Breaking News

সখীপুরে ঘাস খাওয়ার কারণে অন্যের গরুর পায়ে দা দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ

সখীপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল সখীপুরে দরিদ্র কৃষক জয়নালের ষাঁড় গরু প্রতিবেশীর ক্ষেতের ঘাস খাওয়ার কারণে গরুটির পায়ে দা দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী আবু সাঈদের বিরুদ্ধে । 

প্রায় ২০-২২ দিন আগে ক্রস জাতের একটি ষাঁড় গরু দড়ি ছিড়ে সাঈদের ক্ষেতের ঘাস খাওয়ার কারণে কাকড়াজানের ভূয়াইদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গরুর মালিক জয়নাল একজন দরিদ্র কৃষক ও দিনমজুর।

অন্যদিকে গরুকে আঘাতকারী আবু সাঈদ স্থানীয় ভূয়াইদ টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট এন্ড বিএম কলেজের বিজ্ঞান ল্যাব এসিস্ট্যান্ট।

সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়,গরুটির সামনের বাম পাশের পায়ে দা'য়ের আঘাতের কারণে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং আটটি সেলাই করতে হয়। পশু ডাক্তার চিকিৎসা দিলেও এখনও পর্যন্ত আহত হওয়া পায়ে মাটিতে দাঁড়াতে পারছেনা গরুটি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয়রা জানান, ঘটনাটি শুনেছি, যাই ঘটুক একটি বোবা পশুকে এভাবে দা দিয়ে আঘাত করে আহত করা উচিত হয়নি। আঘাতকারী সাঈদ প্রভাবশালী ব্যক্তি এরজন্য সাহস করে সামনে সব কিছু বলতে পারিনা।

গরুর মালিক দরিদ্র কৃষক ও দিনমজুর জয়নাল জানান, ঘটনার সময় আমি ছিলাম না, আমার স্ত্রী দেখেছে এবং ওই সময় আঘাতকারী সাঈদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সামান্য ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে আমার পালিত ষাঁড় গরুটির যে ক্ষতি করেছে তাতে আমি খুবই দুঃখ পেয়েছি। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ও সাঈদের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী মাস্টারের আশ্বাসে আমি আর কারো কাছে বিচার চাই নাই। উনারা বলেছিল গরুটির সঠিক চিকিৎসা করলেই সুস্থ হয়ে উঠবে। কিন্তু এখন আর সঠিকভাবে গরুর চিকিৎসা হচ্ছে না, ডাক্তারও আসেনা। 

প্রায় ২০-২২ দিন পার হয়ে গেলেও আমার ষাঁড় গরুটি এখনো আঘাত পাওয়া পা দিয়ে দাঁড়াতে পারে না। আমি অন্যের বাঁশ কেটে ও শ্রম বিক্রি করে সংসার চালাই। আমার ষাঁড় গরুটির দাম প্রায় অর্ধ লাখের উপরে হবে। এটা আমার জন্য বড় ক্ষতি। সমাজের শিক্ষিত মানুষেরা যদি বোবা পশুর উপর এমন অত্যাচার করে তাহলে আমরা কোথায় যাব।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবু সাঈদের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী মাস্টারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার মেজবাউদ্দিন জানান, ঘটনাটি আমি অবগত। যতদূর জানি আবু সাইদের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী মাস্টার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেও এখন আর ভালোভাবে চিকিৎসা করছেন না।

এ বিষয়ে ১নং কাঁকড়াজান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নয় বলে জানান ।

Type and hit Enter to search

Close