এর মধ্যে গত পৌনে ৫ বছরে সখীপুর-বাসাইল উপজেলায় এলজিইডি প্রকৌশল অধিদপ্তর ও পিআইও দপ্তর থেকে ১৮০০ কোটিরও অধিক টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
সম্প্রতি জাতীয় ও স্থানীয় সরকার দিবস উন্নয়ন মেলায় দুটি উপজেলার এসব তথ্য পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রকৌশলীরা জানান, সখীপুরে ১টি পৌরসভা, ১০টি ইউনিয়ন, বাসাইলে ১টি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন আফিসসহ বিভিন্ন সরকারি অধিদপ্তরের মাধ্যমে গত পৌনে ৫ বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
এর মধ্যে উপজেলা প্রকৌশল (এলজিইডি) অধিদপ্তর, পিআইও (প্রকল্প বাস্তবায়ন) দপ্তরের মাধ্যমে রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংস্কার, কালভার্ট-ব্রিজ নির্মাণ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সরকারের ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। উন্নয়নের তথ্য নিশ্চিত করেছেন সখীপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আবদুল বাছেদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার চৌধুরী, বাসাইল উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আবদুল জলিল ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন।
সরেজমিনে বিভিন্ন প্রকল্প ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ও পিআইও দপ্তরের মাধ্যমে যে সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে তার সবগুলো অত্যন্ত টেকসই। বিশেষ করে নতুন নতুন রাস্তা এ অঞ্চলের গ্রামীণ জনপদের দৃশ্য একেবারেই বদলে দিয়েছে। আর এ সব রাস্তা পেয়ে দীর্ঘদিন দুর্ভোগে থাকা সাধারণ মানুষ যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। অনেকেই স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলামকে।
দুটি উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশল অধিদপ্তর, পিআইও (প্রকল্প বাস্তবায়ন) দপ্তরের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাসাইল-সখীপুরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উন্নয়ন কাজ হয়েছে।
এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ভাতকুড়া-বাসাইল সড়ক, প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সখীপুর-বাটাজোড় ১৮ ফুট প্রশস্ত পুনর্বাসন সড়ক, ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নলুয়া-বাসাইল সড়কের কাজ চলমান রয়েছে।
৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে বহেড়াতৈল-রতনগঞ্জ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। রাস্তাপ্রশস্তকরণ প্রকল্প ও অন্যান্য প্রকল্প থেকে ৩২০ কোটি টাকার রাস্তা নির্মাণ, টাঙ্গাইল প্রজেক্টের মাধ্যমে রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে ১২০ কোটি টাকার, ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮০টি রাস্তা মেরামত, ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮০টি বক্সকালভার্ট নির্মাণ ও ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০টি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।
কাবিখা, কাবিটা বরাদ্দের মাধ্যমে এইচবিবিকরণ এবং ইটসোলিং রাস্তার উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৭৫০টি সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপন, ৩২০টি মসজিদ ও ১৭৫টি মন্দির-শ্মশানে সংস্কার কাজ করা হয়েছে।
Social Footer