বুধবার, ৩ মে, ২০২৩

টাঙ্গাইলে বয়স গোপন করে এসএসসি পরীক্ষা দিতে গিয়ে বহিষ্কার হলেন ৩৯ বছরের শামীম

বয়স গোপন রেখে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায় নাগরপুরে এক ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ মে) বাংলা ২য় পত্র চলাকালে কেন্দ্রের সভাপতি উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান তাকে বহিষ্কার করেন।

ওই পরীক্ষার্থী নাগরপুর সদর ইউনিয়নের দুয়াজানী গ্রামের মো. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজের ছেলে এসএম শামীম আল মামুন। তিনি নয়ান খান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।

জানা যায়, এসএম শামীম আল মামুন ২০০০ সালে মো. শাহীনুর ইসলাম, পিতা. মো. রিয়াজ উদ্দিন নাম দিয়ে চৌহালী জনতা হাইস্কুল থেকে রাজশাহী বোর্ডের অধীনে ৬১৩ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাস করে।

পূর্নরায় ২০২০ সালে নাগরপুর উপজেলার বনগ্রাম শহীদ মেমোরিয়াল হাইস্কুল থেকে নাম পরিবর্তন করে এসএম শামীম আল মামুন পৃথিবী ও পিতা. মো. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ নাম দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে ২০২৩ সালে ঢাকা বোর্ড থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। রোববার (৩০ এপ্রিল) বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষা চলাকালে বিষয়টি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নজরে আসে। ওই কর্মকর্তা তার উর্ধ্বতন অফিসারকে বিষয়টি জানান। এসময় ওই ছাত্রের কাছে জানতে চাইলে অকপটে সব স্বীকার করে। পরীক্ষা শেষে এডমিট কার্ড ও রেজিঃ কার্ড জব্দ করে হল কর্তৃপক্ষ।

এসএম শামীম আল মামুন পৃথিবী বলেন, আমি ২০০০ সালে রাজশাহী বোর্ড থেকে এসএসসি পাস করেছি। সার্টিফিকেটে বয়স কমানোর জন্য নতুন করে ২০০৭ সালে জন্ম তারিখ দেখিয়ে জন্মসনদ বের করে এবং ২০২০ সালে নাগরপুর উপজেলার বনগ্রাম শহীদ মেমোরিয়াল হাইস্কুল থেকে রেজিষ্ট্রেশন করে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করি।

কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক সহকারি কর্মকর্তা জিএম ফুয়াদ বলেন, আমি দায়িত্ব পালনকালে ওই ছাত্রকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি সে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাই।

কেন্দ্র সচিব ও নয়ান খান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসেন আলী মনসুর বলেন, ওই ছাত্রর এনআইডি কার্ডে তার বয়স ১৯৮৪ আর জন্মসনদে তার বয়স ২০০৭।

নাগরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.শাহীনুর ইসলাম জানান, ইতিপূর্বে সে এসএসসি পাস করেছে। সে ২০/২২ বছর পর আবার এসএসসি পরীক্ষা দিতে আসছে। মূল বয়স গোপন করে প্রতারণার মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করাটা অপরাধ। এ কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.