INFO Breaking
Live
wb_sunny

Breaking News

আজ বিশ্ব ডিম দিবস

আজ বিশ্ব ডিম দিবস

অনেকের প্রিয় একটি খাবার ডিম। আসলে খুব প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের খাদ্য তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ডিম। কারণ ডিম প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি পুষ্টিকর খাবার।

ডিমে পুষ্টি আছে এ কথা সবার জানা। তাই আমরা ডিম খেতে ভালোবাসি এটাও সবার জানা। কিন্তু, তোমরা কি জান ডিমের জন্য আলাদা একটি দিবস আছে? আজ সেই দিন। প্রতিবছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবার ডিম দিবস পালন করা হয়।ডিম এমন একটি খাবার যা নানাভাবে খাওয়া যায়। এই যেমন- ডিম ভেজে খাওয়া যায়, সিদ্ধ করে খাওয়া যায়, রান্না করে খাওয়া যায়। শুধু কী তাই অনেকে তো কাচা ডিমও খায়।

আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ডিম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ডিমের জন্য একটি দিবস পালন করা যেতেই পারে। কিন্তু কীভাবে পালন করবে? সহজ উত্তর হলো- ডিমের তৈরি যেকোনো খাবার খেয়ে বা শুধু ডিম খেয়ে ডিম দিবস উদযাপন করতে পারো। চাইলে প্রতিবেশীকে ডিম উপহার দিতে পারো। তাহলেও কিন্তু ডিম দিবস উদযাপনের পাশাপাশি সম্পর্কও মজবুত হবে। মানে এক ডিমে দুই কাজ করা আর কী।

এমন অনেক ডিম আছে যেগুলো তোমার কখনো খাওয়া হয়নি। চাইলে আজ সেগুলো সংগ্রহ করতে পার। ডিম দিবসে এমন আরও অনেক কিছু করতে পারো। যেমন- তুমি যদি ছবি আঁকতে জানো- তাহলে রঙ ও তুলি দিয়ে ডিমের খোসাতে ছবি আঁকতে পারো। এটি দারুণ একটি শিল্পকর্ম হবে। শুধু কী তাই চাইলে ডিমের খোসা টুকরো টুকরো করে কাগজে বা কাপড়ে গ্লু দিয়ে আটকে যে কোনো প্রতিকৃতি আঁকতে পারো। এটাও দারুণ শিল্পকর্ম হবে। এভাবে তুমি সবাইকে চমকে দিতেও পারবে। আজ ডিম দিবসে তাহলে চেষ্টা করবে নাকি কোনো শিল্পকর্ম বানিয়ে ফেলার? আইডিয়া তো দিয়েই দিলাম এখন সিদ্ধান্ত তোমার।তোমাদের জেনে রাখা ভালো- ডিমের রঙের সঙ্গে সতেজতা, স্বাদ বা পুষ্টিগুণের কোনো সম্পর্ক নেই। আসলে, ডিমের রঙটি মুরগির জাতের ওপর নির্ভর করে এবং মুরগির কানের লতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ!

তোমরা চেষ্টা করবে রান্না করা ডিম খেতে। কারণা রান্না করা ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যকর। যদিও অনেক ভাবেন কাঁচা ডিম খাওয়া পেশী গঠনে সহায়তা করে। কিন্তু, এটি পুরোপুরি সত্য নয়। আসলে একটি কাঁচা ডিমের প্রোটিনের মাত্র ৫০ শতাংশ হজম করা যায়। কিন্তু, রান্নার পর একটি ডিমের ৯০ শতাংশের বেশি প্রোটিন আমাদের শরীর হজম করতে পারে।

আচ্ছা একটি ডিম সতেজ কিনা তা কীভাবে জানবে? একটি সহজ উপায় বলে দিচ্ছি। ডিমের সতেজতা পরীক্ষার সর্বোত্তম উপায় হলো এক গ্লাস পানিতে ডিম ফেলে দেওয়া। যদি এটি ডুবে যায় তবে বুঝবে সতেজ। আর যদি ভেসে থাকে তাহলে এটা পুরনো।