বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০২৪

রমজান উপলক্ষ্যে ভাড়া কম নিচ্ছেন অটোরিকশা চালক সাঈদুল

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে প্রত্যেক যাত্রীর থেকে অটোরিকশার নির্দিষ্ট ভাড়া থেকে ৫ টাকা কম নিচ্ছেন কুড়িগ্রামের সাঈদুল ইসলাম (৩৬) নামের এক চালক। 

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় টানানো এমন একটি ব্যানার নজর কেড়েছে সবার। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী পবিত্র রমজান মাসজুড়ে সবার জন্য কিছু করার আকাঙ্ক্ষা থেকেই তার এমন উদ্যোগ। অটোরিকশাচালক সাঈদুল ইসলাম কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ধরনী বাড়ী ইউনিয়নের রুপার খামার এলাকার বাসিন্দা। 

সংসার জীবনে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে তার। ছেলে স্থানীয় একটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। 

সরজমিনে দেখা যায়, যে কোনো যাত্রী তার অটোরিকশায় উঠলেই গন্তব্যে পৌঁছানোর পর নির্ধারিত ভাড়া থেকে তিনি ৫ থেকে ১০ টাকা কম নিচ্ছেন। তার অটোরিকশায় সামনে-পিছনে ব্যানার টানিয়ে তাতে লেখা ডিসকাউন্ট অফার। 

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) অটোরিকশায় টানানো যাত্রীদের জন্য বিশেষ ছাড়ের এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি অটোরিকশার টানানো ব্যানারে লিখেছেন, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে নির্দিষ্ট ভাড়া থেকে ৫ টাকা ছাড়। 
সেই ছবিতে সঞ্চয় রায় নামের একজন লিখেছেন, ‘এইরকম মহৎ কাজ এই যুগে কে করে?’ রবিউল ইসলাম নামের আরও একজন লিখেছেন, ‘এভাবে সবাই যদি নিজের অবস্থান থেকে এগিয়ে আসে একদিন সব সম্ভব।’ আসাদ নামের আর একজন লিখেছেন, ‘এখন আমাদের উচিৎ অটোরিকশা চালক ভাইকে ৫ টাকা বেশি বকশিস দেওয়া।’

এ বিষয়ে কথা হলে অটোরিকশাচালক সাঈদুর ইসলাম বলেন, আমি ফেসবুকে দেখেছি সৌদি আরবের একটি দোকানে রমজান উপলক্ষ্যে কেনাকাটা করলে ৪০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে। এটা দেখে চিন্তা করলাম, আমি রমজান মাসে মানুষের জন্য কি করতে পারি। আমার তো তেমন সামর্থ্য নেই। যেহেতু আমার একটি অটোরিকশা আছে আমি সেটাতেই যাত্রীদের জন্য ছাড়ের ব্যবস্থা করেছি। আমার এই ছাড় যাত্রীদের জন্য পুরো রমজান মাস জুড়েই থাকবে ইনশাআল্লাহ। তিনি আরও বলেন, আগে আমি ঢাকায় একটা কোম্পানিতে চাকরি করতাম। পরে বাড়িতে এসে গত ১০-১২ বছর ধরে অটোরিকশা চালাই। এই অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চলে আমার। আমার এই ছাড়ের বিষয়টি দেখে অন্যান্য অটোরিকশাচালকরা আমাকে বাজে কথাবার্তা বলছে। তবে আমি কিছু মনে করছি না। আমার অটোটি চালাচ্ছি, চিলমারী উপজেলা হতে কুড়িগ্রাম, উলিপুর ও রাজারহাট রোডে। যেমন উলিপুর থেকে জনপ্রতি কুড়িগ্রাম ৩০ টাকা ভাড়া, আর আমি বর্তমানে ভাড়া নিচ্ছি ২০-২৫ টাকা। 

কলেজছাত্র মাহমুদ হাসান বলেন, পবিত্র রমজান মাসে অটোরিকশা চালক ভাই যাত্রীদের জন্য যে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করেছে। এটা আমার কাছে মহৎ কাজ মনে হচ্ছে। তার দেখাদেখি আরও অনেকে বিভিন্নভাবে রোজাদারদের জন্য এগিয়ে আসবে এটাই প্রত্যাশা আমার।

তিনি আরও বলেন, আগে আমি ঢাকায় একটা কোম্পানিতে চাকরি করতাম। পরে বাড়িতে এসে গত ১০-১২ বছর ধরে অটোরিকশা চালাই। এই অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চলে আমার। আমার এই ছাড়ের বিষয়টি দেখে অন্যান্য অটোরিকশাচালকরা আমাকে বাজে কথাবার্তা বলছে। তবে আমি কিছু মনে করছি না। আমার অটোটি চালাচ্ছি, চিলমারী উপজেলা হতে কুড়িগ্রাম, উলিপুর ও রাজারহাট রোডে। যেমন উলিপুর থেকে জনপ্রতি কুড়িগ্রাম ৩০ টাকা ভাড়া, আর আমি বর্তমানে ভাড়া নিচ্ছি ২০-২৫ টাকা। 

কলেজছাত্র মাহমুদ হাসান বলেন, পবিত্র রমজান মাসে অটোরিকশা চালক ভাই যাত্রীদের জন্য যে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করেছে। এটা আমার কাছে মহৎ কাজ মনে হচ্ছে। তার দেখাদেখি আরও অনেকে বিভিন্নভাবে রোজাদারদের জন্য এগিয়ে আসবে এটাই প্রত্যাশা আমার।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.