাত শুরু হয়। এভাবে তারা আমার পেটের সন্তানকে মেরে ফেলেছে। পরে সোহাগের ভাই, বাবা এবং মা তাঁরাও আমাকে বেধড়ক মারপিট করে। এসময় আমি অজ্ঞান হয়ে গেলে স্বাক্ষীগণ উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমাকে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে সোহাগের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে সোহাগের বাবা আব্দুছ সাত্তারের সাথে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন, আমার ছেলে আমিনাকে কোন মারধর করেনি। সে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

এ বিষয়ে মহিষমারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহির বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়ে মীমাংসা করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে আমিনা সোহাগের বাড়িতে গেলে মারধরের ঘটনা ঘটে এবং আমিনার গর্বের সন্তান নষ্ট হয়ে যায় শুনেছি। আর সোহাগ আগের বিয়ে গোপন করে কাবিন নামায় অবিবাহিত মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিয়ে করে কাজটি ঠিক করেননি।

এ বিষয়ে মধুপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন বিপিএম বলেন, মামলা না নিলেও একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি উত্তর) অফিসার ইনচার্জ মীর মোশারফ হোসেন বলেন, আদালত থেকে এখনও কোন কাগজ পত্র পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০২২

টাঙ্গাইলে মৌমাছির কামড় থেকে বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

টাঙ্গাইলে মৌমাছির কামড় থেকে বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে মৌমাছির কামড়ে তানভীর হাসান (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তানভীর মধুপুর উপজেলার বেরীবাইদ ইউনিয়নের মাগুন্তিনগর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।

তানভীরের মামা সোলায়মান সেলিম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তানভীরের বাবা আব্দুল খালেক বাড়ি থেকে মুদির দোকানে যাচ্ছিলেন। বাড়ির অদূরে মৌমাছির ঝাঁক তাকে আক্রমণ করে। চিৎকার শুনে বাড়ি থেকে দৌড়ে আসে বড় ছেলে তানভীর হাসান। 

মাটিতে লুটিয়ে পড়া বাবাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাতেই মৌমাছির ঝাঁক তার ওপর আক্রমণ চালায়। সে খালি গায়ে থাকায় মুহূর্তের মধ্যেই পুরো শরীরে পালাক্রমে মৌমাছি কামড়াতে থাকে। মৌমাছির আক্রমণ থেকে বাঁচতে তানভীর দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে। একপর্যায়ে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে চিৎকার করতে থাকে। 

এ সময় আশপাশের লোকজন আগুনের ধোঁয়া তৈরি করে মৌমাছি তাড়িয়ে তানভিরকে উদ্ধার করে। পরে তানভিরকে দ্রুত মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়।

তিনি আরও জানান, অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার উন্নতি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় তার মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, তানভীর সরকারি সাদত কলেজ থেকে চলতি বছর শিক্ষাজীবন শেষ করেছেন। গত ১৩ অক্টোবর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।

বুধবার, ৫ অক্টোবর, ২০২২

মধুপুরে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই

মধুপুরে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার পীরগাছা রাবার বাগান এলাকায় গলায় রশি পেঁচিয়ে চালককে হত্যা করে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার (৩ অক্টোবর) রাতে পীরগাছা রাবার বাগানের ভবানীটেকি বাজারের পাশে একটি ড্রেন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।


নিহত অটোরিকশা চালক ইয়াকুব আলী(২২) পাশের ধনবাড়ী উপজেলার ভাইঘাট জমশেদপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে।


পরিবারের সদস্যরা জানায়, রোববার (২ অক্টোবর) সকালে ইয়াকুব তার অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।


মধুপুর থানার পরিদর্শক ফরহাদ হোসেন জানান, বিষঢটি পুলিশকে জানানোর পর চর্তুদিকে তাদের কয়েকটি দল ইয়াকুবকে খুঁজতে থাকে। পরে সিআইডির বিশেষজ্ঞ দল সোমবার রাতে মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় তার অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোনো এক সময় যাত্রীবেশী দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে গেছে।