শিক্ষা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
শিক্ষা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ২৯ মার্চ

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ২৯ মার্চ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগ-২০২৩ এর তৃতীয় গ্রুপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।‌ ওইদিন‌ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আবেদনকারীদের নিজ নিজ জেলায় অনুষ্ঠিত হবে। 

পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।সোমবার (১৮ মার্চ) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, প্রার্থীদের আবেদনে উল্লিখিত মোবাইল নম্বরে যথাসময়ে ০১৫৫২-১৪৬০৫৬ নম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস পাঠানো হবে। আগামী ২৯ মার্চের অনুষ্ঠাতব্য তৃতীয় গ্রুপের পরীক্ষার জন্য প্রার্থীরা‌ ২৩ মার্চ থেকে ‍admit.dpe.gov.bd-ওয়েবসাইটে ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে অথবা এসএসসির রোল, বোর্ড ও পাশের সন দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে রঙিন প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে পারবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই ডাউনলোড করা প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (মূল এনআইডি/স্মার্ট কার্ড) সঙ্গে আনতে হবে। পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য প্রবেশপত্রে পাওয়া যাবেপরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়িজাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিক হাতঘড়ি বা যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কমিউনিকেটিভ ডিভাইস, জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) ব্যতীত কোনো প্রকার ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড অথবা অন্য কোনো কার্ড বা এ জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা বা সঙ্গে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। 

যদি কোনো পরীক্ষার্থী উল্লিখিত দ্রব্যাদি সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন, তবে তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৪

পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘শরীফ ও শরীফা’র গল্প বাদ দিতে আইনি নোটিশ

পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘শরীফ ও শরীফা’র গল্প বাদ দিতে আইনি নোটিশ

নতুন কারিকুলামে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই থেকে 'শরীফা ও শরীফা'র গল্প বাদ দিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহমুদুল হাসান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবির) চেয়ারম্যানকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে শরীফার গল্প বলা হয়েছে। এখানে শরীফ আহমেদ একজন ছেলে এবং তার সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অনুযায়ী সে একজন ছেলে। কিন্তু সে মনে করে যে সে একজন মেয়ে। তাই তার নাম পরিবর্তন করে রেখেছে শরীফা। এখানে স্বীকার করা হয়েছে যে শরীফ আহমেদের শারীরিক কোনও পরিবর্তন হয়নি।

 শুধু মানসিকভাবে মনে করে সে একজন মেয়ে।ওই গল্পের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ট্রান্সজেন্ডারের প্রতি আকৃষ্ট করা হয়েছে। সুকৌশলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মনে ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি প্রেরণা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া এক নয়, তাদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। হিজড়ারা জন্মগতভাবেই কিছুটা বিকৃত অঙ্গ নিয়ে জন্মায়। এটা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। কিন্তু ট্রান্সজেন্ডারদের শারীরিক কোনো ত্রুটি থাকে না, তারা মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত।

 উদাহরণস্বরূপ, একজন পুরুষ ট্রান্সজেন্ডার মনে করেন তিনি একজন নারী; একজন নারী ট্রান্সজেন্ডার মনে করেন তিনি একজন পুরুষ।

এই ট্রান্সজেন্ডাররা বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হয়। তারা সমমৈথুনে লিপ্ত হয়। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এ ট্রান্সজেন্ডারদের বিকৃত যৌনাচার সম্পূর্ণ অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দণ্ডবিধির ৩৭৭ অনুযায়ী পুরুষ-পুরুষ, নারী-নারী তথা প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে যৌন সহবাসের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। এ ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের সম্মতি থাকলেও এই ধারায় শাস্তিযোগ্য হবে। এ ক্ষেত্রে বিএলসি ১৯(এইচ ডি)১৭১ এর প্যারাগ্রাফ ৮ তে হাইকোর্ট বলেছেন দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় অপরাধের ক্ষেত্রে উভয়ের সম্মতি থাকলেও ছাড় পাবে না।নোটিশে আরও বলা হয়েছে, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে এই বিকৃত যৌন রুচির ও মানসিক বিকারগ্রস্ত ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করা হচ্ছে। পাশাপাশি এই মানসিক বিকারগ্রস্ত ট্রান্সজেন্ডারদের কার্যকলাপ সুকৌশলে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করে দেশে প্রচার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এতে দেশের আপামর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২-ক অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হলো ইসলাম। অপরদিকে সংবিধানের মৌলিক অধিকার অনুচ্ছেদ ৪১(১) অনুযায়ী, প্রত্যেক নাগরিকের তার ধর্ম অবলম্বন ও পালন করার অধিকার রয়েছে। এ ক্ষেত্রে দেশের পাঠ্যপুস্তকে ট্রান্সজেন্ডারদের কার্যকলাপ প্রচারের মাধ্যমে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করা হচ্ছে।

ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, বিকৃত যৌনাচার, সমমৈথুন (সেম সেক্স) কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তাই মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মবিশ্বাসে আঘাতের মাধ্যমে দণ্ডবিধির ২৯৫-এ ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে, যা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এ নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই থেকে শরীফা ও শরীফার গল্প বাদ দেওয়াসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বইয়ের দোকান থেকে এই বই প্রত্যাহার করতে হবে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সংশোধিত বই সরবরাহ করতে হবে। অন্যথায় এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রিট পিটিশন করা হবে।

মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৩

টাঙ্গাইলে কতিপয় সরকারি শিক্ষকের বৃত্তি বানিজ্য সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় প্রশাসন

টাঙ্গাইলে কতিপয় সরকারি শিক্ষকের বৃত্তি বানিজ্য সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় প্রশাসন

টাঙ্গাইলে সকল সরকারি নিয়মনীতি ও প্রশাসনের হুমকি ধামকি উপেক্ষা করে প্রকাশ হলো সরকারি শিক্ষকদের আয়োজনে 'বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি গোল্ড মেডেল বৃত্তি -২০২৩খ্রিঃ' নামে আলোচিত ও অবৈধ বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল। 

অথচ সরকারি সিদ্ধান্ত ও চাকরি বিধিমালা ভঙ্গ করে গোল্ড মেডেল প্রদানের নামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষকের আয়োজনে গত ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বৃত্তি পরীক্ষার সঙ্গে জড়িত সকল সরকারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছিলেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে ২০নভেম্বর ফলাফল প্রকাশের পর কতিপয় বেপরোয়া সরকারি শিক্ষকের লক্ষ লক্ষ টাকা বৃত্তি বানিজ্য থামাতে ব্যর্থতার অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। 

উল্লেখ্য যে, টাঙ্গাইলে সরকারি নিময়নীতির তোয়াক্কা নাকরে গত ৪নভেম্বর 'বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি গোল্ড মেডেল বৃত্তি -২০২৩খ্রিঃ' নামে কতিপয় সরকারি শিক্ষক বেসরকারি ভাবে ঐ বিতর্কিত বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করে। এই বৃত্তি আয়োজনের মাধ্যমে ঐ সকল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিভাবকদের কাছ থেকে প্রায় দশ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠে। 

অথচ, নোট-গাইড আর কোচিং নির্ভর পড়াশোনা বন্ধ করতে এবং প্রতিদিন ক্লাসেই মূল্যায়নের ব্যবস্থা করতে গত ৮ আগস্ট সচিবালের অনুষ্ঠিত শিক্ষা ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ সভায় সরকারি ভাবে এবছর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সরকারি বৃত্তি বাতিলের এই সুযোগে টাঙ্গাইলের কতিপয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সরকারি চাকরি বিধিমালা অমান্য করে গোল্ড মেডেল প্রদানের নামে অনুমোদনবিহীন এই বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করে। 

