বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০২২

সখীপুরে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আটক

সখীপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতাঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে গৌরাঙ্গ সরকার (৫২) নামের এক প্রধান শিক্ষককে নিজ স্কুলের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আটক করেছে সখীপুর থানা পুলিশ।
তিনি উপজেলার হাতীবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং হাতীবান্ধা গ্রামের মহিষডাঙা এলাকার খিতিশ সরকারের ছেলে।

এব্যাপারে ওই শিক্ষার্থীর চাচা বলাই বাদ্যকর আজ বুধবার বিকেলে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

এলাকাবাসী ও মেয়েটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত (২৭ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার বিকেলে স্কুল ছুটির পর ওই শিক্ষক পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে (১১) কৌশলে একটি কক্ষে  ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী উচ্চস্বরে চিৎকার করলে শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেয়। পরে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য এ সময় শিক্ষার্থীকে হুমকি দেয়। শিক্ষার্থী  ভয়ে দুইদিন কিছু  না বললেও পরবর্তীতে গত ৩১ অক্টোবর রোববার  তার পরিবারের কাছে সবকিছু প্রকাশ করে। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।  

স্কুল ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যুৎসাহী সদস্য নিপেন মজুমদার বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির প্রমাণ রয়েছে। লজ্জায় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা গোপন রেখেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, ঘটনাটি খুবই ন্যাক্কারজনক। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জোসনা সরকার অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বদলি চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ওই শিক্ষকের অসভ্যতার কারণে দিনদিন শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে।  তিনি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাফিউল ইসলাম লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে  বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের পর শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, ওই শিক্ষার্থীর চাচা বলাই বাদ্যকরের অভিযোগ পেয়ে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। 
 
সখীপুর (টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি 
০২/১১/২২

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.