বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৩

একসাথে অব্যাহতি নিলেন ছাত্রলীগের ২৯ নেতা

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের আওতাধীন লালবাগ থানার ২৯ জন নেতা স্বেচ্ছায় অব্যাহতিপত্র দিয়েছেন। 

লালবাগ থানার সভাপতি শাহ আলম সুমনকে সাংগঠনিকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ এনে অব্যাহতি প্রদান করে চকবাজার থানার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শুভ্র দাসকে সভাপতি করায় তাঁরা স্বেচ্ছায় অব্যাহতিপত্র দিয়েছেন। 

আজ বুধবার অব্যাহতিপত্রের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ। ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ জুলাই লালবাগ থানা ছাত্রলীগের ২৯ জন নেতা একই দিনে অব্যাহতিপত্র জমা দিয়েছেন। স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেওয়া ছাত্রলীগ নেতা সুমনকে সভাপতি থেকে সরিয়ে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শুভ্র দাসকে সভাপতি বানানোকে গঠনতন্ত্রে ব্যত্যয় উল্লেখ করে অব্যাহতি নেন। 

জানা যায়, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে সম্মেলন ছাড়াই লালবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে শাহ আলম সুমন ও সাধারণ সম্পাদক পদে সুজন আহমেদ ফয়সালসহ ১২ সদস্যের কমিটি প্রদান করা হয়। সে বছরের ডিসেম্বরে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়। 

গত ২৫ জুলাই কমিটির সভাপতি সুমনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে পদ থেকে অব্যাহতি দেন মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু। 

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু বলেন, ছাত্রলীগের ২৯ জন নেতার অব্যাহতির বিষয়টি আমার জানা নেই। নিষ্ক্রিয় থাকার কারণে লালবাগ থানা সভাপতিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 
যাঁরা মিছিল-মিটিংয়ে আসেন না, প্রোগ্রাম করেন না এবং দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয়, তাঁদের তো অব্যাহতি নেওয়ার কিছু নেই। তাঁরা তো এমনিতেই সংগঠনে নেই। 

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সেল সূত্রে জানা যায়, অব্যাহতি নেওয়া ছাত্রলীগ নেতারা হলেন লালবাগ থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি অনুভব আহমেদ, রাকিব খান, জাকির হোসেন, আশরাফ মিয়া, দীপু চন্দ্র দাস, জোনায়েদ রহমান সীমান্ত, ফারদিন হোসেন রিফাত, মো. শুভ, মো. সুজন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সামির হোসেন, কামরুজ্জামান শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান সাদিক, গোলাম মোরশেদ লামীম, রিফাত আহমেদ শুভ, মহিউদ্দিন রাফি, মো. নিলয়, আরশ হোসেন শাকিল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শিহাব উদ্দীন রা-আদ, সমাজসেবা সম্পাদক সামিউল সাদী, ধর্ম সম্পাদক মাহবুব হোসেন রিফাত, শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক মো. সামির, প্রচার সম্পাদক আফতাব আলম আবির, উপবিজ্ঞান সম্পাদক নিবিড় আহমেদ মাসুম, উপক্রীড়া সম্পাদক ওরনয় আহমেদ রনি, উপদপ্তর সম্পাদক ফারদিন আরিয়ান, উপসংস্কৃতি সম্পাদক ফাহিম রহমান রুদ্র, সহসম্পাদক আমীর হামজা প্রমুখ। 

সার্বিক বিষয়ে ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ বলেন, তাঁরা (যাঁরা অব্যাহতি নিয়েছেন) নতুন কমিটিকে মানবেন না, বিভিন্ন গ্রুপিং তো থাকে। নতুন কমিটি যেহেতু হয়ে যায়, তাতে আর তো পদ থাকে না। বিষয়টি আমলে নিয়েছি, যাচাই-বাছাইয়ের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.