উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ হয়েছে। এছাড়াও ২০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দীর্ঘ সময় বৃষ্টি ও ঝড় হওয়ায় সখীপুরে ১০ হেক্টর জমির কলাবাগানের ছড়াসহ কলাগাছ উপড়ে পড়েছে। এতে প্রায় এক কোটি ৯ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও দুই দশমিক ২ হেক্টর জমির সবজি খেতের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে আনুমানিক আরও ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার প্রতিমাবংকী গ্রামের কলাচাষি নাসির সিদ্দিকী জানান, তিনি এক একর জমিতে ১ হাজার কলাগাছ রোপণ করেছিলেন। এরমধ্যে ঝড়ে ৩০০ কলাগাছ ছড়িসহ ভেঙে পড়েছে। ছড়ার কলাগুলো অপরিপক্ক।গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, তাঁর বাবা আব্দুর রশিদ একজন কলাচাষী। তাঁদের ১০ হাজার কলা গাছ ভেঙে পড়েছে। এতে তাঁদের ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার ইছাদিঘী গ্রামের কলাচাষী শফিকুল ইসলামের ৭ হাজার কলা গাছ ভেঙ্গে পড়েছে। এতে তাঁর ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মন জানান, সিত্রাংয়ের প্রভাবে শুধু উপকূলীয় অঞ্চলই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি সখীপুরেও কলা বাগান ও সবজি বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।