শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৩

দ্বাদশ নির্বাচন সারাবিশ্বে গৃহনযোগ্যতা পাবে

সাইদুর রহমান সমীর, টাংগাইল প্রতিনিধি : যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে স্যাংশন দিলে তা মোকাবেলার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ি দোখলায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত দোখলা রেস্ট হাউজে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও দুইটি বন বিভাগের ব্যারাক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, অর্থনীতি ভাবে যদি তারা স্যাংশন দেয় আমরাও দেখবো কিভাবে মোকাবেলা করা যায়। আন্তর্জাতিক বিশ্বে আমেরিকাসহ অনেক দেশ মুক্তিযোদ্ধের সময় আমাদের পক্ষে ছিল। কিছু মানুষকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে যারা গুলশান বনানীতে বসবাস করে তারাই আমেরিকা যায়। আমাদের আমেরিকা না গেলেও চলবে।

আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগামী তিন মাস পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা গোটা পৃথিবীর কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। কোনো দল এই নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। কোন ষড়যন্ত্র করেই তারা এই নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের একটি বড় দল এই জাতীয় নির্বাচনকে বানচাল করতে চেষ্টা করছে। কিন্তু বর্তমানে পুলিশ প্রশাসন খুবই তৎপর রয়েছে। তারা সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে। এদেশের জনগণ আমাদের সাথে আছে। এদেশের মানুষ যদি আবারো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ভোট দেয় তাহলে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। নির্বাচন নিয়ে যদি কোন দেশ বানচাল করার চেষ্টা করে তাহলে সেই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করবো।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমেরিকায় কয়জন মানুষ যায়। তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কি করবে। যারা গুলশান বানানীর বড় লোকের ছেলে তারাই আমেরিকায় যায়। তারা না গেলে দেশের কোনো ক্ষতি হবে না। দু-একজন মন্ত্রী না গেলেও ক্ষতি হবে না। আমরা জেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ভিসা দিয়ে আমেরিকা যেতে পারবো না এটা আমাদের কোন বিষয় না। নয় মাস একটি রক্তক্ষয়ী যোদ্ধাদের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি।

এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের এমপি, টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আইরিন আক্তার, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান, মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.