INFO Breaking
Live
wb_sunny

Breaking News

টাঙ্গাইলে বালুঘাটের আধিপত্য নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আহত ১

টাঙ্গাইলে বালুঘাটের আধিপত্য নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আহত ১

সাইদুর রহমান সমীর,টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের গোবিন্দাসীতে বালুঘাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার(১৬ নভেম্বর) দুপুরে দুই পক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।

জানাগেছে, ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৯টি বালুঘাট থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও সরবরাহ করা হয়ে থাকে। গোবিন্দাসী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিন, সাবেক মেম্বার আসাদুজ্জামান আসাদ ও গোবিন্দাসী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ছরোয়ার আলম সিরাজগঞ্জ থেকে বালুভর্তি পাঁচটি বাল্কহেড যমুনা নদীর গোবিন্দাসী ঘাটে ভিড়ায়। 

ওই বাল্কহেড থেকে বালু সরবরাহের জন্য স্থানীয় সাবেক মেম্বার আলিমুদ্দিনের বালুঘাটের রাস্তা ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। বুধবার দুপুরে ওই বাল্কহেড থেকে সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিনরা বালু সরবরাহ করতে গেলে আলিমুদ্দিন গংরা বাধা দেয়। এ নিয়ে প্রথমে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ধাওয়ায় পড়ে গিয়ে পায়ের চাপে স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাক আহত হন। তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পরে থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানায়, বালু উত্তোলন, বালুঘাট দখল ও বালু সরবরাহ নিয়ে ভূঞাপুরে নেতৃস্থানীয়দের মধ্যে রেষারেষী লেগেই আছে। বুধবার দুপুরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি থমথমে থাকলেও যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে। ইতোপূর্বে বালুঘাটে আধিপত্য নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষ, গুলি, পাল্টাপাল্টি মামলা ও হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।

গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদার জানান, বালু পরিবহনের রাস্তা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরেছিল। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। যারা বালুর ব্যবসা করেন তাদের সবাইকে ধৈর্য্য ধরে সমঝোতার মাধ্যমে ব্যবসা করতে বলা হয়েছে।

ভূঞাপুর থানায় অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, বালুঘাটের বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। দুই পক্ষ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হবে।