বৃত্তি পরীক্ষা বাবদ এরা প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত জেলার প্রায় আট হাজারের অধিক কোমলমতি শিশুদের কাছ থেকে জন প্রতি ১৫০/(একশত পঞ্চাশ টাকা) করে ফি আদায় করে। এই হিসেবে গোল্ড মেডেল বৃত্তি আয়োজক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষকের উপার্জন হয়েছে প্রায় দশ লক্ষাধিক টাকা। অথচ,'সরকারি চাকুরি বিধিমালা ১৭(১) নম্বর ধারায় বলা আছে, ‘এই আইনের অন্য বিধান অনুসারে, কোনও সরকারি কর্মচারী সরকারের পূর্ব অনুমোদন ছাড়া কোনও ব্যবসায় জড়াতে পারবেন না। অথবা দায়িত্বের বাইরে অন্য কোনও কাজ কিংবা চাকরি নিতে পারবেন না।’ 

সরকারি অনুমোদন ব্যতিত সরকারি চাকুরীজীবি শিক্ষকদের এ ধরনের অর্থ উত্তোলন ও বৃত্তি প্রদানের নামে ব্যবসাবানিজ্য সম্পূর্ণ বেআইনি।' 
সরকারি শিক্ষকদের আয়োজনে বেসরকারি বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন ও পরীক্ষা ফি বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্তোলন বিষয়ে সে সময় প্রশ্ন করা হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বনিক জানেয়েছিলেন, 'নিয়ম বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে যে সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি গোল্ড মেডেল বৃত্তি পরীক্ষার সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও বাসাইলের বার্থা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনির হোসেন খানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সে সময় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, 'এভাবে বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করাটা আমাদের ঠিক হয়নি। ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল আর হবে না।' অথচ, ইতিপূর্বে নিউজ মিডিয়ার কাছে ভুল স্বীকার করা ঐ আত্নস্বীকৃত ক্ষমা প্রার্থনাকারী মনির হোসেন খান গত ২০নভেম্বর এই বিতর্কিত বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে উল্লাস প্রকাশ করে নিজ ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে।
গত ৪নভেম্বর সরকারি অনুমোদনহীন ঐ বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনের আগে ও পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে অনুনমোদিত ফি আদায় করে বৃত্তি বানিজ্যের মাধ্যমে টাঙ্গাইলের কতিপয় অসাধু সরকারি শিক্ষকের লক্ষ লক্ষ টাকা বিকল্প উপার্জন বিষয়ে দেশের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পরও কেন এসকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেপরোয়া কর্মকাণ্ড থামানো যাচ্ছে না, এ বিষয়ে সরকারি উর্ধ্বতন প্রশাসনের সক্ষমতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩

নতুন কারিকুলাম: বিদ্যালয়ে রান্না করল ঘোনারচালা উ: বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ৪০ শিক্ষার্থী

নতুন কারিকুলাম: বিদ্যালয়ে রান্না করল ঘোনারচালা উ: বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ৪০ শিক্ষার্থী

সখীপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা  
বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের রান্না শেখা। নিজের হাতে কাজ করার মধ্যে যে আনন্দ, তা খুঁজে পায়। শিক্ষার্থীদের কৃষিসহ নানা বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে নতুন শিক্ষা পদ্ধতিতে জীবন ও জীবিকা নামের পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ওই বইয়ের একটি অধ্যায় রান্নায় দক্ষতা অর্জন বিষয় শিখতে গিয়ে প্রতিটি বিদ্যালয়ে বসেই রান্না করা শিখছে। 

এরই অংশ হিসেবে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার ঘোনারচালা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ৪০জন শিক্ষার্থী তারা নিজের হাতে রান্না করে দুপুরের খাবারের আয়োজন করে। 

বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, কেউ পিঁয়াজ কাটছে, কেউ মরিচ কাটছে, কেউ চাল ধুয়ে রান্না বসাচ্ছে, কেউ আলু কাটছে, কেউ ডিমভাজি করছে। কারো ব্যস্ততা চুলায় আগুন জালাতে, কেউ লাকরি জোগারে আবার কারো অন্যসব জিনিসপত্র আনা নেওয়ার। এসব কাজে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রয়েছেন শিক্ষকেরাও। সবাই একেক কাজে ব্যস্ত। পরে রান্না শেষে ২০জন শিক্ষককর্মচারী ও ৪০জন শিক্ষার্থী মিলে একসঙ্গে দুপুরের খাবার খায়। 
শ্রেণি শিক্ষক খায়রুল ইসলাম বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণির জীবন ও জীবিকা পাঠ্য বইয়ের স্কিল কুকিং অধ্যায়ের কাজের মধ্যে আনন্দ হাতে কলমে শিখতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা দুপুরে নিজেদের রান্না নিজেরাই করে খাবার খায়। এতে শিক্ষার্থীরা আনন্দ খুঁজে পায়। 

