ভুয়াপুর লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ভুয়াপুর লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ১১ জুন, ২০২৫

টাঙ্গাইলে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের সামরিক অস্ত্র ১১ টি মর্টার শেল উদ্ধার

টাঙ্গাইলে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের সামরিক অস্ত্র ১১ টি মর্টার শেল উদ্ধার

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের সামরিক অস্ত্র ১১ টি বিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়েছে।

গত বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের পাটিতাপাড়ার যমুনা নদীর পাড় থেকে পরিত্যক্ত এই মর্টার শেলগুলো উদ্ধার করা হয়।


ধারণা করা হচ্ছে— মর্টার শেলগুলো ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের সামরিক অস্ত্র। মরিচা ধরা অবস্থায় মর্টার শেলগুলো একত্রে পড়ে ছিল। কিছু শেলের গায়ে জং ধরে গেছে। আবার কিছু শেলের ভেতরের অংশ ফাঁপা হয়ে আছে।স্থানীয়রা জানান— শাহাদত নামে এক ব্যক্তি যমুনা নদীর পাড়ে মাছ ধরতে গিয়ে প্রথমে মর্টার শেলগুলো দেখতে পান। হঠাৎ এসব বস্তু দেখতে পেয়ে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।


এরপর আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানালে মর্টার শেলগুলো এক নজর দেখতে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে ভিড় জমায় এবং পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মর্টারশেল গুলো উদ্ধার করে।এলাকাবাসীর দাবি— উদ্ধার হওয়া মর্টার শেলগুলো মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের স্মারক। তাদের মতে, ১৯৭১ সালে এই পাটিতাপাড়া ও মাটিকাটা যমুনা নদীর তীরে পাকিস্তানি বাহিনীর একটি যুদ্ধ জাহাজ ধ্বংস হয়েছিল। এগুলো সেই সময়েরই হবে।

পাটিতাপাড়া এলাকার রুবেল সরকার, মনির মণ্ডল ও রফিকুল ইসলামসহ আরও অনেকে জানান— তাদের পূর্বপুরুষদের মুখে শুনেছেন এই এলাকায় একটি পাকিস্তানি যুদ্ধ জাহাজ ধ্বংস হয়েছিল। সেই স্মৃতিই আজ যেন আবার ফিরে এসেছে এই মর্টার শেল উদ্ধারের মাধ্যমে।

নিকরাইল ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান— ঘটনাস্থলে এসে আমি মর্টার শেলগুলো নিজ চোখে দেখে তাৎক্ষণিক ভূঞাপুর থানায় খবর দেই। পরে পুলিশ এসে সেগুলো উদ্ধার করেছে।

ভূঞাপুর থানার অফিস ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান— স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মর্টার শেলগুলো উদ্ধার করে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মর্টার শেলগুলো মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের। এর ভিতরে কোনো বিস্ফোরক নেই।

বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪

টাঙ্গাইলে প্রেমিকাকে না পাওয়ায় কলেজছাত্রের আ**ত্ম**হ**ত্যা

টাঙ্গাইলে প্রেমিকাকে না পাওয়ায় কলেজছাত্রের আ**ত্ম**হ**ত্যা

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মঞ্জুর কাদের (১৮) নামে এক কলেজছাত্র গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। 

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকালে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রাউৎবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত মঞ্জুর কাদের গাবসারা ইউনিয়নের ভদ্রশিমুল (বর্তমান গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রাউৎবাড়ী) গ্রামের মো. দুলাল হোসেনের ছেলে ও ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঞ্জুর কাদেরের সঙ্গে এক বছর আগে সহপাঠী এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মেয়েটির অন্য জায়গা বিয়ের কথা চলায় মঞ্জুরকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। ছেলেটি তার সম্পর্কের কথা তার বোনকে জানালে তার বোন ভাইয়ের চাকরি না হওয়া পর্যন্ত ওই মেয়েকে ধৈর্য ধরতে বলেন। 

