বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

৪৩তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে ৭ম টাঙ্গাইলের কামরুল

 



প্রত্যেক মানুষের কিছু স্বপ্ন থাকে, কিন্তু খুব কম মানুষই আছে যারা তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে প্রস্তুত থাকে। সঠিক পরিকল্পনা, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং কঠোর পরিশ্রম করলে যেকোন মানুষই সফলতা অর্জন করতে পারে। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ টাঙ্গাইলের কৃতী সন্তান মো. কামরুল ইসলাম। তিনি ৪৩তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারে ৭ম স্থান অধিকার করেছেন। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ৪৩তম বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের চূড়ান্ত সুপারিশের ফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে মোট ২ হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশ প্রাপ্তদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৭ম স্থান অধিকার করেছেন রুয়েটের সাবেক এই শিক্ষার্থী মো. কামরুল ইসলাম। মো. কামরুল ইসলাম টাঙ্গাইল পৌর শহরের কাগমারা মেছের মার্কেট এলাকার মো. রফিকুল ইসলাম এবং কাঞ্চনমালা দম্পতির সন্তান। 

তিনি রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ২০১৮ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি ২০১৩ সালে টাঙ্গাইল মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আদর্শ মহাবিদ্যালয় এবং ২০১১ সালে পুলিশ লাইনস্ আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫.০০ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এ ছাড়া তিনি ২০০৫ সালে টাঙ্গাইল সদরের চকগোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা জীবন সম্পন্ন করেন। মো. কামরুল ইসলামের এটি ছিল দ্বিতীয় বিসিএস পরীক্ষা। এর আগে ৪১ তম বিসিএসেও তিনি রেলওয়ে প্রকৌশল ক্যাডারে সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (ও ্ এম) হিসেবে তার প্রথম কর্মজীবন শুরু হয়। 

সেই চাকরি করা অবস্থায়ই তিনি অনুভব করেন যে, প্রশাসন ক্যাডারই একমাত্র ক্যাডার যেখানে একদম প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ থেকে শুরু করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সান্নিধ্যে থেকে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এরপর থেকেই শুরু হয় তার বিসিএস পরীক্ষার প্রস্ততি। চাকরির পাশাপাশি বিসিএস প্রস্তুতিটা সঠিকভাবে নিতে না পারায় একপর্যায়ে চাকরি ছেড়ে বাড়িতে চলে অসে। এরপর দিন-রাত পরিশ্রম করে বিসিএস প্রস্ততি শুরু করে। পরিশ্রমের ফলশ্রুতিতে তিনি আজ ৪৩তম বিসিএসে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। 

শুধু তাই নয় প্রশাসন ক্যাডারে ৭ম স্থানও অর্জন করেছেন তিনি। বিসিএসে সফল হওয়ার নেপথ্যের গল্প জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বই পড়তে প্রচুর পছন্দ করি। শ্রদ্ধেয় আকবর আলী খান, ড. মোহাম্মদ আমিন স্যারদের বই পড়ে প্রশাসন ক্যাডারে আসার অনুপ্রেরণা পাই। প্রতিদিন পড়তাম। খুব বেশি পড়ি নি। প্রতিদিন একটা টার্গেট নিতাম যে এতটুকু আজ পড়বো। এইজন্য যদি ১২ ঘন্টা লাগে তাই পড়তাম, এক ঘন্টা লাগলে এক ঘন্টাই। গড়ে দিনে ৫ থেকে ৬ ঘন্টার মতো হতো। আল্লাহর রহমতে আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমি যাতে করে আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে যেতে পারি এজন্য সকলের দোয়া চাই।’ 


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.