এর আগে রোববার (৩০ এপ্রিল) ধর্ষণ মামলায় গোলাম কিবরিয়া বড় মনির ও তার স্ত্রী নিগার আফতাবকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে তাদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে টাঙ্গাইলের আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। তাদের জামিন স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
এদিকে ধর্ষণ মামলার এদিকে ধর্ষণ মামলার আসামির জামিন স্থগিতের পরও একই মঞ্চে থানার ওসির সঙ্গে বসা ও প্রকাশ্যে এসব মিছিল মিটিংয়ে অংশ নেওয়া নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে জেলাজুড়ে।তবে আওয়ামী লীগ নেতার জামিন স্থগিতের পরও সোমবার (১ মে) ভূঞাপুর ও গোপালপুর উপজেলায় আয়োজিত আন্তর্জাতিক মে দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বড় মনির। এর আগে তিনি র্যালিতে অংশ নেন।সকালে পুলিশ পাহারায় ভূঞাপুর উপজেলা শ্রমিক লীগ ও বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে ইব্রাহীম খাঁ সরকারি কলেজ মাঠ থেকে র্যালি শুরু হয়ে ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্ষণ মামলার আসামি টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনির। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তারই ছোট ভাই টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির।ভূঞাপুর শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সুরুজ আলমের সভাপতিত্বে সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নার্গিস বেগম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বেলাল হোসেন, সাবেক পৌরসভার মেয়র আমিরুল ইসলাম তালুকদার বিদ্যুৎ, টাঙ্গাইল শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. বালা মিয়া, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বাবু, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাহেরুল ইসলাম তোতা প্রমুখ।
র্যালি ও আলোচনা সভায় নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ভূঞাপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক লিটন মিয়া ও আল মামুনসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এখানকার অনুষ্ঠান শেষে তিনি গোপালপুরের অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য ছোট ভাই তানভীর হাসান ছোট মনিরের গাড়ি বহরের সঙ্গে রওনা হন। তবে গোপালপুরে আলোচনা সভার মঞ্চে বসেননি বড় মনির।ধর্ষণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমান খান বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনিরের জামিন স্থগিত হওয়ার খবর পেয়েছি। কিন্তু অফিশিয়ালি কোনো কাগজ পাইনি। মামলার তদন্ত চলছে। তবে জামিন বাতিল হওয়ার পরও আসামি প্রকাশ্যে মিছিল-মিটিং করছেন কীভাবে- এমন প্রশ্ন করলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা বাস-কোচ-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে গত ৫ এপ্রিল বুধবার রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন অন্তঃসত্ত্বা এক কিশোরী। ৬ এপ্রিল বিকেলে ওই কিশোরী আদালতে দণ্ডবিধির ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
Social Footer