
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে।শনিবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে বরিশাল নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভোটের মাধ্যমে যে সরকার হবে সেটি হবে সব দলের সমন্বয়ে জাতীয় সরকার।
আওয়ামী লীগ বর্গিদের মতো আচরণ করছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা বলেছিলেন নির্বাচনে জয়ী হলে ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবেন, ঘরে ঘরে একজনকে চাকরি দেবেন। এখন চালের দাম কত? ঘরে ঘরে চাকরি কি হয়েছে? তার অভিযোগ, এই দলের চরিত্রে দুটি দিক আছে। চুরি ও সন্ত্রাস। তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে ভোট চুরি করে এসেছে। এখন আবার ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যাওয়ার ফন্দি করছে।
ফখরুল আরও বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে সরকার খুব ঢাকঢোল পিটিয়েছে। এমন ঢাকঢোল পিটিয়েছে যেন বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গেছে। সেই বিদ্যুৎ আর নেই। আজকে সকালে আমি যে হোটেলে ছিলাম সেখানে কমপক্ষে ১০ বার বিদ্যুৎ গেল। এর আগে ৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় ছিল, বিদ্যুৎ গেলে সবাই বলত এই হাসিনা গেলো, বিদ্যুৎ আসলে বলত এই হাসিনা এলো। আজকেও একই অবস্থা। এই হাসিনা গেলো, এই হাসিনা এলো।
মির্জা ফখরুল দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, টেক ব্যাক বাংলাদেশ। রাজপথে ফায়সালা করে বাংলাদেশকে আমরা ফিরিয়ে আনব। কোনো দ্বিমত নয়, ঝগড়া নয়, ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এই আন্দোলন সমগ্র জাতিকে রক্ষা করার জন্য। এটি বিএনপি’র কোনো আন্দোলন নয়। দেশের মানুষ এখন এই সরকারের কবল থেকে মুক্তি চায়। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার- বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দিন, ফয়সালা হবে রাজপথে।
বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম ডা. জাহিদ হাসান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী সোহেল।