মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩

কক্সবাজার অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’, লণ্ডভণ্ড উপকূলীয় এলাকা

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’র কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করছে। এ সময় ঝড়ো বাতাসে গাছপালা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডসহ বাইরে নানা সরঞ্জাম উপড়ে গিয়ে জন ও যানচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টা থেকে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম শুরু হয়।

জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে সোমবার রাত থেকেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়। মঙ্গলবার সারাদিন বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। এসময় হালকা বাতাস হলেও সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে অকস্মাৎ ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। এ সময় বৃষ্টিপাতও সমানে চলে। বাতাসের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে, সড়কে চলাচল করা ইজিবাইকগুলো উড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।
এতে সড়কের উভয় পাশের ব্যাংক-বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ছোট-বড় সাইনবোর্ড বাতাসের তোড়ে উপড়ে সড়কে পড়ে যায়। বিভিন্ন স্থান হতে টিনসহ হালকা পণ্যগুলো উড়ে একস্থান হতে অন্যস্থানে সরে যায়। সমানে ভেঙে পড়েছে গাছের ডালপালা। শহরের অনেক উপসড়কেও গাছ ভেঙে পড়ে জন চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ঝড়ো বৃষ্টি শুরুর পর থেকেই বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।

কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ ইমাম উদ্দিন জানান, ‘হামুন’ আরও দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় সন্ধ্যায়। সন্ধ্যা ৭টার কিছু পরে ঝড়ো বাতাসসহ কক্সবাজারের উপকূল অতিক্রম শুরু করে এটি। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর ও মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৫ নম্বর বিপৎসংকেত এখনো বহাল রয়েছে

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, সন্ধ্যা সাতটার পর থেকে ঘূর্ণিঝড় হামুনের অগ্রভাগ কক্সবাজারসহ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে বলে খবর পেয়েছি। শহরের মতো উপকূলের গ্রামের অনেক কাঁচা ঘরবাড়ির চালা, গাছপালা উপড়ে পড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে খবর পেয়েছি। পুরো অতিক্রম করা শেষ হলে বুধবার দিনের বেলা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে সঠিক জানা যাবে।

এর বিকাল সাড়ে ৪টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়টি রাতে দুর্বল হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ অব্যাহত আছে।এছাড়া প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.