পুলিশি হয়রানি ও গ্রেপ্তারের ভয়ে মামলার পর থেকে তিন মাস ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ছেলের বাবা সিএনজিচালক আব্দুল কাদের ও মা কহিনুর বেগম।
এ মামলায় প্রতিবেশী ভ্যানচালক আয়নাল মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগমও আসামি হয়ে এখন বাড়িছাড়া। উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের চিনামুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৩ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাদী উজালা বেগম স্বামী মো. আজাহার আলী সরকারের মেয়ে বানিয়াফৈর উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী তাছলিমা জান্নাত সাদিয়া প্রাইভেট পড়ে আসার পথে সাদা মাইক্রোবাসে অপহরণ করে যুবক অন্তর (২০)।
অপহরণের সময় সাদিয়ার গলায় এক ভরি স্বর্ণের একটি চেইন ছিল। যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ টাকা।
স্থানীয় মাতব্বর বাতেন সরকার, আলীম সরকার ও এলাকাবাসী জানান, বিষয়টি অপহরণ নয়, প্রেমের টানে ছেলেমেয়ে দ্বিতীয় দফায় উধাও হলো। চলতি বছরের মার্চ মাসে ছেলেমেয়ে পালানোর ছয় দিন পর উদ্ধার করা হয়। এবারও মেয়ে নিজের ইচ্ছায় ছেলের সঙ্গে সংসার করতে পালিয়েছে। ইতিপূর্বেও স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে মেয়েকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই সময় একটি আপসনামাও করা হয়েছিল।
তাতে লেখা হয়েছিল, যদি পরবর্তীতে ওই মেয়ে আবার ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যায়, সেক্ষেত্রে মেয়ের পরিবার কোনো মামলা করবে না। মেয়ের পরিবার শর্ত অমান্য ও হয়রানি করতে মামলা দিয়েছে। প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় মাতব্বর আর সাক্ষীদের কাছে দেওয়া লিখিত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে।
৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর বাবুল খান বলেন, এটি অপহরণ নয়, প্রেমঘটিত বিষয়। আমরা মেয়েকে আবার ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলাম, তবে ওই পরিবারটি মেয়েকে ফিরিয়ে না নিয়ে মামলা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।
বর্তমান কাউন্সিলর হেলাল বলেন, এর আগে রমজান মাসের পর আবারও নাকি ছেলেমেয়ে পালিয়ে গেছে শুনেছি। তবে কোনো পক্ষই মীমাংসার জন্য আমার কাছে বিষয়টি নিয়ে আসেনি। তাই নেওয়া যায়নি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির পরিদর্শক জামান জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ভিকটিমকে উদ্ধারের তৎপরতা চলমান আছে।
মেয়ের চাচা শাহজাহান বলেন, গ্রাম্য সালিশে বসতে রাজি হইনি। আইনে যেটি হবে সেটিই আমরা মেনে নেব।