
সানোয়ার হোসেন উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে যুবলীগের সম্মেলনে সভাপতির প্রার্থী ছিলেন।
এদিকে সানোয়ার হোসেনের এমন কাণ্ডে সমালোচনা শুরু হয় সংগঠনটির অভ্যন্তরে।
ক্ষমা প্রার্থনার ভিডিও বার্তায় যুবলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন বলেন, 'যে কথাগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে আমি তার জন্য ক্ষমা চাই। আমার পরিবার আজগানা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ পরিবার। আমার পরিবার ছাড়া এ অঞ্চলে আগে কোনো সক্রিয় আওয়ামী লীগ করা পরিবার ছিল না। এ দলটির জন্য আমার পরিবারের অনেক ত্যাগ রয়েছে। আমার বাবা আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী নেতা ছিলেন।'
তিনি আরও বলেন, 'গত ১৬ জানুয়ারি উপ-নির্বাচনে আমি দলের প্রার্থীর পক্ষে এজেন্ট ছিলাম। অনেক নেতাকর্মীরা বলেছে তুমি নেতৃত্বে আসো। তোমার দরকার আছে। সভাপতি হতে আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। অনেকেই বলেছে তোমারটা হয়ে যাবে। যারা গত নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছে তারাই পদটা পেয়ে গেছে। আমি রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি। আমি এ কাউন্সিলের ব্যাপারে ক্ষোভে ধৈর্য ধরতে পারিনি। আমি সবার কাছে ক্ষমা চাই। যুবলীগের ভাইদের কাছেও ক্ষমা চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনার পা ধরে ক্ষমা চাই। মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে না। সবাই আমার ভুলকে ক্ষমা করে দেবেন।’
উপজেলার আজগানা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ শিকদার বলেন, 'সানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মাদক মামলাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। সে যুবলীগের কোনো সক্রিয় কর্মী ছিল না। মানসিক বেকারগ্রস্থ ব্যক্তি তিনি। তিনি বৃহৎ একটি দলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। দল তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।'