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিভঙ্গি, জ্ঞান, যোগ্যতা, মূল্যবোধ ও সখ্য বাড়াতে জাতীয় শিক্ষাক্রমের মূল ভিত্তিতে এসেছে আমূল পরিবর্তন। এরই ধারাবাহিকতায় ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা জীবন ও জীবিকা বিষয়ের বাস্তব অভিজ্ঞতার অর্জনের অংশ হিসেবে বুধবার শিক্ষার্থীরা নিজেরাই বাজার করা থেকে শুরু করে রান্নার সবকিছুই করেছে। শিক্ষকরা তাদের সহায়তা করেছে ক্লাসের মত।  

বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী বিহনা আরফিন বিন্দু, চাঁদনী, তায়েবা, নুফিকাসহ অন্যরা জানায়, আমাদের বাড়িতে মা প্রতিদিনই আমাদের জন্য রান্না করেন। বাবা হাট থেকে চাল, ডাল, সবজি, তেল, নুন থেকে শুরু করে যাবতীয় জিনিস কিনে নিয়ে আসেন। আজ আমরা তাদের কাজটুকু কিভাবে করে সেটার বাস্তব জ্ঞান লাভ করলাম। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজের দক্ষতা বাড়াতে এবং বাস্তাব অভিজ্ঞতার জন্য শিক্ষায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে হাতে কলমে বিভিন্ন উপকরণের মাধ্যেমে কৃষি, রান্নাসহ নানা কাজ শিখছে শিক্ষার্থীরা। এতে তারা ভবিষ্যতে আত্মনির্ভরশীল হতে পারবে।

মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০২৩

 মামাতো বোনের পরীক্ষা প্রক্সি দিতে এসে ফুফাতো বোন আটক

মামাতো বোনের পরীক্ষা প্রক্সি দিতে এসে ফুফাতো বোন আটক

মুন্সীগঞ্জ সরকারি হরগঙ্গা কলেজ কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে আসা একজনকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষা চলাকালে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেসিয়া আক্তার (২০) নামে ওই ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়।

তিনি মুন্সীগঞ্জ শহরের হাওলাপাড়া এলাকার জব্বার দেওয়ানের মেয়ে বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরকারি হরগঙ্গা কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রফেসর নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, প্রক্সি দিতে আসা ওই ভুয়া পরীক্ষার্থীকে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি মুন্সীগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। হরগঙ্গা কলেজের ২০০নং কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া মূল পরীক্ষার্থী সাদিয়া আক্তারকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিফা খান জানান, তারা দুজন সম্পর্কে মামাতো ফুফাতো বোন। আটক জেসিয়া মামাতো বোনের হয়ে প্রক্সি দিতে আসে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আটকের পর ভুয়া পরীক্ষার্থী জেসিয়া জানান, তার মামাতো বোন জেসিয়া মুন্সীগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছিল। অসুস্থতার কারণে পরীক্ষা দিতে আসতে না পারায় তার হয়ে পরীক্ষায় দিতে এসেছেন।

বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৩

এইচএসসিতে ৫০ নম্বরের পরীক্ষার দাবিতে ঢাকা বোর্ড অবরোধ

এইচএসসিতে ৫০ নম্বরের পরীক্ষার দাবিতে ঢাকা বোর্ড অবরোধ

আগামী ১৭ আগস্ট শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি পরীক্ষা পেছানো এবং ৫০ নম্বরের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন কিছু পরীক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা বোর্ডের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হন। পরে সেখানে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিকেল পৌনে ৩টার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছিল।

