
পাবনার ঈশ্বরদীতে মায়ের ওপর অভিমান করে রাইফা তামান্না (১৫) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকালে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাতে শহরের পৌর এলাকার পূর্বটেংরী ঈদগাহে রোডে এ ঘটনা ঘটে।
রাইফা তামান্নার বাবা পাবনার সাঁথিয়া থানায় এসআই (পুলিশ উপ-পরিদর্শক) পদে কর্মরত রয়েছেন। এর পূর্বে তিনি ঈশ্বরদী থানায় কর্মরত থাকাকালীন সময় থেকে সপরিবারে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, রাইফা তামান্না মায়ের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতো। সোমবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মায়ের মোবাইল ফোন নিয়ে নিজের কাছে রেখে দেন। তামান্না পূনরায় ফোন চাইলে সেটি না দেওয়ায় অভিমান করে সে নিজ ঘরে চলে যায়। পরে সেখানে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। সে এবার ঈশ্বরদী সরকারি এসএম স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
স্কুলের সহপাঠীরা জানান,রাইফা তামান্না মেধাবী ছাত্রী ছিলেন।মানুষ হিসেবে সে খুবি ভালো ছিলো। ঈশ্বরদী সরকারি এস এম স্কুলে অষ্টম শ্রেনীতে ভর্তি হয়েছিলো। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়া।
ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, মোবাইল না দেওয়ায় মায়ের উপর অভিমান করে সে আত্মহত্যা করে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে। মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।