শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩

টাঙ্গাইলে বিল্ডিং করার নামে টাকা আত্মসাৎ করায় জামাই-শ্বশুর গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে কুয়েতের একটি সংস্থার নাম করে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মূলহোতাসহ জামাই ও শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে তাদের টাঙ্গাইল কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মামলার মূলহোতা সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার দড়িপাড়া গ্রামের গোলাম মোহাম্মদের ছেলে মাহবুবুল হক (৪৩), তার সহযোগী বগুড়া সদর উপজেলার ফুলবাড়ী মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে আ. রউফ (৫৬) ও তার মেয়ের জামাই ভূঞাপুর পৌরসভার ফসলান্দি গ্রামের আক্তারুজ্জামান সিদ্দিকীর ছেলে নাজিম সিদ্দিকী (৩৭)।এরআগে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) মূলহোতা মাহবুবুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে থানা পুলিশ তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মাহবুবুল হক তার সহযোগী আ. রউফ ও তার মেয়ের জামাই নাজিম সিদ্দিকীর কথা বলেন।

এরআগে গত বুধবার (১৭ মে) উপজেলার ছাব্বিশা গ্রামের মাসউদ আলী খান বাদী হয়ে মাহবুবুল হককে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।জানা যায়, বিদেশি সংস্থা কুয়েত জয়েন রিলিফ সোসাইটির (কেজিআরসি) নামে একতলা ভবন নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে উপজেলার বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত একতলা ভবনের জন্য মাহবুবুল হক ও তার সহযোগীরা মানুষজনের কাছ থেকে ৪-৫ লাখ টাকা করে নেয়। এসময় মানুষজনকে বিশ্বাস করানোর জন্য বেশ কয়েকটি ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করে তারা।

কিন্তু হঠাৎ করেই উধাও হয়ে যায় কেজিআরসির মাহবুবুল হক, আ. রউফ ও তার মেয়ের জামাই। পরে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও কোন সুরাহা না পাওয়ায় ভুক্তভোগী মাসউদ আলী খান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয় মাসউদসহ উপজেলার বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে গ্রেপ্তারকৃতরা ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা প্রতারণা করে।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, মামলার মূল আসামির সাথে এজেন্ট হিসেবে কাজ করতো জামাই ও শ্বশুর। রিমান্ডে মাহবুবুল হক ওই দুই এজেন্টের কথা বলার পরই বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।তিনি আরোও জানান, শুক্রবার দুপুরে তাদের কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা কুয়েতের একটি সংস্থার কথা বলে মানুষজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভবন করে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। এতে অনেক মানুষজন তাদের কথায় বিশ্বাস করে টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছে।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.