শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২

ক্ষমতায় গেলে এমপি-মন্ত্রীদের অবৈধ সুযোগ-সুবিধা ফেরত নেবো: নুর

গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ২০১৪ সাল ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে যারা অবৈধভাবে এমপি-মন্ত্রী হয়ে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন, সেসব সুবিধা ফেরত দিতে হবে। 

আমরা ক্ষমতায় গেলে সেটি নিশ্চিত করবো। যারা এই অপরাধীদের ক্ষমতায় এনেছে, তাদের বিচারও আমরা করবো।

শনিবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ইডেন কলেজে ছাত্রলীগ নেতাদের সিট বাণিজ্য, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতন ও অনৈতিক কাজে বাধ্য করার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে নারী অধিকার পরিষদের প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।নুর বলেন, সরকারের নেতারা বিনাভোটে এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন, যদি গণতান্ত্রিক সরকার আসে, 

প্রত্যেককে তো জেলে যেতে হবে। জনগণের ভ্যাট-ট্যাক্সের পয়সায় বিদেশে বাড়ি করবেন, ভালো চিকিৎসা নেবেন। যেসব সুবিধা আপনারা নিয়েছেন, পেট কেটে বের করবো সেসব সুবিধা।

ইডেন কলেজের ছাত্রীদের উদ্দেশে নুর বলেন, ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী ইডেন কলেজে পড়েন৷ কেন আমার বোনেরা অল্প কিছু ছাত্রলীগের কাছে জিম্মি হয়ে থাকবে? আমরা বাইরে থেকে আওয়াজ তুলছি, আপনারা ভেতর থেকে আওয়াজ তুলুন।তিনি বলেন, তরুণরা ছাত্রলীগের সঙ্গে মিশে যেন নষ্ট না হয়, এজন্য প্রত্যেক অভিভাবককে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ করেন, তারা সব অপদার্থ। ঠিকমতো পড়াশোনা করেন না। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি প্রতিপক্ষকে দমন এসব অপকর্ম করে ছাত্রলীগের পদ বাগিয়ে নিচ্ছেন। 

অছাত্র, কুছাত্র, যাদের ছাত্রত্ব নেই তারাই মধুর ক্যান্টিনে বসে বিড়ি খেয়ে ধোঁয়া উড়াচ্ছে। আর পিছনে অন্যান্যরা ভেড়ার পালের মতো জড়ো হয়ে থাকছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা চান্স পেয়েছেন তারা কিন্তু মেধাবী। তারা একবার চিন্তাও করেন না কেন অছাত্র, কুছাত্র, বিড়িখোড়দের পেছনে তারা দাঁড়িয়ে থাকবেন।

সরকার নির্বাচন দিতে ভয় পায় মন্তব্য করে নুর বলেন, সরকার ডাকসুর নির্বাচন জীবনেও দিতো না। কিন্তু তারা যখন দেখলো, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তাদের কর্মকাণ্ড সবাই দেখেছে। দেশে ও দেশের বাইরে সমালোচনা হচ্ছে। তাই নিজের বদনাম ঘোচানোর জন্য একবার ডাকসুর নির্বাচন দিলো। 

মানুষ উত্তেজিত হয়ে গণভবনে হামলা করতে পারে, এজন্য যেকোনোভাবে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে ডাকসুর নির্বাচন দিয়েছিল। সরকার যখন দেখলো কোটা সংস্কার আন্দোলনের একজন ভিপি হয়ে গেছে, এরপর আর নির্বাচন দেওয়ার সাহস পায়নি।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.