স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৭ বছর আগে
ইসমাইল হোসেন ওই এলাকার নছুমুদ্দিনের কাছ থেকে ১ একর জমি ক্রয় করে। এরপর থেকে জমিটি ওই এলাকার নতু মোল্লার ছেলে আজিজ মোল্লা, তোফাজ্জল মোলা, নব্বে মোল্লার ছেলে রফিকুল ইসলাম গোনাই এবং আবুল হোসেনের ছেলে কামরুল হাসান ও সাইফুল ইসলামের তাদের বলে দাবি করে কয়েকবার দখলের চেষ্টা করে। এ নিয়ে বিরোধ চলছিল।
রোববার সকালে আজিজ মোল্লা ও রফিকুল ইসলাম গোনাইয়ের নেতৃত্বে বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে ধান কাটতে গেলে ইসমাইল হোসেন বাধা দেয়। একপর্যায়ে তারা ইসমাইল হোসেনের উপর দেশীয়অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলে ও মামলার বাদী মামুন মিয়া জানান, টাকা দিয়ে জমি কিনে বিনিময়ে বাবার লাশ পেয়েছি। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি জানান, রোববার সকালে ঘটনাস্থলে গুলির আওয়াজ শুনে। ধারণা করা হচ্ছে গুলিতে ইসমাইল হোসেনের মৃত্য হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নুরে আলম মুক্ত বলেন, তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ হয়েছে। সালিশে জমিটি ইসমাইল হোসেনের বলে প্রমাণিত হয়েছে। মূলত জমিটি প্রতিপক্ষরা দখলের চেষ্টা করে। এতে বাধা দিতে গেলে ইসমাইল হোসেনের উপর হামলা চালায়।
সখীপুর থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে মামলা করেছেন। দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।