টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নদী খননের বালু অবৈধপন্থায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে উপজেলার স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীরা শুষ্ক মৌসুমে কালিহাতী উপজেলার নিউ ধলেশ্বরী নদীর বাম ও ডান তীরের বিভিন্ন জায়গায় নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে রাখেন। ওই বালু উপজেলা মাটি ব্যবস্থাপনা কমিটি স্তুপের তালিকাভূক্ত করে প্রতিটি লট পরিমাপ করেন। পরে লট ভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ করে তা নিলামে বিক্রি করে। রহস্যজনক কারণে নিউ ধলেশ্বরী নদীর বাম তীরে সল্লা ইউনিয়নের মীরহামজানি গ্রামের লাল মিয়া ও নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে নদী খননকালে উত্তোলিত বালুর দু’টি স্তুপ সরকারি তালিকা থেকে বাদ রাখা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, খননকৃত ওই বালু ভেকু দিয়ে কেটে প্রায় ১৫-২০ টি ট্রাকে ভর্তি করে আরিয়ান এন্টারপ্রাইজের রশিদের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। আরিয়ান এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী সোহেল ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, লাল মিয়া, নুরুল ইসলাম ও অন্যান্য বালু ব্যবসায়িরা স্থানীয়ভাবে খুবই প্রভাবশালী। তারা প্রায়ই নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে।
বালু খননের সাথে সম্পৃক্ত লাল মিয়ার সহযোগি আবুল কালাম জানান, তারা নদী খননের সময় পার্শ্ববর্তী নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে উত্তোলিত বালু বিশাল দু’টি স্তুপ করে রাখে। পরে ওই বালু সরকারি তালিকাভূক্ত না হওয়ায় তারা সাড়ে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন।
মীরহামজানি মৌজায় খননকৃত দুটি স্তুপের বালু লাল মিয়া ও আবুল কালামের নিকট বিভিন্নস্থানে বিক্রি করছি।
কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।