সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪

সখীপুরে "গ্রাম আদালতে" আস্থা ফিরেছে সাধারণ মানুষের

সখীপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি: "শেখ হাসিনার মূলনীতি গ্রাম শহরের উন্নতি" অল্প সময়ে, সল্প খরচে সঠিক বিচার পেতে চলো যাই গ্রাম আদালতে" এমন শ্লোগানকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলের সখীপুরে "বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সংক্রিয়করণ" (৩য় পর্যায়) প্রকল্প চালুর পর থেকেই গ্রাম আদালতের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, বাংলাদেশ সরকার এবং ইউ এনডিপির যৌথ অর্থায়নে ও (ইএসডিও)'র বাস্তবায়ন সহযোগিতা ফিল্ড পর্যায়ে ইতিমধ্যে উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন পরিষদে প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ কর্মশালায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, গ্রামপুলিশ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

গ্রাম আদালতের সুবিধা-গ্রাম আদালত সর্ব্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যমানের ফৌজদারি ও দেওয়ানী মামলা নিষ্পত্তি করতে পারে, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সহ উভয় পক্ষের ২ জন করে মনোনীত প্রতিনিধি নিয়ে গ্রাম আদালত গঠিত হয়, নিজ ইউনিয়ন পরিষদেই গ্রাম আদালত বসে, বিচারিক প্যানেলে নিজের প্রতিনিধি নিজেই মনোনয়ন দেওয়া যায়, আবেদন কারী এবং প্রতিবাদী নিজেরাই নিজেদের কথা বলেতে পারে, আইনজীবী নিয়োগের বিধান নেই। ফৌজদারি মামলার ফি ১০ টাকা এবং দেওয়ানী মামলার ফি ২০ টাকা। এছাড়া কোন খরচ নেই।

গ্রাম আদালত চুরি, ঝগড়া-বিবাদ, কলহ বা মারামারি, দাঙ্গা, প্রতারনা, ভয়ভীতি দেখানো বা হুমকি দেয়া, কোন নারীর শালীনতাকে অমর্যদা বা অপমানের উদ্দেশ্যে কথা বলা, উত্যক্ত করা, গচ্ছিত কোন মূল্যবান সম্পত্তি আত্মসাত করা, পাওনা টাকা আদায়, স্থাবর সম্পত্তির দখল ও পূর্ণ উদ্ধার বা তার মুল্য উদ্ধার, কোন অস্থাবর সম্পতি জবর দখল বা ক্ষতি করার জন্য ক্ষতিপুরণ আদায়,গবাদিপশুর অনাধিকার প্রবেশের কারণে ক্ষতিপুরণ, গবাদিপশু মেরে ফেলা বা গবাদিপশুর ক্ষতি করা, কৃষি শ্রমীকের পরিশোধযোগ্য মজুরি ও ক্ষতিপুরণ আদায়সহ ইত্যাদি বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারে।

গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) এর উপজেলা সমন্বয়কারী মো: শাহরেজা আমিন জানান গ্রামাঞ্চলের ছোট খাট বিরোধ নিষ্পত্তি ও বিচার ব্যবস্থা সহজলভ্য করার উদ্দেশে গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত গ্রাম আদালত কার্যক্রম দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরীব, অসহায়, প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি জনগনের আর্শিবাদ হয়ে দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে এ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রান্তিক এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এ নিয়ে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে।


এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হোসেন পাটওয়ারী জানান, বিষয়টি নিয়ে সার্বক্ষণিক আমাদের তদারকি অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া গ্রাম আদালতের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু থাকবে। তিনি আরো জানান, প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিব ও ইউপি সদস্যদের সাথে সমন্বয় করে গ্রাম আদালতে জনসাধারণের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছি।

সোহেল রজত 
সখীপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি 
০১৫১৮-৩০১২৮৯
১৮-০৩-২০২৪

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.