পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ভোর রাতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত আরো ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, উপজেলার তক্তারচালা গ্রামের উলিয়া চালা এলাকার মৃত কুরবার আলীর ছেলে আরফান আলীর সাথে ওই গ্রামের নছিম উদ্দিনের মেয়ে নাছিমা আক্তারের পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। ঘটনার আগের রাতে নাছিমার সাথে আরফান দেখা করতে আসলে নাছিমার ভাই আলম মিয়া বিষয়টি দেখে ফেলে।
পরে তার বোন নাছিমা, স্ত্রী ছালেহা বেগম, ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আমিনুর রহমান মিলে আরফানকে গলায় গামছা বেঁধে শাশ্বরোধে হত্যা করে বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত জমিতে লাশটি ফেলে রাখে।
সখীপুর থানার ওসি শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, পরকীয়া প্রেমিকা নাছিমাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে সে স্বীকারুক্তিমূলক জবানবন্দী দিলে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত আরো ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর উপজেলার হতেয়া রাজাবাড়ি ইউনিয়নের উলিয়ার চালা গ্রামে কৃষক আরফান আলীর (৫৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আরফান ওই গ্রামের মৃত কুরবান আলীর ছেলে।