গতকাল শনিবার গভীর রাতে উপজেলার শুরীরচালা গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সখীপুর থানা-পুলিশ। তবে মামলার প্রধান আসামি দেবর সালাম মিয়াসহ ছয়জন এখনো পলাতক।
গ্রেপ্তার রুহুল আমিন সখীপুর উপজেলার কাঁকড়াজান ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি কাঁকড়াজান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
মামলার এজাহার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, গত শুক্রবার সকালে সখীপুর উপজেলার শুরীরচালা গ্রামে তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে দেবর সালাম মিয়ার সঙ্গে ভাবি জরিনা আক্তারের কথা-কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে সালাম মিয়া একটি কাঠের খণ্ড দিয়ে জরিনার মাথায় আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় জরিনাকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সে দিনই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল দুপুরে জরিনা মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত জরিনার মেয়ে স্বপ্না আক্তার বাদী হয়ে সালাম মিয়াকে প্রধান আসামি করে সাতজনের বিরুদ্ধে সখীপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। গ্রেপ্তার রুহুল আমিনকে মামলায় ইন্ধনদাতা হিসেবে আসামি করা হয়েছে।
স্বপ্না আক্তার বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনায় সবাই মিলে আমার মাকে ওরা পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। ইউপি সদস্য রুহুল আমিন ছিল খুনের ইন্ধনদাতা। আমি আমার মায়ের হত্যার বিচার চাই।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আজ রোববার সকালে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
Social Footer