রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৩

সখীপুরে পাঁচ টাকার চিপসে্ মিলছে হাজার টাকার নকল নোট !

 

  • নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সখীপুরে মাত্র পাঁচ টাকার চিপসে্র প্যাকেটের ভেতর উপহার হিসেবে মিলছে ৫’শ ও হাজার টাকার চকচকে নকল নোট। পলিথিনের প্যাকেটে চীপসে্র সঙ্গে হাজার, পাঁচশ ও একশ টাকার নোটগুলো দেখে বোঝারই উপায় নেই এটি আসল না-কি নকল। শুধু টাকার গায়ে লেখা রয়েছে “খেলনা টাকার নমুনা”। স্থানীয়দের আশঙ্কা- কোমলমতি শিশুদের কাছে এটি খেলনা হলেও অনেকের কাছে প্রতারণার নয়া হাতিয়ার। উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশের মুদি দোকান ও চায়ের স্টলে বিক্রি হচ্ছে এসব চিপস্। চিপসে্র প্যাকেটে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, মেয়াদোত্তীর্ণের কোনো তারিখ নাই এতে । তবুও ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি আইন প্রয়োগকারী কোনো প্রতিষ্ঠানের। বুধবার বিল্লাল হোসেন নামের এক যুবককে উপজেলার প্রতিমা বংকী দক্ষিণ চৌরাস্তা বাজারে এসব চিপসসহ আটক করেন স্থানীয় জনতা। বিল্লাল জানান, সিলেট থেকে একদল তরুণ সখীপুরে এসে ফেরি করে পণ্য করছেন । সম্প্রতি তাঁরা ঢাকা থেকে এসব চিপস্ এনে সখীপুরের গ্রামাঞ্চলের দোকানগুলোতে পাইকারি বিক্রি করেন।
  • উপজেলার বেড়বাড়ী  বাজারে এ চিপস্ হাতে নিয়ে নবসৃষ্টি শিক্ষা পরিবারের কয়কজন শিক্ষার্থী   বিদ্যালয়ে গেলে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক রিফাত শারমিন রিতা   বলেন, কিছু অসাধু ব্যক্তি শিশুদের প্রলুব্ধ করে নিম্নমানের চিপস বিক্রি করতে অভিনব এ পন্থা অবলম্বন করছেন । মূলত এরা বিএসটিআই-এর অনুমোদনহীন নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করছেন । সাদা মোড়কে পাঁচ টাকার চিপসের প্যাকেট কিনলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সংবলিত নমুনা ১০০০, ৫০০, ২০০, ১০০ টাকার নোট পাওয়া যাচ্ছে। এ টাকার লোভে শিশুরা পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিম্নমানের এসব চিপস কিনে খাচ্ছে।
  • উপজেলা বিআরডিবি ভাইস চেয়ারম্যান এম সাইফুল ইসলাম শাফলু বলেন,  এ টাকার লোভে  নিন্মমানের এসব চিপস কিনে খাচ্ছে শিশুরা।  মানহীন এসব চিপসে্ বাচ্চাদের ব্যাপক স্বাস্থ্য ঝুকি রয়েছে। এ ছাড়া বয়স্ক লোকদের এমন টাকা দিয়ে বিভ্রান্ত করার আশঙ্কাও রয়েছে। বৃদ্ধরা টাকার পার্থক্য বুঝতে না পারায় প্রতারিত হবেন।
  • এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঞ্জুরুল মোর্শেদ বলেন, খেলনা নোটের আকার-আকৃতি আসল নোটের সমান হলে তা অবশ্যই উদ্বেগের বিষয়। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.