জানা যায়, ২০২১ সালের ২৭ মে পারিবারিকভাবে উপজেলার কুড়াগাছা ইউনিয়নের চাপাইদ গ্রামের হাসমত আলী ফকিরের ছেলে রুবেল ফকিরের সঙ্গে একই উপজেলার কুড়াগাছা উত্তরপাড়া গ্রামের সুরুজ আলীর মেয়ে রুমি আক্তারের (৩০) বিয়ে হয়। তাদের সংসার জীবন শুরুর আগে উভয়েরই বিয়ে হয়ে ছিল এবং দুজনেরই আগের সংসারে একটি করে ছেলে রয়েছেরুবেল মিয়া বিয়ের পর থেকেই উভয়ের ঘরের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে সংসার জীবন অতিবাহিত করছিলেন। কিছুদিন যাওয়ার পর থেকেই রুবেল ফকিরের সন্তানের প্রতি অবহেলা শুরু করেন রুমি আক্তার। বিষয়টি রুবেলের নজরে এলে সংসারে মনোমালিন্য শুরু হয়। এ নিয়ে কলহ দিন দিন বাড়তে থাকে। একাধিকবার শালিসি বৈঠক হলেও পরে সমাধান হয়নি।
সাম্প্রতিককালে একে অপরের প্রতি নানা অভিযোগ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে রুবেল ফকির রুমি আক্তারের সন্তানকে বাড়িতে রাখতে অসম্মতি জানায়। বিষয়টি ঘিরে তাদের দ্বন্দ্ব প্রকট হয়। প্রতিদিনের কলহে সংসারে অশান্তি নেমে আসে। অবশেষে গত রোববার কুড়াগাছা ইউনিয়নের চাপাইদ গ্রামে স্থানীয় মাতব্বরদের উপস্থিতিতে শালিসি বৈঠক হয়।ওই বৈঠকে রুবেল ফকির রুমি আক্তারকে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা দেওয়ার শর্তে তাদের দাম্পত্য জীবনের পরিসমাপ্তি হয়। শালিসি বৈঠকে রুবেল ফকির নগদ এক লাখ টাকা পরিশোধ করেন। বাকি ৩৫ হাজার টাকা দ্রুতম সময়ে পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
এই বৈঠক শেষে রুবেল মিয়া বাড়িতে গিয়ে পানির সঙ্গে দুধ মিশিয়ে গোসল করে গোসল করেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
রুবেল মিয়া বলেন, শান্তির আশায় গড়া সংসারে অশান্তি নেমে এসেছিল। শালিস, শালিস, শালিস আর ভালো লাগে না। অবশেষে উভয়ের সম্মতির ভিত্তিতে সংসারে ইতি টেনে দুধ দিয়ে গোসল করে প্রশান্তি পাচ্ছি।
গ্রাম্য মাতব্বর আব্দুল মান্নান ও ওসমান আলী জানান, অটোরিকশা চালক রুবেল মিয়া ও গৃহবধূ রুমি আক্তারের সম্মতির ভিত্তিতেই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে।
Social Footer