কিন্তু মেয়েটি বারবার তাকে বিয়ে করার চাপ দেয় মঞ্জুরকে। সে এসব চাপ সহ্য করতে না পেরে এবং মেয়েটিকে বিয়ে করতে না পেরে বৃহস্পতিবার সকালে ঘরের ধরনার সঙ্গে গলায় ওড়না ও গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।মঞ্জুরের বোন সুমি জানান, গতকাল রাতে একই ঘরের একরুমে আমার বাবা মা ও আরেক রুমে আমার ভাই মঞ্জুর ঘুমায়। 

সকালে ঘুম থেকে উঠে বাবা ভ্যানগাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে যায় এবং মা ঘুমিয়েই থাকে। এই সুযোগে আমার ভাই সকালে তার রুম থেকে উঠে পাশের খালি রুমে গিয়ে ঘরের ধরনার সঙ্গে ওড়না ও গামছা গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আহসান উল্লাহ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়। 

ওই লাশের সুরতহাল করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন

সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪

টাঙ্গাইলে বকেয়া বিল চাওয়ায় পল্লী বিদ্যুতকর্মীকে আটকে রেখে মারধর

টাঙ্গাইলে বকেয়া বিল চাওয়ায় পল্লী বিদ্যুতকর্মীকে আটকে রেখে মারধর

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পল্লী বিদ্যুতের বকেয়া বিল আদায় করতে গিয়ে মারপিটের শিকার হয়েছেন সাব-জোনাল অফিসের শাহীন আলম নামে এক বিদ্যুৎ কর্মী। এতে শুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (০১ জুলাই) সকালে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর টাঙ্গাইলের ৬নং এলাকার পল্লী বিদ্যুত সমিতির পরিচালক সন্তোষ কুমার দত্ত এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।



এরআগে গত রবিবার ৩০ জুন বিকালে উপজেলার কুঠিবয়ড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শাহীন আলম ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ ভূঞাপুর সাব জোনাল অফিসের লাইনম্যান (লেভেল-১) হিসেবে কর্মরত।


পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাব-জোনাল অফিসের এজিএম (ওএন্ডএম) মনমোহন চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে ঘটনার দিন রাতে ২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।


শাহীনের সহকর্মী কায়সার জানান, কুঠিবয়ড়া বাজারে সেলিম মিয়ার দোকানে ৬ মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল। সেখানে গিয়ে প্রথমে তাদের বিদ্যুত বিল পরিশোধ করতে বলা হয়। কিন্তু তারা কিছুতেই দিতে চায়নি। পরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে যাওয়ায় সেলিম ও তার ছেলে হৃদয় আমাদের উপর হামলা করে।


এতে আমার সহকর্মী শাহীন আলম গুরুত্বর আহত হয়। এছাড়াও মারধরের পর বাজারেই আটকিয়ে রাখা হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় মুক্তি পেয়ে হাসপাতালে যাওয়া হয়। হাসপাতালে শাহীনকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ভূঞাপুর সাব-জোনাল অফিসের সহকারি কৌশলী মাহবুবুর রহমান খান জানান, সেলিম মিয়ার দোকানে ৫ হাজার ৩০০ টাকার মতো বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল। গতকাল বিদ্যুতের বকেয়া আদায় করতে গেলে কর্মীদের উপর হামলা করা হয়। এরপর থানায় খবর দিলে ভূঞাপুর থানার এসআই মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ঘটনার দিন রাতেই দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ভূঞাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান জানান, পল্লী বিদ্যুতের লোকজন বকেয়া আদায় করতে গিয়েছিল। এসময় বকেয়া পরিশোধ না করায় তারা বিদ্যুৎ সংযোগ করতে গেলে তর্কাতর্কি একপর্যায়ে লাইনম্যানদের উপর হামলা করে। পরে খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান উল্লাহ্ বলেন, পল্লী বিদ্যুতের ২ কর্মীকে মারধরের ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪

টাঙ্গাইলে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল

টাঙ্গাইলে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দিন দিন বেড়েই চলছে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত। তাদের চলাফেরা ও বিভিন্ন অপরাধমূলক অপকর্মের প্রতিবাদ বা সচেতন করতে গেলেই শিকার হতে হয় হয়রানি, মারধর এবং প্রতিবাদকারীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বেপরোয়া কিশোর গ্যাং সদস্যরা।