এসময় তাদের হাতে পরীক্ষা পেছানো এবং ২০২২ সালের মতো সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপর ৫০ নম্বরের পরীক্ষা গ্রহণের দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখান থেকে যাবেন না বলেও জানান।শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলাকালে বোর্ডের প্রবেশ ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

দুপুর দেড়টার দিকে বোর্ডের কয়েকজন কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া সংবলিত স্মারকলিপি চেয়ারম্যান বরাবর দিতে অনুরোধ করেন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের চারজনের প্রতিনিধি দলকে চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দিতে চান।

শিক্ষার্থীরা তাতে রাজি না হলে একপর্যায়ে কর্মকর্তারা চলে যান। বিকেল পৌনে ৩টার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছিল। এতে বোর্ডের ভেতরে চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তারা অবরুদ্ধে হয়ে পড়েন। জরুরি কাজে বোর্ডে আসা শিক্ষক-কর্মকর্তারাও প্রবেশ করতে পারছেন না।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২২ সালে যেমন ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, এবারও সেটা নিতে হবে। তারা মাত্র ১৫ মাস ক্লাস করেছেন। পড়াশোনা করতে পারেননি। পূর্ণ নম্বরের পরীক্ষার জন্য তারা প্রস্তুত নন।

জানতে চাইলে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি।’

রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০২৩

৭ বার বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষা ক্যাডারে প্রথম রাশেদুল

৭ বার বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষা ক্যাডারে প্রথম রাশেদুল

শুরু থেকেই বিসিএসের প্রতি প্রবল আগ্রহী ছিলেন রাশেদুল হাসান। অন্য কোনো চাকরি করবেন না, একরকম সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলেন। 

তাই স্নাতকোত্তর যখন শেষ হলো, টিউশনি, চাকরির প্রস্তুতি—সবকিছু মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেন। লক্ষ্য তখন শুধুই বিসিএস। কিন্তু কে জানত, সামনে তাকে দীর্ঘ এক পথ পাড়ি দিতে হবে। ৩৫তম থেকে বিসিএস যাত্রা শুরু করেছিলেন রাশেদুল। এরপর ৪১তম পর্যন্ত তাঁকে লড়তে হয়েছে। মাঝের সময়টুকুতে যে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন, তা কিন্তু বলা যাবে না। এক্সিম ব্যাংকে কয়েক বছর চাকরি করেছেন। ৩৫, ৩৬, ৩৮ ও ৪০তম বিসিএসে হয়েছিলেন নন-ক্যাডার। 

তবে চূড়ান্ত সফলতার দেখা পান ৪১তম বিসিএসে। এটি ছিল তাঁর জীবনের শেষ বিসিএস। এই শেষ বিসিএসে অংশ নিয়েই শিক্ষা ক্যাডারে (ইংরেজি) প্রথম হয়েছেন রাশেদুল।সাতবার চেষ্টা করেছেন, সত্যিই কি বিষয়টা তা-ই? মুরাদ বলেন, ‘স্নাতক পড়ার সময়ই আমি ৩৫তম বিসিএসে অংশগ্রহণ করি। তা ছাড়া খুব অল্প বয়সে লেখাপড়া শুরু হয় আমার। চার বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম। মনে পড়ে ক্লাসের সবচেয়ে কম বয়সী শিক্ষার্থী ছিলাম আমি।’ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে প্রথম আলোর সংবাদটি তাঁর চোখে পড়ে। 
জানতে পারেন, বৃহস্পতিবার ফল বের হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আগে থেকে সেভাবেই প্রস্তুত ছিলেন। ফল ঘোষণার দিন বারবার ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারছিলেন। বাড়তি একটা দুশ্চিন্তাও কাজ করছিল, আগের মতো নন-ক্যাডার না হয়ে যান। রাশেদুল বলেন, ‘আমার ভাই স্বাস্থ্য ক্যাডারে আছেন। রেজাল্ট সাধারণত ও-ই দেখে। এবার আমি নিজেই দেখতে বসেছিলাম। বারবার স্ক্রল করছিলাম। যেন সঙ্গে সঙ্গে দেখতে পাই। অবশেষে কাঙ্ক্ষিত ফলের দেখা পেলাম।’ অনুভূতি প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘অনেকে শিক্ষা ক্যাডার শেষ পছন্দ হিসেবে দেয়। আমি কিন্তু তা করিনি। আবেদনের সময় শিক্ষা ক্যাডারকে ওপরের দিকেই রেখেছিলাম। 
পছন্দের বিষয়ে ক্যাডার হলে ভালো লাগে। অনুভূতি অসাধারণ।’রাশেদুল লেখাপড়া করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০০৬-০৭ সেশনের শিক্ষার্থী তিনি। স্নাতক-স্নাতকোত্তরের পরপরই পুরোদমে শুরু করেন বিসিএস প্রস্তুতি। এভাবে ২০১৫ সাল থেকে বিসিএসের পেছনে ছুটছেন তিনি। 

