শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

প্রেমের টানে বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার যুবক, বিয়ে করলেন প্রেমিকাকে

প্রেমের টানে শ্রীলঙ্কা থেকে জয়পুরহাটে এসে বিয়ে করেছেন শ্রীলংকান নাগরিক রওশন মিঠুন (৩৩) নামে এক যুবক। 

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জেলা জয়পুরহাট নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে এফিডেফিট মাধ্যমে এ বিয়ে ঘোষণা দিলেও গত বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ইসলাম ধর্মানুসারে এ বিয়ে হয়। কনে জয়পুরহাটের সদর উপজেলার দোগাছী ইউপির উত্তর পাথুরিয়া গ্রামের শাহাদুল ইসলামের মেয়ে রাহেনা বেগম (৩৫)।

জানা গেছে, ২০১৪ সালে জর্ডানে গিয়ে একটি গার্মেন্টসে কোয়ালিটি পদে চাকরি করতেন রাহেনা বেগম। ওই কোম্পানীর সুপাইভাইজার পদে ছিলেন শ্রীলংকার মাকারার গেলীর এলাকার সিয়ানার ছেলে রওশন মিঠুন। সেখানেই তাদের পরিচয়, আর পরিচয়ের সুত্রে ধরেই প্রেম। গত দেড় বছর আগে ওই যুবক তার নিজ দেশে ফিরলেও জয়পুরহাটের যুবতী দেশে ফিরেন এ বছরেই। 

আর সম্প্রতি শ্রীলংকা থেকে জয়পুরহাটে বিয়ে করেছেন রাহেনা বেগমকে বিয়ে করেছেন রওশন মিঠুন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর, ২২) জেলা জয়পুরহাট নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে এফিডেফিট বিবাহের ঘোষণা দিলেও গত বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর, ২২) ইসলাম ধর্মানুসারে এ বিয়ে হয় ওই দম্পতির।

কনে রাহেনা বেগম (শ্রীলঙ্কার পুত্রবধূ) বলেন, ‘চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নিজ দেশে ফিরে আসি। সেলফোনের মাধ্যমে আমাদের যোগাযোগ থাকে। একদিন সুদূর শ্রীলঙ্কা হতে ঢাকা বিমানবন্দরে আসে রওশন মিঠুন। 

পরে আমার পূত্রাশয়ে নিয়ে আসি। আমার পিতা আমাদের যৌনতা ও পবিত্রতা রক্ষায় এলাকার মৌলভী দিয়ে এক লক্ষ টাকা মোহর ধার্যে বিবাহ সু-সম্পন্ন করিয়ে দেন। এর মাধ্যমে আমাদের প্রেম বিয়েতে রূপ নিয়েছে। আমাদের জন্য সবাই আশীর্বাদ করবেন। আমরা যেন সারাজীবন একসঙ্গে থাকতে পারি।’

বর রওশন মিঠুন (বাংলাদেশের জামাই) বলেন, ‘কর্মরত অবস্থায় রাহেনা বেগমকে খুব পছন্দ করতাম। নিজে বাংলাদেশে (জয়পুরহাট) এসে পরিবারের সম্মতিতে তাকে (রাহেনা বেগম) বিয়ে করেছি। এদেশে (বাংলাদেশ) নাগরিক ও থাকতে চাই। আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জয়পুরহাট জজ কোর্টের আইনজীবি মোহাম্মদ ফরিদুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার একটি এফিডেফিট (বিবাহ ঘোষণা) করা হয়েছে। তবে একই ধর্মের হওয়ায় তেমন কোন আইনি বাঁধা নেই।

এ বিষয়ে জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, শ্রীলংকান নাগরিক জয়পুরহাটে এসে এক মেয়েকে বিয়ে করছেন বলে আমাদের কাছে খবর এসেছে

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.