শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪

কালিহাতীতে পানিবন্দি ৩০হাজার মানুষ,নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

সাইদুর রহমান সমীর, টাংগাইল প্রতিনিধি :

 টাঙ্গাইলে  টানা ছয় দিন ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে যমুনা নদীর পানি বেড়ে টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এ কারণে তাঁরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে নতুন নতুন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে।

পানির তীব্র স্রোতে উপজেলা বেড়ীপটল এলাকার সড়ক ভেঙে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। ওই এলাকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল এ সড়ক।

স্থানীয়রা জানান, তাদের চলাচলের রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যেতে অনেক কষ্ট হবে। একদিকে চলাচলে কষ্ট, অন্যদিকে বাড়িতে পানি সবমিলিয়ে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। নদীর পানি বাড়ায় অনেক স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চরাঞ্চলের অনেক বাসিন্দা পরিবার ও গবাদি পশু নিয়ে উঁচু এলাকায় ও অন্যান্যের বাড়িতে অবস্থান করছেন। নিম্নাঞ্চলের কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে থাকায় ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের চরদুর্গাপুর গ্রামের নাছিমা বলেন, গত ৫ দিন ধরে পানিতে অবস্থান করছি। গরু ছাগল উঁচু জায়গায় রেখে এসে অন্যান্যের বাড়িতে পরিবার নিয়ে কষ্টে করে আছি। নলকূপ তলিয়ে আছে। এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো সহায়তা পায়নি। একই এলাকার বাসিন্দা জায়দা বেগম বলেন, বাড়ি নিচু হওয়ায় ঘরের ভিতরে পানি উঠে গেছে। খাওয়া দাওয়ার খুব কষ্ট চলছে।

দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন বলেন, যমুনা নদী সংলগ্ন হওয়ায় আমর এলাকায় প্রায় ৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো সহায়তা পায়নি।

উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম জানান, তার ইউনিয়নে ৯ ওয়ার্ডে ৭টি ওয়ার্ডে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।

উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দ জানান, তার ইউনিয়নে প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। তাদের সবধরনের সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম জানান, তার ইউনিয়নে ৪-৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন এবং দশকিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক ভূঁইয়া জানান, তার ইউনিয়নে ৩/৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি আছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহাদাত হুসাইন জানান, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে এবং কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। তিনি আরও জানান, বন্যকবলিত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সাথে কথা বলে তালিকা করা হচ্ছে। দ্রত ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হবে।

শেয়ার করুন

Author:

TangailNews24 Advertisement Partnership