সম্প্রতি গত কয়েকদিন আগে ভুঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পুকুর পাড়ের রাস্তা থেকে মোটরসাইকেল সরাতে বললে ভূঞাপুর পৌরসভার ঘাটান্দি গ্রামের গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার নামে এক প্রবাসী মারধরের শিকার ও তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।


এনিয়ে গত বুধবার ১২ জুন রাতে কিশোর গ্যাংদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঘাটান্দি গ্রামবাসী। এছাড়াও প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয় বিক্ষুদ্ধ জনতা। এরআগে উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সভা করা হয়। 

বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সভায় বক্তারা জানান, উপজেলায় কিশোর গ্যাং, মাদক ও ইভটিজিং বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চিহ্নিত কয়েকটি কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচরে অতিষ্ট মানুষ। মাদক সেবন, মাদক ব্যবসা, চুরি, ছিনতাই, হামলা ঘটনা ঘটছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে ব্যবসায়িক ও সামাজিক নিরাপত্তা। এসময় জননিরাপত্তা এই ইস্যুতে কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।


এ সময় বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন- ভূঞাপুর পৌরসভার কাউন্সিলর খন্দকার জাহিদ হাসান, জেলা পরিষদ সদস্য খায়রুল ইসলাম তালুকদার বাবলু, সাবেক সদস্য আজাহারুল ইসলাম আজহার, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মিনহাজ উদ্দিন প্রমুখসহ এলাকার শতশক লোক অংশ নেন।


এদিকে- হামলার ঘটনায় জড়িত কিশোর গ্যাংদের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগীর পরিবার। হামলার শিকার জাহাঙ্গীরের ভাই মুহাইমিনুল ইসলাম মন্টু জানান, এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। থানায় ওসি না থাকায় সেটি লিপিবদ্ধ হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত ১১ জুন মঙ্গলবার দুপুরে ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরপাড়ের একটি মার্কেটের সামনে পৌরসভার ঘাটান্দি গ্রামের প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম তালুকদারের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বেশ কয়েকজন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ সময় হামলাকারীরা প্রবাসীর কাছে থাকা টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। 

শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩

বদলি হওয়ায় থানার এসি-সোফা খুলে নিলেন ওসি

বদলি হওয়ায় থানার এসি-সোফা খুলে নিলেন ওসি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলামের বদলি হওয়ায় থানায় লাগানো এসি, টেলিভিশন, আইপিএস ও সোফা খুলে নিয়েছেন। পরে আসবাবপত্রগুলো থানা হতে তার কোয়াটারের সামনে রাখা হয়। 

এভাবে থানার জিনিষগুলো খুলে নেওয়ার ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
এদিকে থানার সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য যারা জিনিষগুলো উপহার দিয়েছেন তারা বিরূপ মন্তব্য করেছেন।গতকাল শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে থানার পুলিশ সদস্য উদয় ও বহিরাগত আরিফ এবং ভ্যান চালকের সহায়তায় থানার জিনিষপত্রগুলো খোলা হয়। এরপর সেগুলো থানা হতে ভ্যানযোগে ওসির কোয়াটারে নেওয়া হয়।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার স্বাক্ষরিত স্মারক নং ৫১৭০/১ (৪৯) (আরওআই) আদেশে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার এই বদলির আদেশের পরেরদিন শুক্রবার রাতে থানার এসি, টেলিভিশন, সোফা ও আইপিএস খুলে নেওয়া হয়।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা জানান, জিনসপত্র ব্যক্তিগত কাউকে দেওয়া হয় না। থানায় যে ওসি আসবে সেই ব্যবহার করবে এজন্যই জিনিসপত্রগুলো কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে। এতো নিচু মন মানসিকতার ওসি সেটা জানা ছিল না।

থানার পুলিশ সদস্য উদয় বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে জিনিসপত্রগুলো খুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর সেগুলো ভ্যানযোগে ওসির কোয়াটারে রাখা হয়েছে।

ভূঞাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. লুৎফর রহমান জানান, ওসির টাকায় কেনা জিনিসপত্র হলেতো সে নিতেই পারে। এই বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।

