
সখীপুর
সখীপুরে চোর ধরিয়ে দিলে ১০হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করলেন ইউপি চেয়ারম্যান
খাঁন আহম্মেদ হৃদয় পাশা, সখীপুর(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে ভাতগড়া গ্রামের ইন্দারজানী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক মোঃআজগর আলী (৭০) মাস্টারসহ পরিবারের ৫ সদস্য চেতনানাশক মেশানো খাবার খেয়ে জ্ঞান হারিয়ে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শুক্রবার (২১অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের ইন্দারজানী ভাতগড়া গ্রামের আজগর আলী মাষ্টারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আজগর আলী ইন্দারজানী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ছিলেন।
উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ডি.এম রফিকুল ইসলাম ও ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনের মহিলা মেম্বার হনুফা বেগম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাগরিবের পর খবর পাই আজগর আলী মাষ্টার ও তার ছেলে আশরাফ মাষ্টার সহ ওই পরিবারের ৫ জন জ্ঞান হারিয়েছে।
দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি এবং বাড়িতে গ্রামপুলিশ দিয়ে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরোও বলেন, সবাই অজ্ঞান থাকায় বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, চোরেরা গভীর রাতে চুরির উদ্দেশ্যে হয়তো ওই বাড়িতে খাবারের সাথে চেতনানাশক ঔষধ প্রয়োগ করেছিল।
এদিকে একই রাতে আজগর আলী মাস্টার এর বাড়ির ২০০গজ উত্তরে ইন্দারজানী বাজারে ভাতের হোটেল ব্যবসায়ী আঃ সবুর মিয়ার বাড়িতে আনুমানিক রাত ২ টার দিকে দরজা কেটে চোর ঘরে প্রবেশ করে আড়াই ভড়ি ওজনের সোনার অলংকার ও বেশকিছু নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়, এসময় গ্রাম পুলিশ মোসলেম উদ্দিন ও এলাকার স্থানীয় লোকজন আজগর আলী মাস্টারের বাড়ি পাহারায় থাকা অবস্থায় চোরের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের ধাওয়া করে,কিন্তু চোরের সংখ্যা একাধিক থাকায় তাদের পাকড়াও করতে সম্ভব হয়ে ওঠে না বলে জানা যায়।
হোটেল ব্যবসায়ী আঃ সবুর মিয়া জানান, শুক্রবার দুপুরে বাড়িতে বাজার পৌঁছে দিতে এলে আমার স্ত্রীকে রান্না করতে পাঠালে সে ওখানে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে, এসময় প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে ডাঃ প্রিয় কে ডেকে আনি তখন আমার স্ত্রী অনেকটা সুস্থ অনুভব করে। এরপর আমি বাজার থেকে ৮ টার সময় বাড়িতে আসি এবং রাত দশটার দিকে সবাই ঘুমিয়ে পড়ি।
রাত আনুমানিক ২ টার সময় ঘুম ভাঙ্গার পর দেখি ঘর এলেমেলো হয়ে আছে।
এসময় নগদ অর্থ সহ প্রায় আড়াই ভড়ি ওজনের সোনার অলংকার নিয়ে গেছে চোর।
এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় আজগর আলী মাস্টার ও আঃ সবুর মিয়ার পক্ষ থেকে থানা কিংবা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে কোন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
এদিকে স্থানীয় চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন দুলাল এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও তদন্ত সাপেক্ষে চোর চিহ্নিত করে বিচারের আশ্বাস দেন এবং "চোর ধরিয়ে দিতে পারলে নগদ ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা" করে বাংলাদেশ সংবাদ বুলেটিন এর এক লাইভ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।