তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, গ্যাস সরবরাহে আর কোন ভর্তুকি দেওয়া হবে না। নিরবিচ্ছন্ন গ্যাস চাইলে বিদেশ থেকে কেনা দামেই নিতে হবে।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন বিরোদী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিদ্যুৎ ও গ্যাসে এখনো ভর্তুকি দিচ্ছি। কিন্তু জনগণকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হবে।
তিনি আরো বলেন, গ্যাস যে মূল্যে কেনা হবে, সেই মূল্যেই গ্রাহককে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বাড়তে পারে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আইএমএফ তখনই ঋণ দেয় যখন ওই দেশের ঋণ দেওয়ার (পরিশোধ করার) যোগ্যতা থাকে। ২০৪১ সালের মধ্যে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে সরকার জোর দেওয়ার কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নয়নে সবচেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
তিনি আরো বলেন, (রাশিয়া-ইউক্রেন) যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। তারপরও সব মানুষ খাদ্য যাতে কম দামে পায় সে ব্যবস্থা করেছি আমরা। যারা কিছুই করতে পারে না তাদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষিতেও ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে
Social Footer