বদলি হওয়া ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, যেগুলো থানা হতে খোলা হয়েছে সেগুলো ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে কেনা। সুতরাং সেগুলো আমি নিতেই পারি।

জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, কারো অনুদানের টাকায় কিনে থাকলে সেগুলো ওসি নিতে পারেন না। যদি ব্যক্তিগত টাকায় কেনা হয় তাহলে নিতে পারবেন। যদিও এই বিষয়ে কিছুই জানি না।

শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩

টাঙ্গাইলে বিল্ডিং করার নামে টাকা আত্মসাৎ করায় জামাই-শ্বশুর গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলে বিল্ডিং করার নামে টাকা আত্মসাৎ করায় জামাই-শ্বশুর গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে কুয়েতের একটি সংস্থার নাম করে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মূলহোতাসহ জামাই ও শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে তাদের টাঙ্গাইল কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মামলার মূলহোতা সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার দড়িপাড়া গ্রামের গোলাম মোহাম্মদের ছেলে মাহবুবুল হক (৪৩), তার সহযোগী বগুড়া সদর উপজেলার ফুলবাড়ী মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে আ. রউফ (৫৬) ও তার মেয়ের জামাই ভূঞাপুর পৌরসভার ফসলান্দি গ্রামের আক্তারুজ্জামান সিদ্দিকীর ছেলে নাজিম সিদ্দিকী (৩৭)।এরআগে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) মূলহোতা মাহবুবুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে থানা পুলিশ তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মাহবুবুল হক তার সহযোগী আ. রউফ ও তার মেয়ের জামাই নাজিম সিদ্দিকীর কথা বলেন।

এরআগে গত বুধবার (১৭ মে) উপজেলার ছাব্বিশা গ্রামের মাসউদ আলী খান বাদী হয়ে মাহবুবুল হককে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।জানা যায়, বিদেশি সংস্থা কুয়েত জয়েন রিলিফ সোসাইটির (কেজিআরসি) নামে একতলা ভবন নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে উপজেলার বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত একতলা ভবনের জন্য মাহবুবুল হক ও তার সহযোগীরা মানুষজনের কাছ থেকে ৪-৫ লাখ টাকা করে নেয়। এসময় মানুষজনকে বিশ্বাস করানোর জন্য বেশ কয়েকটি ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করে তারা।

কিন্তু হঠাৎ করেই উধাও হয়ে যায় কেজিআরসির মাহবুবুল হক, আ. রউফ ও তার মেয়ের জামাই। পরে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও কোন সুরাহা না পাওয়ায় ভুক্তভোগী মাসউদ আলী খান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয় মাসউদসহ উপজেলার বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে গ্রেপ্তারকৃতরা ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা প্রতারণা করে।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, মামলার মূল আসামির সাথে এজেন্ট হিসেবে কাজ করতো জামাই ও শ্বশুর। রিমান্ডে মাহবুবুল হক ওই দুই এজেন্টের কথা বলার পরই বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।তিনি আরোও জানান, শুক্রবার দুপুরে তাদের কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা কুয়েতের একটি সংস্থার কথা বলে মানুষজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভবন করে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। এতে অনেক মানুষজন তাদের কথায় বিশ্বাস করে টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০২৩

টাঙ্গাইলে স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে যাওয়ায় স্বামীর ‘আ*ত্ম*হ*ত্যা’

টাঙ্গাইলে স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে যাওয়ায় স্বামীর ‘আ*ত্ম*হ*ত্যা’

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিজ ঘরে এখলাছ উদ্দিন (৩৫) নামে এক যুবক ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এখলাছ তিন সন্তানের বাবা।বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সকালে উপজেলার চর অলোয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের মাধ্যমে এ খবর পেয়ে দুপুরে নিজ ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।

এখলাছ উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নে চর অলোয়া গ্রামের সোহরাব আলী মুন্সীর ছেলে। তিনি শ্রমিকের কাজ করতেন।পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, এখলাছ উদ্দিন মানসিক রোগে ভুগছিলেন। এছাড়া ৪-৫ মাস আগে স্ত্রীর সঙ্গে তার ছোট ভাইয়ের ঝগড়ার ঘটনা ঘটে এবং মামলা হয়। পরে এখলাছের তিন সন্তান নিয়ে তার স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে যান। 

