সংকট নেই তারপরও সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লারের ডিমের দাম আরেক দফা বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। ফলে রাজধানীতে এখন ব্রয়লারের এক ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। আর এক ডজন ১৬০-১৬৫ টাকা।
খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, করপোরেট ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়াচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে ক্রেতাদের কাছে বেশি দরে বিক্রি করছেন তারা।
সোমবার (৭ জুলাই) রাজধানীর বাজারগুলোতে দেখা গেছে, আকারে সব চেয়ে ছোট ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। আর আকারে বড় ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়। তবে কোনো ক্রেতা একটি ডিম কিনলে তাকে দিতে হচ্ছে ১৫ টাকা।
আর এক হালি ডিম কিনছেন ৫৫ টাকায়।অথচ এক সপ্তাহ আগেও ১৫০ টাকা ডজন বিক্রি করেছে ডিম। ঠিক তার আগের সপ্তাহে ডিমের ডজন ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের ডজনে দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে।
তেজগাঁওয়ের আড়তগুলোতে পাইকারি লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা হালি। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। আর একশ ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২২০ টাকা। সাদা ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা। এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। আর এক’শ ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকাঅন্যদিকে দেশি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা,
ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা হালি, ডজন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। সোনালী মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। আর ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। একশ দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকায়।
এছাড়াও বাজারগুলোতে কোয়েল পাখির ডিমের শত প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা। আর ডজন বিক্রি করছে ৫০ টাকায়।
দাম বাড়ার বিষয়টি স্বীকার করছেন সরকারি বাজার মনিটরিং প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য মতে, সোমবার রাজধানীতে মুরগির লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা হালিতে। যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা হালি। অর্থাৎ ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়েছে।মাছ-মাংসের দাম বাড়ায় মাসে ২০ থেকে ২২ দিন ডিম খান শামিম হাসান। রাজধানীর মহাখালীর এই বাসিন্দার আজ ডিম কিনতে হয়েছে ১৫ টাকা পিস। অথচ এক সপ্তাহে আগে কিনেছিল ১১ থেকে ১২ টাকা পিস। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি পিস ডিমের দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা।
জানতে চাইলে শামীম হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডিমের দাম বাড়তি। তাই আগে যেখানে এক সঙ্গে ২ থেকে তিন হালি কিনতাম, আজকে কিনেছি দেড় হালি।