INFO Breaking
Live
wb_sunny

Breaking News

সখীপুরে করাত কলের মালিক মনে করে দিনমজুরের নামে মামলা

সখীপুরে করাত কলের মালিক মনে করে দিনমজুরের নামে মামলা

টাঙ্গাইলের সখীপুরে অবৈধ করাত কল উচ্ছেদ মামলায় শহিদুল ইসলাম (৩৫) নামের এক দিনমজুরের নামে করাত কল মালিক মনে করে মামলা দিয়েছেন স্থানীয় বন কর্মকর্তা। 

শনিবার দুপুরে জানা যায় ওই দিনমজুরের নামে ওয়ারেন্ট এসেছে, তাকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।  গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের সাপিয়াচালা এলাকায় স্থানীয় জামাল হোসেনের একটি অবৈধ করাত কল উচ্ছেদ করে ওই দিনমজুরের নামে মামলা দেন কাকড়াজান বিট কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম। 

শহিদুল ইসলাম ওই করাত কলের অনিয়মিত একজন দিনমজুর এবং কালিহাতি উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের ছোমেদ আলীর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, অবৈধ করাত কল স্থাপন ও পরিচালনার দায়ে লাইসেন্স বিধিমালা ২০১২ এর
৩(১).৭(১ক) এবং১০(৩) যা উক্তবিধির ১২ নং ধারায় বিচার্য্য এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ উল্লেখ করে শহিদুল ইসলামের নামে মামলা হয়েছে। মামলা নং ৩৭ (বন) ২৩ ইং। প্রকৃত পক্ষে সে কোন করাত কলের মালিক নয় বরং একজন দিনমজুর এবং মানুষিক ভাবে বিপর্যস্ত লোক বলেই চেনেন এলাকাবাসী।
 
সরজমিনে গেলে ওই এলাকার লোকজন জানায়, শহিদুল একজন দিনমজুর।মাঝেমধ্যে জামালের করাত কলে কাজ করতো, সে কোন করাত কলের মালিক না। আসল মালিককে বাঁচিয়ে শহিদুলকে ফাঁসানো হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক।
 
শহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন ধরে শুনতেছি আমার নামে মামলা হয়েছে।আমি একজন দিনমজুর আমার কোন করাত কল নাই। ফরেস্টাররা যেদিন সাপিয়াচালার জামাল হোসেনের অবৈধ করাত কল উচ্ছেদ করে আমি তার আগের দিন থেকে ওই করাত কলে কাজ করা বাদ দিছি। কি ভাবে আমার নামে মামলা হলো কিছুই জানি না।  
 
শহিদুলের মা সখিনা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী, ছেলে এবং আমি একজন দিনমজুর। কিছুদিন আগে ছেলের বউ একটা মেয়ে রেখে চলে গেছে।
খুব অসহায় ভাবে দিন যাপন করছি। ছেলের নামে মামলার কথা শুনে পাগল হইয়া গেছি। এখন কেমন করমু বুঝতাছিনা। আপনারা আমাগো একটু সহায়তা করুন। ’
 
মো. জামাল হোসেন বলেন, কয়েকজন মিলে একটি করাত কল নির্মাণ করেছি যা বন কর্মকর্তারা তুলে নিয়ে গেছে। শহিদুল আমার করাত কলের শ্রমিক ছিলো ওর নামে মামলা হয়েছে কি-না জানিনা।  
 
কালিহাতী থানার (এএসআই) মো. হামিদুল ইসলাম বলেন, শহিদুলের নামে বন আইনে মামলা আছে। গত ৭ তারিখে ওর নামে ওয়ারেন্ট আসছে। ওকে ধরতে আমাদের অভিযান চলছে।
 
মামলার বাদী ও কাকড়াজান বিট কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এখন এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব না, আর আমার অনেক কিছু মনে নেই।
 
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা টাঙ্গাইল জেলার মো. সাজ্জাদুজ্জামান বলেন, করাত কলের ঘটনাস্থলে যাকে পাওয়া যায় তার নামেই মামলা হয়। যে মামলা দিয়েছে এটা তার দায়িত্ব। মামলা হয়েছে এখন আদালত এটার বিচার করবে।