স্ত্রী চলে যাওয়ায় এখলাছ আরও হতাশায় ভোগেন।বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় তার মা খাবারের জন্য ডাকতে গেলে দেখতে পান ঘরে ধর্ণার সঙ্গে ঝুলে আছেন। পরে তার মা চিৎকার করলে আশ-পাশের লোকজন এসে ঘরের ধর্ণায় ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা মরদেহটি নিচে নামায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরফান আলী জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার এবং মরদেহের সুরতাহল শেষে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে বিকেলে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তার স্ত্রী বাড়ি না থাকায় হতাশায় হয়ত সে আত্মহত্যা করেছে।

সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

টাঙ্গাইলে এমপি সমর্থকদের হামলায় সাংবাদিকসহ আহত ১২

টাঙ্গাইলে এমপি সমর্থকদের হামলায় সাংবাদিকসহ আহত ১২

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে কম্বল বিতরণ করতে গিয়ে এমপি সমর্থকদের হামলায় সাংবাদিকসহ ১২জন আহত হয়েছেন। এসময় দুইটি প্রাইভেটকারসহ ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। হামলায় আহত সাংবাদিকরা হলেন, ঢাকাপোস্ট.কমের জেলা প্রতিনিধি অভিজিৎ ঘোষ, ডিবিসি টেলিভিশনের ক্যামেরা পারর্সন আশিকুর রহমান ও ঢাকা প্রকাশের জেলা প্রতিনিধি ফরমান শেখ। পরে হামলাকারীরা বেশ কয়েকটি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ কর। 
 
 (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আলমনগর বোর্ড বাজার এলাকায় ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়র এবং টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের এমপি প্রার্থী মাসুদুল হক মাসুদের গাড়ি বহরে হামলা করা হয়। এতে স্থানীয় এমপি তানভীর হাসান ছোট মনির সমর্থক গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার সুরুজের নেত্বত্বে লোকজনএ হামলা চালায়। 

এসময় হামলাকারীরা ফাঁকাগুলি ও ককটেল বিষ্ফোরণ করে।হামলায় আহত সাংবাদিক ফরমান শেখ জানান, ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ গোপালপুরের বিভিন্ন জায়গায় কম্বল ও সরকারের উন্নয়ন মূলক লিফলেট বিতরণ করার জন্য আলমনগর যাচ্ছিলেন। এসময় আতর্কিত হামলা চালানো হয়।এতে সাংবাদিকরা ভিডিও ধারন করায় তিনজন সাংবাদিকদের উপর হামলা চালানো হয়।

ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড মানুষজনকে জানানোর জন্য লিফলেট ও কম্বল বিতরণ করতে যাচ্ছিলাম। এসময় স্থানীয় এমপি ছোট মনিরের নির্দেশে তার ক্যাডার বাহিনী আমাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় নেতৃত্ব দেয় গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার সুরুজ। 

এতে সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এসময় দুইটি প্রাইভেটকার ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, হামলার ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। দুইপক্ষকে দুই দিকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর- গোপালপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ভূঞাপুরের মেয়রের এইভাবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের নিয়ে কম্বল বিতরণ করার ঠিক হয়নি

রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৩

টাঙ্গাইলে বালুর স্তূপে চাপা পড়ে যুবকের মৃত্যু 

টাঙ্গাইলে বালুর স্তূপে চাপা পড়ে যুবকের মৃত্যু 

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বালুর স্তূপে চাপা পড়ে রাশেদুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুজন।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৩টার দিকে নিকরাইল ইউনিয়নের সারপলশিয়া এলাকার বালুর ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছেরাশেদুল উপজেলার পলশিয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। তিনি মাটিকাটার যন্ত্র ভেকু (এক্সেভেটর) চালকের সহকারী ছিলেন।

নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, ওই এলাকায় অনেক উঁচু বালুর স্তূপ ছিল। তিনজন সেই বালুর স্তূপে পাইপ খুলতে যান। এ সময় বালুর স্তূপ ধসে তাদের ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে একজন মারা যান। এ ঘটনায় আহত দুজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, আহতদের মধ্যে একজনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৩

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ঢেঁপাকান্দী রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৪ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। 

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো কয়েকজন।বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় রেল স্টেশনের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনার কারণ এবং নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

ভূঞাপূর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার সংবাদে ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৩

টাঙ্গাইলে তেলবাহী ট্রাক ও ভ্যানের সংঘর্ষে মা মেয়ের মৃত্যু

টাঙ্গাইলে তেলবাহী ট্রাক ও ভ্যানের সংঘর্ষে মা মেয়ের মৃত্যু

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে তেলবাহী ট্রাক ও ভ্যানের সংঘর্ষে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কের বাগবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন উপজেলার বিলচাপড়া গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী শহিদুলের স্ত্রী পারুল বেগম (৩৫) ও তাদের সাড়ে তিন বছরের মেয়ে ছোঁয়া মনি।

ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ট্রাক চালককে আটকের চেষ্টা চলছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২

টাঙ্গাইলে পাওনা টাকা ফেরতের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ, কাউকে না জানাতে করিয়েছেন শপথ!

টাঙ্গাইলে পাওনা টাকা ফেরতের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ, কাউকে না জানাতে করিয়েছেন শপথ!

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক সন্তানের জননীকে ধর্ষণ ও প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পরকীয়া প্রেমিক বেল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে। 

তিনি পেশায় একজন বালু ব্যবসায়ী। এ ঘটনা কাউকে জানালে ওই নারী ও তার সন্তানকে হত্যার হুমকিও দেয় বেল্লাল। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়াপাড়া গ্রামে।

ধর্ষণ, নির্যাতনের বিচার ও পাওনা টাকা ফেরত চেয়ে বুধবার রাতে বেল্লালের বাড়িতে ওঠে ওই নারী। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বেল্লালের স্ত্রী ও মা। বর্তমানে বেল্লাল পলাতক রয়েছে।

ভুক্তভোগী নারী জানান, বেল্লাল বালু ব্যবসার নামে তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা ধার নেয়। টাকা নেওয়ার পর থেকে তাকে নানা সময়ে কুপ্রস্তাব দিত। প্রস্তাবে রাজি না হলে পাওনা টাকা ফেরত দেবে না বলে সে জানায়। 

একপর্যায়ে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে বেল্লাল তার আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণ ও টাকা ধার নেওয়ার বিষয়টি কাউকে না জানাতে শপথ করান এবং কাউকে জানালে সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বেল্লাল।

ভুক্তভোগী ওই নারী আরও জানান, পাওনা টাকা চাইলে তালবাহানা করতে থাকে বেল্লাল। এ নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলেও মীমাংসা করেনি। পরে বাধ্য হয়ে ধর্ষণের বিচার ও পাওনা টাকা ফেরতের জন্য বেল্লালের বাড়িতে গেলে ওর মা ও স্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে মারধর করে।

স্থানীয়রা জানান, ভুক্তভোগীর স্বামী বিদেশ যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। এরই মাঝে বেল্লালের সঙ্গে টাকা লেনদেনের সম্পর্ক ছিল। শুনেছি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন তুলেছিল। সেই টাকা বালু ব্যবসায়ী বেল্লালকে ধার দেন।

এ বিষয়টি অস্বীকার করে বেল্লালের স্ত্রী ও মা জানান, বেল্লালের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। আর তাকে মারধরও করেনি, টাকাও ধার নেয়নি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বেল্লালকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি, ফোন করলেও রিসিভ করেননি।

এ ঘটনায় গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদার বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারী কয়েক দিন আগে আমার কাছে এসেছিল। সে জানিয়েছে বেল্লাল তার ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে এবং টাকার লভ্যাংশ দিয়ে আসছিল। 

পরবর্তীতে বেল্লালের কাছে জানতে চাইলে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করায়, ওই নারীকে সাক্ষী-প্রমাণ নিয়ে আসতে বলেছি। আজকে জানতে পারলাম বেল্লাল তাকে ধর্ষণ করেছে।