শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২২

রাত ১২টার পর ইন্টারনেট বন্ধ চান মন্ত্রী

শিক্ষার্থীদের রাত জেগে ইন্টারনেটের ব্যবহার থামাতে রাত ১২টার পর থেকে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা উচিত বলে মনে করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক। 

তবে যারা বিদেশের সঙ্গে ব্যবসাবাণিজ্য করে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।শনিবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘লেখাপড়া রেখে আমরা যেভাবে মোবাইলে মনোনিবেশ করি, এটা জাতির জন্য এলার্মিং। আমার মনে হয়, ভবিষ্যতে জাতি মেধাশূন্য হয়ে যাবে। সরকারের কাছে একটা সুপারিশ থাকতে পারে, রাত ১২টার পরে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা উচিত। যারা বিদেশের সঙ্গে ব্যবসাবাণিজ্য করে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকতে পারে।’তিনি বলেন, নিশ্চয়ই কানেকটিভিটি বা টেকনোলজি প্রয়োজন। 

কিন্তু সব কিছুরই একটা মাত্রা থাকা দরকার। এসব যন্ত্রের (মুঠোফোন) মাধ্যমে কীভাবে মিথ্যাচার-অপপ্রচার চলে! এগুলোতে যদি নিয়ন্ত্রণ না থাকে, তাহলে দেশে সুস্থ রাজনীতি বা সুস্থ জীবন যাপন করা খুব কঠিন হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীর প্রায় সব দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পার্টটাইম জবের (খণ্ডকালীন চাকরি) সুযোগ আছে। 

এটা আমাদের দেশেও সম্ভব।’বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় গবেষণা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘গবেষণা না থাকলে ভবিষ্যতে মেধার সংকট দেখা দেবে। এমনিতে বর্তমানে টেকনোলজি (প্রযুক্তি), বিশেষ করে মোবাইলের কারণে আমাদের সন্তানরা এখন রাত ১২টা, ১টা, ২টা পর্যন্ত এগুলো নিয়েই থাকে। আমাদের সময় আমরা যেভাবে লাইব্রেরিতে যেতাম, লেখাপড়ার যে উদ্যোগ ছিল, এখন সেগুলো নেই।’অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। 

অ্যালামনাইয়ের সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের মহাসচিব মোল্লা মো. আবু কাওছার।

আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বাদল, পুলিশের সদ্য সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, অ্যালামনাইর সাবেক সভাপতি মঞ্জুর এলাহী, সাবেক মহাসচিব মোহাম্মদ ফরাস উদ্দীন প্রমুখ। সভা শেষে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.