বান্দরবানের জেলা প্রশাসকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সিলেটের মৌলভীবাজার থেকে বান্দরবানে ছুটে আসেন প্রশিক্ষক রাধাবতী দেবী।তার তত্ত্বাবধানে দীর্ঘ একমাসের প্রচেষ্টায় কলাগাছের সুতা দিয়ে শাড়ি তৈরি হয়েছে।
১৩ হাতের এ শাড়ির নাম রাখা হয়েছে ‘কলাবতী’।
এ বিষয়ে প্রশিক্ষক রাধাবতী দেবী বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন সুতা দিয়ে শাড়ি তৈরি হয়। তবে দেশে প্রথমবার কলাগাছের সুতা থেকে একটি শাড়ি তৈরি করলাম।বান্দরবানের জেলা প্রশাসকের অনুরোধে ও তার সার্বিক সহযোগিতায় এটা সফল হয়েছে।
রাধাবতী দেবী আরও বলেন, প্রথম পর্যায়ে একাধারে ১৫ দিন সময়ে এবং এক কেজি কলাগাছের আঁশের সুতা দিয়ে এই আকর্ষণীয় শাড়ি তৈরি হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীতে আরও কম সময়ে ও কম খরচে আরও মসৃণ ও উন্নতমানের শাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বান্দরবানের উপ-পরিচালক আতিয়া চৌধুরী বলেন, আমাদের জেলা প্রশাসকের অনুপ্রেরণায় আমরা বান্দরবানবাসী গর্বিত। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ কলাগাছের সুতা থেকে শাড়ি হলো। আগামীতে আরও নিত্যনতুন সামগ্রী উৎপাদন হবে। যাতে নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি আরও তরান্বিত হয়।
বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ও এই শাড়ি তৈরির সার্বিক সহযোগী সাই সাই উ নিনি বলেন, বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির দুরদর্শী চিন্তার ফসল এই কলাগাছের সুতা থেকে তৈরি ১৩ হাত দৃষ্টিনন্দন শাড়ি। এ পরিবেশবান্ধব শাড়ি সবার কাছে দ্রুত সময়ে পৌঁছে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।
জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বাংলানিউজকে বলেন, নানা প্রতিকুলতার পথ পাড়ি দিয়ে চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমরা কলাগাছের সুতা থেকে একটি দৃষ্টিনন্দন শাড়ি তৈরি করতে পেরেছি। এটি দেখতে যেমন সুন্দর ও তেমন আকর্ষণীয়।
বান্দরবানের নারীরা কলাগাছ থেকে আঁশ তৈরি করে আরও বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প ও সৌখিন জিনিসপত্র তৈরি করছে বলে তথ্য দেন জেলা প্রশাসক।
Social Footer