INFO Breaking
Live
wb_sunny

Breaking News

সখীপুরে হঠাৎ হাতে বানানো পাখার কদর বেড়েছে

সখীপুরে হঠাৎ হাতে বানানো পাখার কদর বেড়েছে

(নিজস্ব প্রতিনিধি)টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় প্রায় কয়েক লক্ষাধিক লোকের বসবাস। এসব মানুষের  চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ সংকুলান না হওয়ায় ইদানীং ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কবলে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ। 

সখীপুরে বিদ্যুৎ সমস্যায়
অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উপজেলার বাসিন্দাদের। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে সাধ ও সাধ্যের মধ্যে  লোকজ  সংস্কৃতির ও ঐতিহ্যের ধারক তালপাতা ও বিভিন্ন সরঞ্জামাধী দিয়ে  তৈরি হাত পাখার কদর বেশ বেড়েছে। 

হাতে বানানো পাখার কারিগর বাদশা মিয়া জানান, বেশ কয়েক বছর যাবৎ আমার পাখার হাঁটে বেচা -বিক্রি হতো না। আর এখন আমি বয়স্ক মানুষ  
দীর্ঘ সময় একসাথে বসে থাকতেও পারি না। হঠাৎ বিভিন্ন পাতার তৈরি পাখার কদর বেড়ে যাওয়ায় আমার ব্যস্ততাও বেড়েছে। এ কাজে আমার গৃহিণী অনেক  সাহায্য করে।অনেক পাইকাররা বাড়িতে এসে আগাম ফরমায়েশ দিচ্ছে। 

তিনি আরও জানান, পাখা তৈরির প্রধান উপকরণ  তালপাতা ও খেজুর পাতা ঠিকমতো পাওয়া যায় না।বাদশা মিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা মিলে,পাইকার মজিদ মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, আগে তেমন বেচঁতে পারতাম না।হঠাৎ বিক্রি বেড়ে গেছে তাতে আমরাও লাভবান হচ্ছি এবং কারিগররাও বেজায় খুশি। প্রায় সব পাইকাররা ঝিমিয়ে পড়া দেশীয় পণ্যের এ ব্যবসায় নতুন উদ্যোমে শুরু করছে। 
এবিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন,কাঠ, বাঁশের বিভিন্ন পাতার এতো বেশি ব্যবহার ছিল যে তা খুব মনে পড়ে। এখন প্রযুক্তির যুগে চার্জিং ফ্যান,প্লাস্টিক পাখার ব্যবহার বাড়লেও কৃত্রিম আবহে প্রকৃতির  উপকরণের মধ্যে যে স্বস্তি তার ব্যবধান বিস্তর। তিনি আরও বলেন, বাদশা মিয়া একজন সরল মানুষ টুকটাক হাতের কাজ করে সংসারের খরচ জোগাড় করে। বাদশা মিয়ার জন্য সমাজের বিত্তবান প্রতি এ কাজের সম্মান হিসেবে সহযোগিতা কামনা করেন।