রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩

স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে পাকিস্তানি নারী বাংলাদেশে

স্ত্রীর মর্যাদার দাবি নিয়ে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন এক পাকিস্তানি নারী। তবে এবার প্রেমের টানে নয় স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে স্বামীর খোঁজে হবিগেঞ্জর চুনারুঘাটে এসে পৌঁছেছেন তিনি। মাহা বাজোয়ার (৩০) নামের ওই নারী পাকিস্তানের লাহোরের বাসিন্দা মকসুদ আহমেদের মেয়ে। মাহার স্বামীর নাম সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার (৩৫)। তিনি চুনারুঘাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বড়াইল এলাকার শফিউল্লা মজুমদারের ছেলে। গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) স্বামীর খোঁজে বাংলাদেশে এসেছেন মাহা। বর্তমানে তিনি চুনারুঘাটে অবস্থান করছেন। এদিকে পাকিস্তানি বধূ আসার খবরে ওই এলাকায় ভিড় জমাচ্ছে উৎসুক জনতা। 

জানা গেছে, দশ বছর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে সাজ্জাদের সঙ্গে পরিচয় হয় মাহার। ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর ২০ লাখ টাকা কাবিনে রেজিস্ট্রি করে সাজ্জাদের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সাজ্জাদ তাকে ২০১৮ সালের ২৩ আগস্ট বাংলাদেশে নিয়ে আসেন এবং তারা চুনারুঘাটের বাসায় মাস দুয়েক ছিলেন। পরে ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে মাহা বাজোয়া পাকিস্তানে চলে যান। তাদের ৯ বছরের একটি মেয়ে আছে বলেও জানান মাহা। কিন্তু এক পর্যায়ে মাহাকে ডিভোর্স দেন সাজ্জাদ। তারপর থেকে সাজ্জাদ ওই নারীর সঙ্গে আর যোগাযোগ করেননি। এদিকে সেই ডিভোর্স মেনে নেননি মাহা। স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে চান তিনি।মাহা বলেন, আমার স্বামী আমাকে ডিভোর্স দেননি। এটা ফেইক। এদিকে মাহা চুনারুঘাট আসার পর থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না স্বামী সাজ্জাদকে।সাজ্জাদের ভাই স্বপন মজুমদার বলেন, দুবাইয়ের একটি নাইট ক্লাবে সাজ্জাদ চাকরি করত। সেখানেই মাহার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তারা বিয়ে করেন। এক পর্যায়ে তাদের সংসারে ভাঙন ধরে। এ মুহূর্তে সাজ্জাদ বাড়িতে উপস্থিত নেই। তিনি এলে এলাকার গণ্যমান্যদের নিয়ে বসে বিষয়টির সুরাহা করা হবে। পাকিস্তানের ওই নারী বর্তমানে তাদের আতিথেয়তায় রয়েছেন বলেও জানান তিনি। 

চুনারুঘাট থানা পুলিশের (ওসি) রাশেদুল হক বলেন, মাহা ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ এসেছেন। কিন্তু এদেশে অবস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় নিয়মাবলি তিনি অনুসরণ করেননি। তিনি থানায় এসেছিলেন এবং পরে আবার আসবেন বলে চলে যান। ওই পাকিস্তানি নারী পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। তাই ওই বিষয়টি এখন আর আমার জানা নেই। 

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.