বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩

সখীপুরে গরু চুরির ঘটনায় থানায় জিডি।

আহমেদ সাজু সখীপুর: ২৯ মার্চ রাতে সখীপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে সখীপুর টু কালিদাস পাকা রাস্তার আনুমানিক ২০০/৩০০ গজ দূরে সখীপুর জনতা বাজার  ( ফুটানী বাজার)এর নিকটে এমন দূর্ধষ চুরির ঘটে। সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে,সখীপুর জেলখানা মোড় হতে কালিদাস পাকা রাস্তার পাশে ফুটানি বাজারে একটু আগে,মূল রাস্তার পশ্চিম পাশে মোঃ কামরুল হাসান নামে এক গরু খামারির বাড়ি অবস্থিত।

তার একমাত্র উপার্জনের সম্বল ছিলো ৫ টি গরু।এর মাঝে ১টি দেশী জাতের গাভী দুই মাসের বকন বাচ্চাসহ,১টি দেশী জাতের তিন মাসের  গর্ভবতী গাভী,একটি বড় অষ্টেলিয়ান জাতের গাভী ও ১ টি অষ্টেলিয়ান জাতের বড় ষাড় গরু বিগত রাতের যেকোনো সময় চোর চক্র বাড়ির মূল টিনের গেটের তালা ভেঙ্গে  গরুর ফার্ম থেকে চুরি করে নিয়ে গেছে।ভুক্তভোগী কামরুল হাসানের স্ত্রী রেহেনা বেগম (৩৮) 

ও তার দুই মেয়ে প্রতিদিনের কাগজের প্রতিবেদকের নিকট জানান, ঘটনার রাত ১২ টার পরে তারা বাড়ির মূল গেট লাগিয়ে ঘুমাতে যান,বড় মেয়ে কাকলি আক্তার রাত্রি আনুমানিক সাড়ে তিনটায় প্রথমে  সেহেরি খাবার উদ্দেশ্যে ঘুম থেকে জেগে উঠে দরজা খোলা,মূল ঘরেই ছিলেন ওরা দুই বোন।সামনের বারান্দার রুমে ঘুমিয়ে ছিলেন কাকলির মা - বাবা।তারা দরজা খোলা দেখে, তারাতাড়ি ভয়ে তার মা বাবাকে ডেকে তোলেন।হঠাৎ দেখতে পান তাদের গরুর ঘরে ১টি গরুও নেই। তাৎক্ষণিক তারা কান্নাকাটি শুরু করে দেন,তাদের চিৎকারের শব্দ শুনে আশেপাশের বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসেন।সবাই এদিক সেদিক পাগলের মত খুঁজতে থাকেন।সকালে বাড়ির মালিক খামারি কামরুল ছুটে যান সখীপুর থানায়,ডিউটি অফিসার ঘটনার বিবরণ জেনে অজ্ঞাতনামা একটি সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেন।

বিকেলে সখীপুর থানার এসআই সিদ্দিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।কামরুল হাসানের স্ত্রী প্রতিবেদকের সামনেই চিৎকার করতে করতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন,তার চিৎকারে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠে। একপর্যায়ে তিনি বলেন,আমার সব শেষ হয়ে গেছে,এখন আমি কি করবো বাবা,আমি যে,রাস্তার ফকির হয়ে গেলাম,আমার সংসারের শেষ সম্বল ছিলো এই গরু কয়টা"।স্থানীয় প্রতিবেশী ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়,সবকয়টি গরু মিলে তাদের প্রায় ৮/১০ লাখ টাকার গরু হারিয়ে গেছে।এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেন।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.