টাঙ্গাইলের সখীপুরে জাহানারা (২৪) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার চতলবাইদ দক্ষিণপাড়া এলাকার আনিছ মিয়ার স্ত্রী এবং উপজেলার গজারিয়া গ্রামের জোয়াহের আলীর মেয়ে। আজ শুক্রবার ভোরে স্বামীর বাড়ি থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গৃহবধূটির বাবার বাড়ির সদস্যদের দাবি, তাঁকে খুন করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে স্বামীর দাবি, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিমান করে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
জাহানারার বাবার পারিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ছয় বছর আগে উপজেলার চতলবাইদ গ্রামের আহাম্মদ আলীর ছেলে আনিছের সঙ্গে জাহানারার বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে আহসান হাবীব (৪) নামের একটি ছেলেও রয়েছে। কয়েক মাস ধরে আনিছ বিদেশে যাওয়ার জন্য জাহানারাকে বাবার বাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা এনে দিতে বলছিলেন। কিন্তু এতে রাজি হয়নি জাহানারা। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে খবর আসে জাহানারা ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।
জাহানারার মা মমতা বেগম বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার ৮টার দিকেও মেয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়। তখনো সব ঠিকঠাকই ছিল। রাত ১টার দিকে খবর পাই মেয়ে মারা গেছে। কয়েক দিন ধরে মেয়েকে টাকার জন্য নানাভাবে চাপ দিচ্ছিল জামাই।’
চাচাতো ভাই শাওন আহমেদ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ওই বাড়িতে যাই। গিয়ে দেখি ঘরের বাইরে বোনের মরদেহ। আমাদের ধারণা তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এ নিয়ে থানায় হত্যা বা আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করতে গেলে পুলিশ আমাদের মামলা নেয়নি।’ এ নিয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে জাহানারার স্বামী আনিছ মিয়া বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনায় আমার মা-বাবার সঙ্গে রাগ করে আমার স্ত্রী নিজ ঘরেই ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।’
এ বিষয়ে সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল করিম বলেন, ‘আপাতত একটি অপমৃত্যুর মামলা নেওয়া হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইলে পাঠানো হয়েছে।’