সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩

আশ্রয়ণের স্কুলে ক্লাস নিলেন নোয়াখালীর ডিসি

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে আশ্রয়ণের স্কুল উদ্বোধনে গিয়ে ক্লাস নিলেন নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। মুজিববর্ষ গ্রাম জ্ঞান-ময়ূখ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেন তিনি। 

সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার চর ক্লার্ক ইউনিয়নের পশ্চিম উরির চরের স্কুলটিতে প্রায় আধা ঘণ্টা ক্লাস নেন জেলা প্রশাসক। এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণা ও শিক্ষামূলক বক্তব্য দেন। 

এরপর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের জন্য মসজিদের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা বলে তোমাদের মন খারাপের কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তোমাদের জন্য এখানে স্কুল দিয়েছেন। এর আগে এখানে ঘর করে দিয়েছেন। তোমরা পড়াশোনা করে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানবে এবং মানুষের মতো মানুষ হবে।

নুসাইবা জাহান নামে এক শিক্ষার্থী বলে, নদী ভাঙনের ফলে আমাদের ঘর ছিল না। আমরা অন্যের আশ্রয়ে ছিলাম। আমাদের কোনো স্কুল ছিল না। আমরা পড়তে পারতাম না। এত সুন্দর স্কুল আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ। জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

কাকলি আক্তার নামের আরেক শিক্ষার্থী বলে, ডিসি স্যার আমাদের জন্য আজ স্কুল উদ্বোধন করেছেন। আমরা অনেক খুশি। প্রথম দিনেই তিনি আমাদের ক্লাস নিয়েছেন। অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা স্যারের কথাগুলো শুনেছি। 

সুবর্ণচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চৈতী সর্ববিদ্যা বলেন, আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের সন্তানদের কথা চিন্তা করে এই বিদ্যালয়টি নির্মাণ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৬২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান স্যার আজকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের সুন্দর পরামর্শ দিয়েছেন। এই অনুপ্রেরণা নিয়ে তারা নিজেদের যোগ্য করে তুলে দেশের জন্য কাজ করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের জন্য এখানে মসজিদ-মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। 

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য কেউ যেনো গৃহহীন না থাকে, কেউ যেন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়। সে লক্ষ্যে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের সন্তানদের জন্য বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে। আজ আমি উদ্বোধন করতে গিয়ে তাদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলেছি। এই শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তারা দেশপ্রেমিক হয়ে গড়ে উঠলে এই দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে তারা ভূমিকা রাখতে পারবে।

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন রায়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অশোক বিক্রম চাকমা, উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজালাল, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুহীউদ্দীন, সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, চরক্লার্ক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. আবুল বাসারসহ স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.