INFO Breaking
Live
wb_sunny

Breaking News

সখীপুরে মোবাইল ফোনে বিয়ে ! ৫ মাস পর নববধূর আত্মহত্যা

সখীপুরে মোবাইল ফোনে বিয়ে ! ৫ মাস পর নববধূর আত্মহত্যা

পাঁচ মাস আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সৌদি আরব প্রবাসী শহিদুল ইসলামের (২২) সঙ্গে প্রতিবেশী নার্গিস আক্তারের (১৯) বিবাহ হয়। বিবাহের পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও প্রবাসী শহিদুল এখনো দেশে ফেরেননি। যে কারণে স্বামীর সঙ্গে দেখাও হয়নি নার্গিসের। তবে প্রতিবেশী হওয়ায় শ্বশুরবাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল নববধূ নার্গিসের।

আজ শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে শশুরবাড়ি থেকেই নার্গিসের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের বৈলারপুর গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা। পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় পাঁচ মাস আগে উপজেলার বৈলারপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে নার্গিস আক্তারের সঙ্গে প্রতিবেশী জিন্নত আলীর সৌদি আরব প্রবাসী ছেলে শহিদুল ইসলামের বিবাহ হয়। ছেলে প্রবাসে অবস্থান করায় পারিবারিকভাবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই তাঁদের বিবাহ হয়। কাবিননামাও রেজিস্ট্রি করা হয়। 

স্বামী শহিদুল প্রাবাসে থাকলেও মাঝেমধ্যেই নববধূ নার্গিস স্বামীর বাড়িতে বেড়াতে আসতেন। এরই ধারাবাহিকতায় এক সপ্তাহ আগে নার্গিস স্বামীর বাড়িতে আসেন। 

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে স্বামীর বাড়িতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু আজ শুক্রবার সকালে তার শয়ন কক্ষেই নার্গিসের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। দুপুরে সখীপুর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়ের বাবা বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘কীভাবে এ ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না।’ 

জানতে চাইলে ছেলের বাবা জিন্নত আলী বলেন, ‘নার্গিস কেন এমনটা করল তা বুঝতে পারছি না। হয়তো ছেলে সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হতে পারে। তবে সে বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই।’ 

সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মতিন বলেন, ‘পরিবারিকভাবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কেউ কিছু বলেতে পারছে না। তবে লাশের সঙ্গে ওই তরুণীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছে। 

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হবে। সুরতহাল তদন্তে হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। আপাতত অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।