মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২২

প্রেমিকাকে পছন্দ করায় তরুণকে হত্যা, তিন বন্ধুর যাবজ্জীবন

মেহেরাজ হোসেন (২৫) নামের এক তরুণকে শ্বাস রোধ করে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের আদালত। 

একই সঙ্গে তাঁদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন—আবদুল্লাহ আল মামুন, সজীব আহম্মদ ও তানভীর হোসেন। রায় ঘোষণার সময় তাঁরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সবার বাড়ি নোয়াখালী সদর উপজেলায়।মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, আবদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে এক তরুণীর প্রেম ছিল। 

ওই তরুণীকে পছন্দ করতেন একই এলাকার মেহেরাজ হোসেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মেহেরাজকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মামুন। এ জন্য বন্ধু সজীব আহম্মদ ও তানভীর হোসেনকে ৩০ হাজার করে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মামুন। 

পরিকল্পনা অনুযায়ী তিন বন্ধু মিলে ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মেহেরাজকে নেশা জাতীয় ওষুধ খাইয়ে কোমরের বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন।

পরে লাশ বস্তাবন্দী করে মামুন ও তানভীর লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার সৈয়দপুর গ্রামের টক্কারপুল এলাকায় সেতুর নিচে ফেলে দেন। মেহেরাজকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি তাঁর ভাই মাহবুবুর রহমান সুধারাম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে টক্কারপুল সেতুর নিচ থেকে দাসেরহাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা মেহেরাজের লাশ উদ্ধার করেন। পরে ২ মার্চ মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।

২০২০ সালের ৩০ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মফিজ উদ্দিন আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের জেরে মেহেরাজকে হত্যা করা হয়েছে। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত তিন বন্ধুর যাবজ্জীবন সাজার রায় দেন।

শেয়ার করুন

Author:

TangailNews24 Advertisement Partnership