
সাইদুর রহমান সমীর,কালিহাতী(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার স্বামী-সন্তান রেখে অবস্থান নিয়েছে । তাকে বিয়ে না করলে আমরণ অনশনের হুমকি দিয়েছে প্রেমিকা। আর প্রেমিকার উপস্থিতিতে টের পেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছে প্রেমিকের বাবার মা সহ পুরো পরিবার।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে প্রেমিকার এই অবস্থানে ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের যদুরপাড়া গ্রামে।
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি করেছে।
জানা গেছে,যদুর পাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে সেলিম খানের সাথে তার প্রেমিকা ডলি সায়ন্তনীর ছোটবেলা থেকে পরিচয়। একই স্কুলে পড়ালেখার সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাঝে ডলির টাঙ্গাইল শহরে বিয়ে হলে যোগাযোগ কিছুটা কমে যায়।
গত দেড় বছর পূর্বে তাদের মধ্যে সম্পর্ক আবার গাঢ় হয়। ফলে প্রায় এক বছর পূর্বে ডলি ও সেলিম টাঙ্গাইল শহরের প্যাড়াডাইস পাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বসবাস শুরু করে। সম্প্রীতি সেলিম ডলির সাথে আর কোন ধরনের যোগাযোগ না রাখায়, ডলি হতাশ হয়ে পড়ে।
অনেকভাবে যোগাযোগের চেষ্টা ব্যর্থ হয় ডলি।ফলে মঙ্গলবার দুপুরে সরাসরি প্রেমিক সেলিমের বাড়ি থেকে উঠে ডলি। এ দিকে প্রেমিকার আসার খবর পেয়ে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছে সেলিমের পরিবার।
ডলি জানান , সেলিমের জন্য আমি স্বামী-সংসার ছেড়েছি। গত এক বছর আগে আমরা শরীয়ত মতে বিয়ে করে টাঙ্গাইল শহরের প্যারাডাইস পাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মত বসবাস করছি। সেলিম আমার কাছ থেকে গত এক বছরে বিভিন্ন কথা বলে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়েছে।
বর্তমানে সেলিম আমার সাথে কোন রকম যোগাযোগ রাখছে না। তাই নিরুপায় হয়ে আমি ওর বাসায় এসে উঠেছি। আমাকে ওর স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ না করলে প্রয়োজনে নিজের জীবন দিয়ে দিব। যা হয় হোক আমি এই বাসা ছেড়ে কোথাও যাবো না।
নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদার বলেন, স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে বিষয়টি আমি জেনেছি। তবে কোন পরিবার আমার কাছে আসেনি। দুটি পরিবার যোগাযোগ করলে, আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করব।