
আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজার, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (৮ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মহানগর, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাদের এক যৌথ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যখন দেশের কাজে বাইরে ঠিক, সেই সময় দেশে কয়েকটি অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটনা ঘটে গেছে। এটা স্বাভাবিক দুঘর্টনা নাকি নাশকতা, সেটা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারের পক্ষ থেকে গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই নিয়ে কারও মাথা ব্যথার প্রয়োজন নেই।”একের পর এক ঘটনাকে রহস্যজনক” উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবৃতির বিষয়ে তিনি বলেন, “মির্জা ফখরুল হুট করে একটা বিবৃতি দিয়েছেন। তার বিবৃতিতে এই ধরনের একের পর এক ঘটনাকে রহস্যজনক বলা হয়েছে। আমরা তার সঙ্গে একমত। এই সময়ে দেশে এই ধরনের ঘটনা রহস্যজনক। এই রহস্যের ভেতরের বিষয়টি কী সেটা আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে।”
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “যারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে, তারা নাশকতার পথ খুঁজছে কিনা, নাশকতার পথে হাঁটছেন কিনা সেটাও আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। এসব রহস্যজনক ঘটনার পেছনে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা বা দলের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেছেন, বিষয়টি তারা সিরিয়াসলি খতিয়ে দেখছেন।”
ঢাকার সিদ্দিকবাজার, চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ড, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, “বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হলে আগুন সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়। এই ব্যাপারে আমরা সতর্ক আছি।”যৌথ সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মহিউদ্দিন জালাল, আব্দুর রহমান, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উন্মে কুলসুম স্মৃতি, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকী, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।