শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২২

সরকারি দলের নেতারা একেকজন আঙুল ফুলে কলাগাছ: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, হাওয়া ভবনের দুর্নীতি থেকে দেশকে বাঁচাতে ২০০৮ সালে আমরা আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগ কথার বরখেলাপ করেছে। 

প্রথমে তারা জাতীয় পার্টিকে অঙ্গ সংগঠন মনে করলেও পরে চাকর ভাবতো। এখন মনে করে ক্রীতদাস। তারা সবই নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। আমরা কারও নিয়ন্ত্রণ হতে চাই না। বন্ধুত্বের কথা বললে চিন্তা করবো কিন্তু ক্রীতদাস হবো না।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে জামালপুর জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের আরও বলেন, প্রথম যখন বলেছিলাম বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হচ্ছে, সরকার দেউলিয়া হচ্ছে— তখন শুনে অনেকেই হাসাহাসি করেছেন। এখন সরকারের একজন উপদেষ্টা বলছেন টাকার অভাবে গ্যাস কিনতে পারবেন না। প্রবাসীরা বিদেশ থেকে রক্ত পানি করে টাকা পাঠান, আর আমরা আলোকসজ্জা করি। যেখানেই যাই শুধু দেখি ফুর্তি আর ফুর্তি। দেখে মনে হয় সরকার ১২ মাসে ১০০ পার্বণ পালন করছে। 

অথচ দেশের মানুষ না খেয়ে জীবনযাপন করছে। ৭০-৮০ শতাংশ মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা।তিনি বলেন, সরকারি দলের নেতারা একেকজন আঙুল ফুলে কলাগাছ। তাদের সম্পদের হিসাব নেই। টাকা রাখার জায়গা নেই বিদেশে পাচার করছেন। আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারাও কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, জেলার নেতারা হয়েছেন শতকোটি টাকার মালিক। পূর্বপাকিস্তান আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করেছিল। আমরা স্বাধীন হলেও বৈষম্য থেকে মুক্তি পাইনি। স্বাধীনতার পক্ষে ও বিপক্ষের শক্তি বলে দেশের মানুষকে বিভাজনের রাখা হচ্ছে।

জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মোস্তফা আল মাহমুদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান শেঠ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, এটিইউ তাজ রহমান, ফকরুল ইমাম, আহসান আদেলুর রহমান, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা নুরুল ইসলাম তালুকদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল ইসলাম জহির, প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মোখলেছুর রহমান বস্তু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে মোস্তফা আল মাহমুদকে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি, জাকির হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক ও কাজী খোকনকে সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.