স্থানীয়রা জানান, সাইফুদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগী দেখে প্রেসক্রিপশন লিখে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছেন। তিনি সাদা প্যাডে ওষুধ লিখে তাতে নিজের স্বাক্ষর এবং ডাক্তার পরিচয় সম্বলিত সিল লাগিয়ে বসিয়ে দেন বলেও স্থানীয়রা জানান। রোববার (১৮ মে) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তক্তারচারা বাজারে মিনহাজ মেডিক্যাল হলে গিয়ে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
রোগীদের দেয়া প্রেসক্রিপশনে দেখা যায়, নাম, স্বাক্ষর এবং ‘ডাঃ সাইফুদ্দিন’ লেখা একটি সিল ব্যবহৃত হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সাইফুদ্দিন প্রায় ৭-৮ বছর ধরে এভাবে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা দিচ্ছেন এবং নিজের প্যাডে প্রেসক্রিপশন লিখছেন।
অভিযুক্ত সাইফুদ্দিনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি দাবি করেন, ‘ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার জন্য আমি ‘ডাক্তার’ পরিচয়ের সিল বানিয়েছি। পরে প্রতিবেদকের সাথে কথোপকথনের একপর্যায়ে তিনি রোগী দেখে প্রেসক্রিপশন লেখার বিষয়টি স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন। এসএসসি পাশের বাইরে চিকিৎসা নিয়ে তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই বলেও তিনি স্বীকার করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তিনি মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই নির্বিঘ্নে এখনো এই অবৈধ কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বলেন, তিনি নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে প্রেসক্রিপশন লিখেন। এতে গ্রামের সহজ-সরল মানুষ প্রতারিত হচ্ছে।
সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল রনী বলেন, এ বিষয়ে কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে অভিযোগ বা প্রমাণ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।