দীর্ঘ এ–যাত্রায় কখনো ক্লান্তি ভর করেনি? উত্তরে বলেন, ‘আমি আহত যোদ্ধার মতো চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি। ৩৫ থেকে শুরু করে ৩৮ পর্যন্ত কোনো বিসিএসেই যখন কাঙ্ক্ষিত ফল পেলাম না, তখন ৩৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার মার্কশিটটা তুলি। সেখানে আবিষ্কার করি, কয়েকটা বিষয়ে অনেক ভালো করলেও আমার নিজের বিষয়—ইংরেজিতেই সবচেয়ে কম নম্বর পেয়েছি।অথচ এই বিষয়েই আমার বেশি পাওয়ার কথা। সেদিনই ধরে নিয়েছিলাম, আমার ভাগ্যে বিসিএস নেই। এরপর পরিবারের সদস্যরা বোঝাল, “কিছু না হোক। শুধু পরীক্ষাটা দাও।” এই পরীক্ষার ফল যদি ২০৩০ সালেও দিত, তাতে আমার কোনো মাথাব্যথা থাকত না।’

বিসিএসে আগ্রহীদের উদ্দেশে রাশেদুল বলেন, ‘অনেক বেশি এফোর্ট দিতে হবে। এর মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যেতে হবে। ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ধৈর্য ধরার সামর্থ্য যাঁর নাই, তাঁর জন্য বিসিএস নয়।’ তাঁর পরামর্শ, ‘ষষ্ঠ থেকে দশম অর্থাৎ মাধ্যমিক স্তরের যে বইগুলো বিসিএসের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক; যেমন বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, বিজ্ঞান, আইসিটি—এগুলো যদি স্নাতক পর্যায়েও পড়ে ফেলা যায়; আমার মনে হয় এটা খুব ভালো কাজে দেয়।’

বাবা ছিলেন অসুস্থ। টানাটানির সংসার। এমন অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ থেকেই রাশেদুল টিউশনি শুরু করেন। নিজের খরচ তো চালাতেনই, পরিবারেও টাকা পাঠাতেন। তৃতীয় বর্ষে পড়ার সময় বাবা মারা গেলে বড় ছেলে হিসেবে সব দায়িত্ব এসে পড়ে রাশেদুলের ওপর। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘২০১৫ সাল থেকে বিসিএসের জন্য পড়ছি। 

পুরোপুরি সময় যদি বিসিএসের জন্য দিতে পারতাম, হয়তো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে আরও আগে পৌঁছাতাম। ব্যাংকে চাকরি পাওয়ার পর সারাটা দিন অফিসে চলে যেত। অফিস থেকে আসতে আসতে রাত ৭-৮টা, ৯টা বাজত। এরপর বাসায় যতটুকু সময় পেতাম পড়তাম। 

ব্যাংকে যাওয়া-আসার সময় বাসের মধ্যে, বাসের জন্য অপেক্ষা করতে করতে পড়তাম। এভাবেই প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দিয়েছি। আমি কখনো থামিনি। আমার এই প্রাপ্তিটা আমার মায়ের চরণে নিবেদন করতে চাই। তাঁর ঋণ কখনো শোধ হওয়ার নয়।

বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২২

এইচএসসির ৫০ খাতা পাওয়া গেলো রাস্তায়, পুলিশের মাধ্যমে হস্তান্তর

এইচএসসির ৫০ খাতা পাওয়া গেলো রাস্তায়, পুলিশের মাধ্যমে হস্তান্তর

২০২২ সালের চলমান এইচএসসি পরীক্ষার ৫০টি উত্তরপত্র পাওয়া গেছে রাস্তায়। একজন ব্যক্তি এই উত্তরপত্রগুলো পাওয়ার পর রাজধানীর মিরপুর কাফরুল থানায় বুঝিয়ে দেন। পরে কাফরুল থানার পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে এসব হস্তান্তর করা হয় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে।

কাফরুল থানা পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুর-১০ নম্বরের গোল চত্বরে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ৫০টি খাতা পেয়ে কিছু লোক থানায় নিয়ে যান। পরে সেগুলো পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়। খাতাগুলো চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ইংরেজি প্রথম পত্রের ছিল।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খাতাগুলো ছিল রাজধানীর শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক মো. ইব্রাহিম হোসাইনের। তিনি এগুলো মূল্যায়নের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।তিনি জানান, খাতাগুলো দেখার জন্য বুধবার বোর্ড থেকে এগুলো নিয়ে মোটরসাইকেলে বাসায় যাচ্ছিলেন। এসময় সেগুলো পড়ে যায়। তিনি খাতাগুলো খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল বাশার জাগো নিউজকে বলেন, চলমান এইচএসসি পরীক্ষার ইংরেজি প্রথম পত্রের ৫০টি খাতা কাফরুল থানার মাধ্যমে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।তিনি বলেন, এই খাতাগুলো রাজধানীর শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের এক শিক্ষক মূল্যায়নের দায়িত্বে রয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ৬ নভেম্বর চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। ঢাকা বোর্ডের অধীনে ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা হয় ১০ নভেম্বর। লিখিত পরীক্ষা চলবে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর ১৫ ডিসেম্বর শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা, যা শেষ হবে ২২ ডিসেম্বর।

রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২২

বিকেলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ! বাড়ছে না পদসংখ্যা

বিকেলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ! বাড়ছে না পদসংখ্যা

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফল আজ প্রকাশ করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ফল প্রকাশের পর নিয়োগ দেওয়ার কাজও দ্রুতই শুরু হবে বলে জানা গেছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজ বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফল আজ বিকেলে প্রকাশ করা হবে। 

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ফলাফল দেখা যাবে। তিনি বলেন, বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে অনুমোদিত পদেই নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। সে অনুসারে ৩২ হাজার ৫৭৭ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে।

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির অনুমোদিত পদ অনুসারে ৩২ হাজার ৫৭৭ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও এটি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। 

চলতি বছরের মার্চে মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সাংবাদিকদের বলা হয়েছিল, ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নেওয়া হবে। অবসরের কারণে ১০ হাজারের বেশি পদ খালি হওয়ায় পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহুর্তে পদ বাড়ানো হচ্ছে না।


এসএসসির ফল প্রকাশ আজ!

এসএসসির ফল প্রকাশ আজ!

সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে সোমবার (২৮ নভেম্বর)। নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ হয়।

এদিন সকাল ১০টায় গণভবনে দেশের সব শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এসএসসি-সমমানের ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

এরপর দুপুর ১টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী।

তারপরই এসএসসি পরীক্ষার ফল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে এবং অনলাইনে একযোগে প্রকাশ করা হবে। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি ও বন্যার কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর অনুষ্ঠিত হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষাবছর নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখের বেশি অংশ নেয়। মোট তিন হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রায় ১৬ লাখসোমবার (২৮ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবে।

এই ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে।

এ ছাড়া মুঠোফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাবে। মুঠোফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণ—SSC DHA 123456 2022 লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফল।

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের জন্য DAKHIL লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের সাল লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণ—DAKHIL MAD 123456 2022 লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফল।